মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, উদ্ধারে সেনাবাহিনী

সংবাদদাতার নাম :
  • খবর আপডেট সময় : শুক্রবার, ১৭ জুন, ২০২২
  • ২৪০ এই পর্যন্ত দেখেছেন

স্টাফ রিপোর্টার: সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক উপচে পানি তীব্র বেগে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে এ সড়কে ঝুঁকি নিয়ে সীমিত পরিসরে যান চলাচল করছে। অন্যদিকে সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে।

সিলেটের সদর উপজেলার কিছু অংশ, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও ‍সুনামগঞ্জে বন্যায় আটকে পড়াদের উদ্ধারে নামছে সেনাবাহিনী। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মজিবুর রহমান।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা থেকে রেসকিউ বোট আসছে। বোটগুলো আসলে দুই জেলার সব উপজেলায় উদ্ধার অভিযানে নামবে সেনাবাহিনী।

এদিকে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সিলেটে আবারও দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়ক উপচে তীব্র বেগে পানি ঢুকছে। উজানি ঢলে একের পর এক তলিয়ে যাচ্ছে সিলেটের বিভিন্ন উপজেলা। গ্রাম ছেড়ে লোকজন আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছে। গবাদিপশুর জায়গা হয়েছে মহাসড়কে। বানভাসি মানুষের ভোগান্তি এখন চরমে।

স্থানীয়রা বলছেন, পানি প্রচণ্ড বাড়ছে। অনেক অসহায় পরিবার আছে যারা খাবার পাচ্ছে না। আমরা যা পারছি এলাকা থেকে সাহায্য-সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি।

অনেকে দাবি করছেন, এলাকায় যেসব বহুতল স্কুল ভবন আছে সেগুলোকে যেন অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র বানানো হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা পর্যন্ত জেলার প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার বিভিন্ন পয়েন্টে পানি বেড়েছে। কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৯৯ সেন্টিমিটার ও সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এছাড়া কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩ সেন্টিমিটার এবং সারি নদের সারিঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর বাইরে জেলার ছোট ছোট অন্যান্য নদ-নদীর পানিও ক্রমশ বাড়ছে।

স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও বন্যাকবলিত মানুষেরা জানিয়েছেন, সিলেট নগরের অন্তত ২০টি এলাকার পাশাপাশি জেলার কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, সদর, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ছয় শতাধিক গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এসব এলাকায় বেড়েছে জোঁক, সাপ ও পোকামাকড়ের উপদ্রব। চলাচলের জন্য মিলছে না নৌকা। ফলে জরুরি প্রয়োজনে কেউ ঘরের বাইরে বেরোতে পারছেন না।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সিলেট নগরের তালতলা, জামতলা, মির্জাজাঙ্গাল, কালীঘাট, মাছিমপুর, মেন্দিবাগ, উপশহর, তেরোরতন, যতরপুর, সোবহানীঘাট, চালিবন্দর ও ঘাসিটুলা এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার অনেক রাস্তায় পানি থই থই করছে। বাসা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়েছে। বানের পানির সঙ্গে ভেসে আসছে ময়লা-আবর্জনা। এসব পানি থেকে দুর্গন্ধও ছড়াচ্ছে।

জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন আন্তরিকভাবে কাজ করছে। যাঁদের বাড়িঘরে পানি উঠেছে, তাঁদের আশ্রয়কেন্দ্রে নতুবা নিরাপদ স্থানে চলে আসতে বলা হচ্ছে। খাদ্যসংকট দূর করতে দেওয়া হচ্ছে ত্রাণ সহায়তা। সেনাবাহিনী দ্রুত উদ্ধার তৎপরতা শুরু করবে

ইউকেবিডিটিভি/ বিডি / এমএসএম

দয়া করে খবরটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এই ক্যাটাগরিতে আরো যেসব খবর রয়েছে
All rights reserved © UKBDTV.COM
       
themesba-lates1749691102