যুক্তরাজ্য অফিস: ইউক্রেন-রাশিয়ার সংঘাতে এবার পিছু হটল যুক্তরাজ্যও। রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্য কোনো যুদ্ধবিমান পাঠাবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস। এই যুদ্ধ বিমান পাঠানো রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল বলে দাবি করেছেন তিনি। বিবিসি শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এদিকে, নিজেদের আকাশসীমায় নো-ফ্লাইং জোন করার দাবি জানিয়েছিল ইউক্রেন। তবে সেই দাবি নাকচ করে দিয়ে ওয়ালেস জানান, ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য নয়।
বিবিসিকে ওয়ালেস বলেন, নো-ফ্লাই জোন করতে হলে আমাকে সরাসরি রাশিয়ার যুদ্ধবিমানগুলোর বিরুদ্ধে ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করতে হবে। ন্যাটোকে কার্যকরভাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালে ইউক্রেনকে ন্যাটো জোটের অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে ব্রিটেনের পৃষ্ঠপোষকতা এবং সমর্থন থাকার পরও অন্য দেশগুলো চায়নি কিয়েভ ন্যাটো জোটের সদস্য হোক।
তবে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে না জড়ালেও বৃহস্পতিবার রাশিয়ার জাতীয় বিমান সংস্থা অ্যারোফ্লটের বিমান ব্রিটেনে অবতরণের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাজ্য। এর জবাবে শুক্রবার রাশিয়ার বিমানবন্দরে ব্রিটিশ বিমান অবতরণ নিষিদ্ধ করেছে রাশিয়া। এমনকি নিজের আকাশসীমাতেও ব্রিটিশ বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা।
এই পদক্ষেপ ‘যুক্তরাজ্যের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অবন্ধুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের’ প্রতিক্রিয়ায় নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়া।
এদিকে, রাশিয়া-ইউক্রেনের সংঘাতে মার্কিন সেনারা কখনোই জড়াবে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে বৃহস্পতিবার পূর্ণশক্তিতে সামরিক অভিযান শুরুর পর বাইডেন এ কথা জানান বলে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
হোয়াইট হাউস থেকে বাইডেন বলেন, আমাদের বাহিনী ইউক্রেনে রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাতে জড়িত নয় এবং ভবিষ্যতেও জড়িত থাকবে না। ইউক্রেনের হয়ে যুদ্ধ করতে আমাদের সেনারা ইউরোপ যাবে না।
তবে ন্যাটো মিত্রদের রক্ষা করতে বিশেষ করে পূর্বাঞ্চলে ন্যাটো মিত্রদের রক্ষায় করতে ইউরোপে মার্কিন সেনা উপস্থিতি থাকবে বলে জানান বাইডেন।