

হবিগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমান মাদক নিয়ন্ত্রনে কটোর ভাবে কাজ করছেন। তিনি মাদককে না বলুন নীতিকে সামনে নিয়ে প্রতিদিন অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। তার দৃঢ় অবস্থানে মাদক ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে গেছে। এখন পর্যন্ত হবিগঞ্জ মাদকের বড় বড় কয়েকটি চালান তিনি আটক করেছেন। তার নেতৃত্বে ৮টি উপজেলার মধ্যে পুলিশের মাদক নিয়ন্ত্রনে বিশেষ টিম কাজ করছে।
তার নির্দেশনায় প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে মাদকের চালান আটক হচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের উপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। আন্তজেলা মাদক কারবারিরা মহাসড়কের ছন্মবেশ ধারন করে মাদক পাচার করে। পুলিশের বিশেষ টহল টিম এসব মাদক ব্যবসায়ীকে পাকড়াও করার কারনে তারা এখন বিকল্প পথ বেছে নিয়েছে।
হবিগঞ্জ জেলার সীমান্ত অঞ্চল দিয়ে যাতে মাদক পাচাররোধ করা যায়, সেই দিকে তিনি নজরদারি বৃদ্ধি করেছেন। ভারতীয় মাদক রোধে পুলিশ সুপার নিজে দিকনির্দেশনা দিয়ে অভিযান পরিচালনা করছেন। পুলিশ তাদের নজরদারি ও টহল বৃদ্ধি করেছে। পুলিশ এখন শক্তিশালী সোর্স নিয়োগ করেছে। ফলে মাদক কারবারিদের আতংকের নাম হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমান ।
মাদক কারবারিদের যমদূত হিসাবে আবির্ভুত হয়েছেন হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার। মাদক ব্যবসায়ীদের চক্ষুশূল হলেও সাধারন জনতার কাছে প্রশংসায় ভাসছেন পুলিশ সুপার হবিগঞ্জ। সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন ভাবে পুলিশ সুপারকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন সচেতন মহল। রাজনৈতিক নেতাদের কাছে তিনি অনেক প্রশংসায় ভাসছেন মাদকের এই ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা করার জন্য যুব সমাজকে। তিনি হবিগঞ্জের যুব সমাজকে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা করে সুশীল সমাজের কাছে প্রশংসায় পাচ্ছেন। মাদকের বিশেষ অভিযান গুলো পুলিশ সুপার হবিগঞ্জ এর তত্বাবধানে নির্দেশনা মোতাবেক করা হয়।
গত ১৫ দিনে ১১টি অভিযানে ১শ ২৭ কেজি গাজা, ৮শ কেজি ভারতীয় ফুচকাসহ মাদকের বিশাল চালান ও ১৮জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকাল ৮ ঘটিকার সময় চুনারুঘাট থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট পৌরসভার বান্নিপার্ক রেস্টুরেন্টের সামন থেকে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে ৬ কেজি গাজাসহ আটক করেন। একই দিনে সকাল ১০ ঘটিকার সময় হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের একটি অভিযানে পুরাতন ঢাকা সিলেট মহাসড়কের চুনারুঘাট চন্ডি মাজার গেইট থেকে ১৫ কেজি গাজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। গত ১৫ অক্টোবর হবিগঞ্জ গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ সদর থানার পাইকপাড়া বাইপাস এলাকা থেকে ৩০৮ পিস ইয়াবা সহ একজন ইয়াবা ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। ১৪ অক্টোবর শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ ওলিপুর স্কয়ার কোম্পানির সামনে থেকে ৭০ কেজি গাজা আটক করা হয়। এসময় গাজা ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়।
১৩ অক্টোবর হবিগঞ্জ গোয়েন্দা (ডিবি)পুলিশের বিশেষ টিম অভিযান চালিয়ে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের ওলিপুর রেল ক্রসিংয়ের মেষ মাথায় রাস্তা ডিভাইডারে সামন থেকে ৮শ কেজি ভারতীয় ফুচকাসহ ৩ চোরাকারবারিকে আটক করা হয়। ১১ অক্টোবর হবিগঞ্জ গোয়েন্দা (ডিবি)পুলিশের বিশেষ টিম অভিযান চালিয়ে হবিগঞ্জ শহরে আধুনিক স্টেডিয়াম এর সামনে থেকে ৮ কেজি গাজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। ১০ অক্টোবর হবিগঞ্জ বাহুবল থানা পুলিশের বিশেষ টিম অভিযান চালিয়ে মীরপুর এলাকার রঘুরামপুর থেকে ১২ কেজি মাদকসহ একজনকে আটক করা হয়। ৭ অক্টোবর হবিগঞ্জ গোয়েন্দা (ডিবি)পুলিশের বিশেষ টিম অভিযান চালিয়ে মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া বাজারের কাঁচাবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪৫ হাজার টাকার জাল নোটসহ দুইজনকে আটক করা হয়।
৩ অক্টোবর হবিগঞ্জ গোয়েন্দা (ডিবি)পুলিশের বিশেষ টিম অভিযান চালিয়ে হবিগঞ্জ সদর থানা এলাকা থেকে ভারতীয় আমদানি নিষিদ্ধ ১৫ বোতল ইস্কোপ কগ সিরাপ, এককেজি ৫শ গ্রাম গাজাসহ দুইজন,একই দিনে চুনারুঘাট থানাধীন গোল চত্বর এলাকার শ্যামলী বাস কাউন্ডারের সামনে থেকে ৪কেজি গাজা সহ একজনকে আটক করা হয়।
২৭ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ গোয়েন্দা (ডিবি)পুলিশের বিশেষ টিম অভিযান চালিয়ে মাধবপুর উপজেলার তেলিয়া পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭কেজি গাজাসহ ২জনকে আটক করা হয়।
২৬ সেপ্টেম্বর মাধবপুর থানা পুলিশের বিশেষ টিম অভিযান চালিয়ে মাধবপুর থানাধীন মাধবপুর বাস স্ট্যান্ড, মর্ডান বাস কাউন্টারের সামনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপর চেকপোস্ট বসিয়ে ভারতীয় তৈরী আমদানি নিষিদ্ধ ফেইস ওয়াস ১১৫০ পিস,স্পট ফেইস ওয়াস ৬০০ পিস ও ১টি মাইক্রোবাস সহ ২জন চোরাকারবারিকে আটক করা হয়।
হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমান বলেন, আমরা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছি। হবিগঞ্জ এর যুব সমাজকে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষার জন্য পুলিশ দিবারাত্রি কাজ করছে। মাদক নির্মুলের জন্য পুলিশ বিশেষ টিম কাজ করছে। আমরা সার্বক্ষনিক সোর্স নিয়োগ করেছি কোন অবস্থায় যাতে মাদক কারবারিরা আমাদের চোখে ফাঁকি দিতে না পারে । সীমান্ত অঞ্চল গুলোতে টহল জোরদার করা হয়েছে যাতে ভারতীয় মাদক প্রবেশ করতে না পারে।
তিনি বলেন, আমরা মাদকের বড় চালান আটককারীদের পুরস্কৃত করছি। আমি জানি মাদক নির্মুল করা কঠিন চ্যালেঞ্জ তবুও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বিগত এক মাসে ১৫/২০ টি চালান আটক করেছি। মাদক কারবারিদের মধ্যে তীব্র আতংক সৃষ্টি হয়েছে, হবিগঞ্জে যতদিন আছি তাদের যমদূত হয়ে কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ।