বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, মায়ানমারে করিডোর দেয়ার ষড়যন্ত্র, চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশীদের হাতে লিজ দেয়া, হাজার হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, বাড়িঘর লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট, গণতন্ত্র বিপন্ন করা, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিদেশীদের হাতে তুলে দেওয়া এবং আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়নের প্রতিবাদে যুক্তরাজ্য তাঁতীলীগ এর উদ্যোগে এক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পূর্ব লন্ডনের ঐতিহাসিক আলতাব আলী পার্কে অনুষ্ঠিত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী।
যুক্তরাজ্য তাঁতীলীগের আহবায়ক এম এ সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শিপন কুরেশী, সিজিল মিয়ার যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি জালাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, সহ সভাপতি হরমুজ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক শাহ শামীম আহমেদ, মানবাধিকার সম্পাদক সারব আলী, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক তারিফ আহমদ, লন্ডন মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাউর রহমান মোজাহিদ, যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ সাদেক, যুক্তরাজ্য যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল আহমদ খান, ফয়েজুর রহমান, ফয়েজ, মুদাব্বির হুসেন চুন্নু,সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদ আলী, প্রবাস বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার কামাল দুলাল, রাসেল আহমেদ জুয়েল, আওয়ামিলীগ নেতা মিজানূর রহমান হিরু, ইকবাল হুসেন, আলী আকবর, সাবেক ছাত্র নেতা আকিকখান-ফরিদ উদ্দিন ইমন, সাহেদ আহমেদ, রায়হান তারেক,হেলাল মিয়া, তাজুল ইসলাম, বশির আহমেদ, সারোয়ার কবির, ফজলে রাব্বি স্বরন, ফখরুল কামাল জুয়েল, খালেদ আহমেদ শাহীন, নজরুল ইসলাম, রিপন কুরেশী প্রমুখ ।
নারী নেত্রীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুবমহিলা লীগের ছামিয়া আক্তার সুরভী, ছাত্রলীগের হাবিবা আক্তার ও শাহিদা আক্তার রিবা, আওয়ামী লীগ নেত্রী শুহাদা বেগম, সাইমা খান। এছাড়াও বক্তব্য দেন যুবলীগ নেতা শোয়েব আহমদ, আব্দাল মিয়া, দিলদার আলী ও জাহির আহমদ মোহন।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, তথাকথিত ইউনূস সরকার বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। তারা বলেন, এই সরকার দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশীদের হাতে তুলে দিয়েছে, মায়ানমারকে করিডোর দিয়েছে এবং সেন্ট মার্টিন দ্বীপ আমেরিকাকে হস্তান্তরের চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে।
সমাবেশে বক্তারা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে “অবৈধ দখলদার” আখ্যা দিয়ে যুক্তরাজ্যে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। তারা বলেন, ইউনূস সরকার বাংলাদেশে হাজার হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, বাড়িঘর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে জনগণের অধিকার হরণ করছে।বক্তারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে পূর্ণ সম্মানে পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এখনই সময় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর।”