[ আমি বেশ পাকাপোক্ত প্রেমিক বলা যেতে পারে ! সাতপুরুষের সম্পত্তি আগলে রাখার মতোই এই প্রেম ও প্রতিশব্দময় ভালোবাসা”- কে আমি আগলে রেখেছি ৷ আমার প্রেম ? কিভাবে বর্ণনা করবো ভেবে পাচ্ছিনা , তবু এই এক ঘেয়েমি প্রশ্নটা যখন নানান দিক থেকে পাই , তখন না বলে পারছি না ৷ আমার জীবনে প্রেম বহু বার এসেছে ও গেছে ! কাছে থেকেছে খুব কম , অনাহুতো অতিথির মতোই ! আমি তখন শ্রীরামপুর হুগলীর পূর্ণচন্দ্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জুনিয়র ক্লাসে পড়ি ৷ আমার পাশে একই বেঞ্চে শুভ্রা নামে একটা মেয়ে বসতো , ভীষণ সুন্দরী একটা ফুটফুটে মেয়ে ! আমি স্কুলে পড়া পারি বা না পারি , প্রতিদিন ওই ছোট্ট শুভ্রা মেযেটার জন্য স্কুল কামাই করতাম না ! আমাদের ঝিলবাগানের কুসুমকুঞ্জের বাড়িতে আমি আমার জ্যাঠতুতো দাদা-দিদি ও বড়দের কাছে শুভ্রার গল্প করতাম ৷ দাদা , দিদি , ও বাড়ির বড়রা আমাকে ঠাট্টা করে বলতো ; “রানা তোর সাথে শুভ্রার বিয়ে দিয়ে দেব !”— একটা কথা এখানে বলি , আমার ডাক নাম রানা ৷ এই রানা ব’লে বাড়ির সবাই আমাকে ডাকে ৷ ওদের কথা আমি ওই অল্প বয়সে বিশ্বাস করে ফেলে ছিলাম , একটু একটু করে শুভ্রাকে আমি ভালোবেসে ফেলে ছিলাম ! তখন প্রেম বা ভালোবাসা কাকে বলে সেটাই জানতাম না , তবে কিছু একটা যে মনের মধ্যে ঝড় তুলেই চলেছে সেটা অনুধাবন করতাম !
বাড়ির যারা আমাকে বলেছিল শুভ্রার সাথে আমার বিয়ে দিয়ে দেবে , সেই ওদের কথা আমি শুভ্রাকে বলেও ছিলাম ! আমার কথা শুনে ওই মেয়েটা সেদিন এক হাতে মুখ ঢেকে হেসে ছিল ! সে স্মৃতি এখনো আমার অন্তরের অন্তঃস্থলে গোচ্ছিত আছে ! সেই শুভ্রা একদিন স্কুলে আসা বন্ধ করে দিলো ! স্কুলের অন্য সব বন্ধুদের কাছে ওর কথা জিজ্ঞাস করাতে কেউ বলতে পারেনি শুভ্রা স্কুলে আসছেন কেন ! একদিন টিফিন প্রিয়ডে আমাদের স্কুলের কমলবাবু নতুন দিদিমুনিকে কি যেন বলছিলেন , আমি একটু দূরেই দাঁড়িয়ে ছিলাম ৷ কান পেতে শুনলাম কলমবাবু বলছিলেন ; শুভ্রা মেযেটার ব্লাড ক্যানসার হয়েছে ও আর স্কুলে আসবেনা ! সত্যি শুভ্রা আর কোনোদিন স্কুলে আসেনি ! ওর বাড়ি কোথায় , সেটাও আমার জানা ছিল না ! মেয়েটা বেঁচে আছে , না মরে গেছে , তাও জানিনা ! তবে এখনো আমার মনের মন্দিরে সেই মিষ্টি হাসি মাখা সুন্দর মেয়েটা এখনো আছে ! এটাই প্রেম , যা আমাকে এই ছাপান্ন বছর বয়সেও অহর্নিশ ডুবিয়ে মারে ! এরপর বড় বেলাতেও প্রেম এসেছে , আবার ফুঁড়ুৎ করে পালিয়েও গেছে !
আমার পরবর্ত্তী সময়ে ওই সব প্রেম”- নানা ভাবে , নানা রূপে কবিতায় এসেছে ! নবনীতা’-কে নিয়ে আমার কবিতার পাঠকদের মধ্যে গুঞ্জন শোনা যায় ৷ আমি নবনীতাকে নিয়ে প্রচুর কবিতা লিখেছি ৷ আমার , কথা না রাখার কথা শীর্ষক কাব্যগ্রন্থে নবনীতাকে নিয়ে বেশকিছু কবিতা আছে ৷ এই নবনীতা কে , কেন , এবং আমার সাথে কি সম্পর্ক সেটা আ মি বলতে পারবো না ৷ এটা বলে ফেললে কবিতার মেজাজটাই নষ্ট হয়ে যাবে ৷ তাই না ,—- ? তবে কি আমার কাব্যগ্রন্থ কথা না রাখার কথা’- তে এবং বিভিন্ন কবিতানির্ভর পত্র – পত্রিকায় “নবনীতা” নামক নারী চরিত্র নানান সময় এসেছে ৷ এই নিয়ে পাঠকদের প্রশ্ন , আগ্রহ এবং আন্তরিক উৎকণ্ঠা ছিল আছে থাকবে ৷ এই সব নিয়ে আমি বেশি ভাবি নি , যা ভেবেছি সব কবিতায় রয়ে গেছে ৷ ]
___________________________________
একগুচ্ছ কবিতা কোলাজ
আমার একটা নৈঃশব্দে ঢাকা দুনিয়া ছিল , ওখানে রাত জেগে ছবির চরিত্র গুলো পাহারা দিত ; যাতে মধ্যরাতের ছেকা খাওয়া কোকিল না ডেকে ওঠে !
সেই অপ্রমেয় অনুরাগ থেকে বেরিয়ে আসার সময় ভা-লো-বা-সা দূর রাস্তায় মিলিয়ে গেল ! তবুও স্বপ্নের মধ্যে হাত এগিয়ে দেই চেনা কোন যন্ত্রণার দিকে স্পর্শ দিতে ,……
তবু কেন ঘরে ফেরার সময় হতেই মৃদু কান্নার শব্দে মনে হয় ; কিছু ফেলে যাচ্ছি না তো ?
বেশ কিছু সত্য আঁধার আঁকা পথে বিমুর্তের ছদ্মবেশ নিয়ে কষ্টে – শিষ্টে হেলেদুলে চলে ! ছায়াপাখী অশরীর তবুও সে ইন্দ্রিয়ঘন ; তন্নিষ্ঠ স্বপ্নের কাছে ,—–
যদিও দর্পণে জ্বলে যায় সংরক্ত লোভের সুকুমার দেবদূত ৷
কেউ কেউ জ্যোৎস্নায় ভেজায় সপ্রতিভ অবিশ্বাস ; তবু সত্যের চেহারা নিয়ে অর্ধেক পুরুষ মৃত মনটাকে বেহুঁশ পরিবেশের ভয় দেখায় !
অনেকটা গ্লানি স্মৃতি ধারণ করে আজীবন বাঁচে ; শেষ রাতের মন্ত্র শুনে রাস্তার মৃত গাছে বসা ডানাহীন একলা একক সত্যবান পেঁচা আয়ুভীক্ষা করে যাবতীয় ঈশ্বর দেবতার কাছে !
ঘুম ঢাকা প্রহর ; নতমুখ সুদীর্ঘ সময়ের ভীড়ে কী যেন ভেবেছে এতকাল ! এরই মধ্যে বোবা ইতিহাস পাশের রাস্তায় অচেনা গাম্ভীর্যে মনে মনে বলে ওঠে বিবেক দংশনের গল্প !!
মধ্যপথে এসে দাঁড়ালে ; ঋণগন্ধে ম-ম করে বহতা প্রবাহ ! অঙ্কবীজের তর্ক ভাঙে শুদ্ধ শব্দের অকৃপণ দোষ ,
তবু ও তো কথা পাড়ায় মহল্লায় জমে আছে সাতাশটা মৃত্যুর রক্তের দাগ …… এভাবেই শুরু হয় কোলাজ কাব্যের জটিল সময় !
অন্য অনিয়মের মত
ঘুরে তাকিয়েছি আড়চোখে যেই ; সহজেই খুব বেশি করে মুখ নামিয়ে নিলো ……. শেষ পর্যন্ত ঐ স্মৃতিসৌধের ভেতর কিছু পুড়ে ওঠার গন্ধ পেলাম ! এ আমারই প্রেম …..
অন্য রকম চেহারা নিয়ে গভীরে বসন্ত এল , তবু হাতের মুঠোয় পরজন্মের ঋণের ফর্দ ভাজ করে লেখা আছে । সহজ সত্য কথা ওকে বলতে না পারার লজ্জা ; প্রতি জন্মে আমাকে এভাবেই মৃত্যুর রাস্তায় এনে দাঁড় করিয়েছে !!
অন্য কোন কারণে
যদি অপ্রেমেয় হই ; তাহলে প্রতি জন্মে ভালোবাসায় পুড়তে রাজি আছি !
এই মুহূর্তে অনলাইনে যাচাই করে কিনেছি বাইশটা ছেঁকা খাওয়া হৃদয় , ক’দিনের তন্ত্র মন্ত্রে দীক্ষিত সেই সঙ্গীহীন প্রেমগুলো দর্পণের সামনে দুঃসাহসে উলঙ্গ হয়ে নেচেছে কাঙালের ছদ্মবেশ নিয়ে ……
তাই বলে আমি প্রিয়ংবদাকে একবারও ফড়িং করে এডালে – ওডালে বসতে বলিনি ! এ আমার অনেক কালের দৃঢ় প্রত্যয় !
কত
ভাবে
নত
হই ;
তৃণ হয়ে থাকি লৌকিক সভায় , স্বপ্নচোখ বন্ধ রাখি নানাবিধ অহং ধুলোতে
যদি ভুল করে সর্বনাশ ডেকে আনি মনের দালানে !
এই একবার ছুঁই বুকের মধ্যে ডুবে থাকা পুরুষ আমিকে ; এই একবারই দু’চোখে নদী হই ভালোবাসা দরজা বন্ধ করে দিলে !
ভাঁজপত্রের ওপ্রান্ত দিয়ে ভেতর গুপ্ত পদচারণা ; নত হয়ে মাটির কাছে চেয়েছি জ্ঞানপুস্তক ! শরীর গন্ধে বাতাস ভেসেছে ওই সেখানে , হাত ধরে নিয়ে এলাম পদ্মচক্রের সাতরঙা পরীকে …..
কবিতার জরায়ু থেকে মন পোড়া দুরগন্ধ চিরমুগ্ধ দর্পণে নৃশংস সুন্দর দেখায় ; তবুও এঁকে নিতে হয় বিজ্ঞাপনের নগ্ন প্রতীমার ঋতুবতী কুমারী সোহাগ !
বৃষ্টির ভেতর চাঁদ ভাসে দস্যুমেঘের বুকে ,—- ওর মুন্ডু – রক্ত – ধড় বিনম্র একেকার ! তাই কালনিসিন্ধা পাতা চিবিয়ে অন্য ঘরে উঁকিমামার স্বভাব ভুলি ; অন্য এক শরীর সামনে ধরা পরলে !
শেষ স্তবকে শুদ্ধ শব্দের রূপকথা ; যোনির উপমা ভরা স্বপ্লাভ প্লাবন ,—- সেখানেও স্পষ্টতই অন্তহীন শূন্যতা ; যতদূ-র বোধের মধ্যে হৃদয়ঙ্গম অসুখ নির্ঘুম – নির্ঘুম !
এবার নাভিমূলে জেগে ওঠে প্রেতীনীরা ! ওখানে কিছু কিছু রাত তারাদের ঠুনকো উপহাস ; অচেনা অন্ত্যমিলে লেখা ৷
সেখানে আমিও কবিতার নির্মাণ নিয়ে কাঙালপনা করেছি রক্তাক্ত হৃদয়ের কাছে !
নিঃশব্দে ঈশ্বরের হাত চেপে ধরতেই ; গোপনাঙ্গ পেঁচিয়ে ধরে স্মৃতিসর্পিনী ,——
আমার সাথে অসংজ্ঞায়িত যাবতীয় অশরীর স্মৃতি ও প্রতিটা জন্মের মৃত্যুর ; সেজন্য সময় কাটেনা দুঃখে – অভিমানে !
মনের পোশাক খুলে উলঙ্গ হয়ে ঘুরেছি বেশ কিছু কাল ; কবিতাগুলো অসুখের ভেতর অহর্নিশ এভাবেই মৃত অথচ জীবীত ,——
বেঁচে উঠি সম্পূর্ণ বায়বীয় হয়ে ; যেভাবে উচ্চারণ করি বৃষ্টির ভেতর প্রিয় কবিতার শেষ লাইন ! সেটাও ভিজে ওঠে আমার কান্নায় …..
চোখের মধ্যে হঠাৎ যেন বিধিবদ্ধ পাপ কথা বলে !!
গর্ভের ভেতর
চোখ তোর এভাবেই অন্ধকার নিয়ে নির্ঘুম ন’মাস রাত পাড় করে ,
তবুও তো প্রাণ তোর কথা আঁকে জন্মবাসরে !
সময় ছুটেছে দিন – রাত গোপন করে ; অশান্ত মনে পোয়াতী কিশোরী অবশেষে সন্তানের স্পর্শ সুখে মাতে !!
জেগে থাকার মগ্নতায় বদলে নিলাম আকাশ ! অন্দরে তখন বোধিসত্ত্ব বয়সহীন একা এভাবেই ,—– যদি কথায় মন নিয়ে এগিয়ে এলে গভীরে চেনা রাস্তায় চলাচল করে বর্ণমালা !
সেই একই ভাবে শব্দ দেখবো অনন্ত দ্রাঘিমার ভেতর ; মৃত স্মৃতি মন পোড়ায় শয়ন শিয়রে , তবুও চোখের মধ্যে চাঁদ – তারা – অন্য নক্ষত্রেরা দু’দিনের ঘৃণায় ছায়াহীন দুঃস্বপ্নের ডাকে মৃত্যুর প্রতিনিধি !
শেষ একবার ইচ্ছে করেই উলঙ্গ হলাম ! এই নগ্নতা ঈশ্বরীয় ; সকাল – সন্ধ্যার মত অস্থায়ী ভাবে বিবর্ণ দৈবাৎ ,—-
যদি প্রতিদিনের অসুখগুলো পরমুখাপেক্ষী না হতো ; তাহলে বৃষ্টিবিন্দুগুলো সাক্ষী থাকতো অকৃপণ সময়ের কাছে !
শেষ বারের মত হাওয়ায় ভেসে উঠলাম ,—- তাই শরীরহীন প্রার্থনা নিয়ে আদেখা ঈশ্বরকে বলি আগামীজন্মে আমাকে ঘুড়িজন্ম দিও হে প্রেমময় !!
শব্দ প্রহর গুনছে অন্য কিছু চোখ ,
মনের মধ্যে জ্বলে ওঠে ভাষার প্রাসাদ । যদিও নতুন কাব্যের পান্ডুলিপি ভস্মীভূত হয়েছে উষ্ণ জিজ্ঞাসায় …..
ঝড় ওঠে সমস্ত শরীরের ভাবনা ভুলে গিয়ে !
হাত বাড়িয়ে দিতেই
বন্ধু তুমি একবার দেখে নাও বিপরীতে কেউ নেই তো !
চেনা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা নির্ঘুম ছায়া ; সেও চাঁদের সৌরভ ছুঁয়ে ছুঁয়ে একক অ্যালবাম , অথচ এই বহতা প্রবাহে সময় নিঃশব্দে দরজা বন্ধ করে সুচারু শৈলীতে !
শেষ পর্যন্ত ঐ চোখ
যা এখন অন্য কোন প্রেমে স্বপ্নে বিভোর !
যদিও সেই চোখে বসত ছিল এই আমিটার , …… অনেক বসন্তের স্মৃতির ভেতর মন পেতে দিলে ; একান্তে চুপশব্দে কথা বলে চার পাশের দেওয়াল !
শেষটুকু শব্দশ্বাস ফেলে তবেই শরীর ছেড়ে আমার আত্মগোপন ; এহেন এক্ষণে জোনাক প্রহর ! সমস্ত সস্তা বৈভব , কিছু কিছু উল্টো সময়ের বিমূর্ত ধ্বনী ; জরুরী মনে করে ফেলে আসা সন্ধ্যার ওই রাস্তাতে রাতটাকে কাছে টেনে নিতে ,—– অশরীর এভাবে !
এই ঘরে আমার তেইশটা বছর ; একই নিঃসঙ্গ যাপন …. তবুও সহজ সত্য নিরবতায় প্রাচীন দর্পণ থেকে অবশেষ নিঃশব্দে আমার ইচ্ছাকৃত নির্বাসন !
দু’চোখে ডুবে আছে যাবতীয় স্বপ্নের স্মৃতি ; মৃত্যুর প্রত্যন্ত গভীরে চেনা মুখগুলো এই নীরবতামাখা দেহটাকে কতযে আবেগ শৈলী দিতে চারপাশ ছেঁয়ে ফেলে !
বহু কালের কথার চেহারা গুলো এভাবেই দীর্ঘশ্বাস ছড়িয়ে দেয় ফুল-চন্দন বৃত আমার শরীরে ,——
সব সত্য এভাবেই মেনে নিতে নিতে ভোরের আজানে আমি শ্মশানে জ্বলি বহতী নীরবতায় !
যদিও আত্মঘাতী কিছু স্মৃতি ; যাদের জন্য আমি মৃত্যুর পরবর্তী সময়েও সতত যন্ত্রণা নিয়ে মৃত্যুর ভেতর থেকে চড়ম অস্থিরতায় নতুন করে বেঁচে উঠি !
এভাবেই শরীরহীন অদ্ভুত শিহরণ ওঠে অপছন্দের কিছু ছদ্ম আদর্শ দেখে ; নিজের জ্বলে ওঠা শরীরের উপর বসে স্বপ্নে ভাসা দূরে মিলিয়ে যাওয়া অতীত গুলোকে নিঃশব্দ মাখা মৌন চিৎকারে বলি ; বিদায় বন্ধু , শেষ হোক প্রাণহীন অন্তরে যাবতীয় স্তব্ধতা ! দূরে ব-হু দূ–রে আয়নার তেপান্তর ; অথবা স্মৃতিশূন্য হোক আমার নির্নিমেষ নির্বাসন ! !
জল রঙের আকাশ
প্রাচীন মিশরের পিরামিড ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায় , স্বপ্ন ছেঁড়া পেট কাটা রুগ্ন ঘুড়িটা ; বেমালুম পলাতক বর্ণ সৌরভের মোহে !
তবুও নিয়েছি চিনে গোটা বিশ্বের অন্তিম রেখা ,….. দূরে অন্য কোথাও আবিস্কারের গন্ধ স্বপ্নের ভিতর অহনিশ নির্ঘূম ৷
জল রঙের চোখ ; জীবন দেখেছে মৃত্যুর পর ! সেই এক দিন নিজের নামে শয়তান পুষেছে হাতের রেখায় ,….. কথা নষ্ট করে বেদ-ঈশ্বর ভাবুক আগুনে আঁকে সর্বনাশী এক নারীর শরীর ! তবু ঠিকানাহীন বেপাত্তা সেই ঘুড়িটা বেদ- ঈশ্বরীও’র সন্ধনে !!
কবি পরিচিতি : বাংলা কাব্য সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক ৷ ৭০ দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে তাঁর লেখালিখির সূচনা I জন্ম ১৬ ই জুন , ১৯৬৪ হুগলী জেলার ঐতিহাসিক শহর শ্রীরামপুরের ঝিল বাগান অঞ্চলের কুসুমকুঞ্জে ৷ বর্তমান নিবাস শ্রীরামপুরের ফিরিঙ্গি ডাঙা রোডের মাতৃনিবাস “ছায়ানীড়” ৷ বহু পুরস্কার- এ ভূষিত কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক ৷ ২০২২ কবিতার শ্রেষ্ঠত্বের জন্য “সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় স্মৃতি সম্মান এবং ২০১৫ সংবাদ এখন পত্রিকা থেকে “বাংলা শ্রী” সম্মান লাভ করেন । সম্প্রতি California TV LIVE Show তে শ্রেষ্ঠ কবির সম্মান সহ “ভয়েজ অফ কিং” সম্মানে ভূষিত হন কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক I প্রথম শ্রেণীর পত্র-পত্রিকা , লিটল ম্যাগাজিন এবং বেশ কিছু কাব্যগ্রন্থের শ্রষ্ঠা ৷ ১) কথা না রাখার কথা ২) নির্বাচিত কবিতা ৩) গাছবৃষ্ট চোখের পাতা ভিজিয়ে ছিল ৪ ) নীল কলম ও একান্নটা চুমু …. ইত্যাদি ৷ দু’ই বাংলার তিনি জনপ্রিয় কবি ৷ কবিতা চর্চার পাশাপাশি তিনি কলকাতার একজন বিশিষ্ট আবৃত্তিকার ৷ বেতার , দূরদর্শন , youtube channel এবং মঞ্চর নিয়মিত আবৃত্তিশিল্পী ৷