কিছুতেই যেন ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারছে না পাকিস্তান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৫৫৬ রান করেও শেষমেশ তাদের হারতে হয়েছে ইনিংস ব্যবধানে। এ নিয়ে টানা ছয়টি টেস্ট হারল পাকিস্তান। টেস্টে গত ১৮ ইনিংসেও একটি ফিফটি পাননি বাবর আজম। ধুকছে দলটি বোলাররাও।
অথচ, দলের এই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে কত চেষ্টায় না চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। কোচ, অধিনায়ক ও ক্রিকেটার কতকিছুতেই না পরিবর্তন এনেছে দলটি। ফল সেই একই। এমন অবস্থার কারণ কি; তা নিয়ে হচ্ছে আলোচনা। এবার ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক নাসের হুসেন জানালেন পাকিস্তানের ব্যর্থতার সাতকাহন।
বাবর আজমের ব্যর্থতা নিয়ে নাসের বলেন, ‘তাদের (পাকিস্তানের) সেরা খেলোয়াড় – একজন বিশ্বমানের খেলোয়াড় – বাবর আজম ভয়ঙ্করভাবে ফর্মে নেই। এই পিচে একটি হাফ সেঞ্চুরি ছাড়াই নয়টি টেস্ট ম্যাচ খেলল সে! সম্ভবত এটি মনস্তাত্ত্বিক। সে কঠিন এক সময় পার করছেন। সবকিছু মিলিয়ে সে সাদা বলের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছেন।’
বাবরের ওপর চাপ নিয়ে সাবেক এই ইংলিশ অধিনায়ক বলেন, ‘বিশ্বের এই অংশে, আপনি যদি বাবর আজম হন এবং আপনি একটি হাফ সেঞ্চুরি বা সেঞ্চুরি ছাড়াই দুটি ম্যাচ খেলেন, তাহলে চাপ তৈরি হয়। আর এখানে তো আট, নয়টি টেস্ট হয়ে গেছে। কাজেই চাপ অবশ্যই তার ওপর রয়েছে।’
পাকিস্তানের পেসারদের কম গতির বিষয়টিও তুলে ধরেন নাসের। বলেন, ‘আপনি তাদের তিনজন সিমারের কাউকেই দেখবেন না এই মুহূর্তে তারা খুব গতিতে বল করছে। এটি একটি বিপজ্জনক সংমিশ্রণ। আপনার একটি টপ অর্ডার আছে যা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যর্থ হচ্ছে এবং আপনি নিশ্চিত নন যে কোন পিচটি আপনার বোলিং আক্রমণের জন্য উপযুক্ত হবে।’
পাকিস্তানের স্পিনার নিয়েও প্রশ্ন আছে নাসেরের। তার মতে, ‘স্পিনকে খুব একটা হুমকি বলে মনে হচ্ছে না। তাদের স্পিনারদের অবস্থান কোথায়? ঐতিহাসিকভাবে, আমরা আব্দুল কাদির, সাকলাইন মুশতাক এবং মুশতাক আহমেদের বিপক্ষে খেলতাম। তারা সবসময় দুর্দান্ত রহস্যময় স্পিনার তৈরি করেছে।’
নিউজ /এমএসএম