সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২০ পূর্বাহ্ন

১০ পরামর্শ মানলে আপনার ঘুমের মান হবে আরো উন্নত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • খবর আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ২৩ এই পর্যন্ত দেখেছেন

আমরা আমাদের জীবনের এক তৃতীয়াংশ সময় ঘুমের মধ্যে কাটাই, কিন্তু তবুও অনেকেই ঘুমানোর সঠিক পদ্ধতি জানেন না। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) জানায়, প্রতি ৩ জন আমেরিকানের মধ্যে ১ জন রাতে ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমাতে পারেন না। আর যুক্তরাজ্যের ২০২০ সালের ইউগভ জরিপে দেখা গেছে, ১৮ শাতংশ ব্রিটিশ নাগরিক দিনে ৬ ঘণ্টারও কম সময় ঘুমানের সুযোগ পান। এটা বিশেষজ্ঞদের মতে ‘অপর্যাপ্ত এবং অস্বাস্থ্যকর’।

এই ঘুমের অভাব আমাদের স্বাস্থ্যকে ক্ষতি করতে পারে। ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের ক্লিনিকাল হেলথ সাইকোলজিস্ট ড. অ্যালাইনা টিয়ানি বলেন, খারাপ ঘুমের ফলে মনোযোগ কমে যায়, স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়, এবং অবসাদ এবং ক্ষোভের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এমনকি শারীরিক অসুস্থতার কারণও হতে পারে।

দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কিছু সমস্যা থাকে আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। যেমন নিরাপত্তাহীন এলাকায় বাস করা বা একাধিক চাকরি করা। তবে আমাদের কিছু অভ্যাস রয়েছে যা আমরা সহজেই পরিবর্তন করতে পারি। আসুন দেখি ঘুমের জন্য সবচেয়ে সাধারণ ভুলগুলো এবং সেগুলো এড়ানোর উপায়।

ভুল ১: অনেকেই জানেন না যে তাদের কতটা ঘুম দরকার। বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য রাতের বেলা ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি। কিন্তু এর চেয়ে বেশি বা কমও হতে পারে। আপনার শরীর ও মনের দিকে নজর দিন। যদি আপনি অস্থির বা ক্লান্ত বোধ করেন, তাহলে হয়তো একটু বেশি ঘুমানোর প্রয়োজন হতে পারে।

ভুল ২: রাতের খাবারের পরে অতিরিক্ত খেলে অস্বস্তি এবং গ্যাস হতে পারে, যা ঘুমাতে বাধা দেয়। আবার, খুব কম খেলে ক্ষুধা লাগতে পারে, যা রাতের ঘুমে বিঘ্ন ঘটায়। তাই নিয়মিত সময়ে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।

ভুল ৩: বিছানায় যাওয়ার আগে ফোন বা টিভির স্ক্রীনে তাকানো একেবারেই উচিত নয়। স্ক্রীনের নীল আলো আমাদের সতর্ক করে তোলে এবং ঘুমাতে দেরি করে। বরং এক্ষেত্রে কিছুটা সময় শান্তিপূর্ণভাবে বই পড়া বা হালকা মিউজিক শোনা যেতে পারে।

ভুল ৪: রাতের খাবারের পর পরই কাজে ঝুঁকে পড়া বা অতি ব্যায়াম করা আপনার মস্তিষ্ককে শান্ত হতে দেয় না। অন্তত ৩০-৬০ মিনিটের জন্য শান্ত পরিবেশে কিছু সময় কাটান, তাহলে ঘুমাতে সুবিধা হবে।

ভুল ৫: দিনের বেলায় কিছুটা বিশ্রাম নেয়া ভালো, তবে সেটা যেন ৩০ মিনিটের বেশি না হয়। বেশি সময় ঘুমালে রাতে ঘুমের সময় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

ভুল ৬: বিছানাকে শুধু ঘুম ও বিশ্রামের জন্য ব্যবহার করুন। যদি রাতে ঘুমাতে না পারেন, তাহলে বিছানা ছেড়ে কিছুটা শান্তভাবে যে কোন কাজ করুন। বিছানার সঙ্গে ঘুমের সম্পর্ক তৈরি করতে হবে।

ভুল ৭: সপ্তাহের দিনগুলোতে ঘুমের অভাব অনেকে ভাবেন যে সপ্তাহে ঘুম কমিয়ে সপ্তাহান্তে ঘুমের ঘাটতি পূরণ করা যাবে, কিন্তু এটা সত্যি নয়। নিয়মিত কম ঘুম হলে আপনার শরীরে ঘুমের ঘাটতি তৈরি হয়।

ভুল ৮: ঘুমের সময় যদি অসঙ্গতিপূর্ণ হয়, তবে শরীর তাতে অভ্যস্ত হতে অনেক সময় নেয়। চেষ্টা করুন একই সময়ে ঘুমাতে এবং উঠতে।

ভুল ৯: ক্যাফিন ও অ্যালকোহল গ্রহণ ক্যাফিন এবং অ্যালকোহল ঘুমকে বিঘ্নিত করে। ক্যাফিনের প্রভাব কাটাতে প্রায় আট ঘণ্টার মত সময় লাগে। তাই দুপুরের পরে কফি পান করা এড়িয়ে চলুন।

ভুল ১০: ঘুম নিয়ে চিন্তা করাটাই সবচেয়ে খারাপ। উদ্বেগ একধরনের স্ব-বাঁধা প্রবণতা তৈরি করে, যা আপনার ঘুমকে আরো খারাপ করে দেয়। তাই চিন্তা মুক্ত হয়ে বিশ্রাম নিন।

এই টিপসগুলো মনে রাখুন এবং ঘুমের মান বাড়ানোর চেষ্টা করুন। সুস্থ থাকুন এবং ভালো ঘুমানোর চেষ্টা করুন!

 

নিউজ /এমএসএম

দয়া করে খবরটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এই ক্যাটাগরিতে আরো যেসব খবর রয়েছে
All rights reserved © UKBDTV.COM
       
themesba-lates1749691102