ছাতকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী মতিউর রহমান হাসান (পাগল হাসান) স্মরণে অচিনপুরী ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এক স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সিলেট নগরীর লামাবাজারের সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব সাহাদত হোসেন লোলনের সভাপতিত্বে এবং চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা.জহিরুল ইসলাম অচিনপুরীর সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় বক্তারা বলেন, সংগীতের উবর্রভূমি আমাদের এ সিলেট। এখানের আলো বাতাসে সুরের মুর্চনা। তাই এই সিলেটে জন্ম নিয়েছেন খ্যাতিমান সব গীতি কবিরা। হাসন রাজা, দূর্বিন শাহ, রাধারমন, আব্দুল করিমের পথেই হাঁটছিলেন পাগল হাসান। কিন্ত ১৮ এপ্রিল সকালে সড়ক দূর্ঘটনায় প্রান হারান খ্যাতিমান এই ক্ষণজন্মা শিল্পী। সারা দেশে নেমে আসে শোকের ছায়া। আমরাও তাঁর পরিবারের সাথে সমব্যাথায় ব্যথিত। স্মরণসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে দীর্ঘদিনের সংগীতের সহযোদ্ধা, শুভাকাংখী, পরিচিতজনেরা আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন।
পাগল হাসানের রুহের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া পরিচালনা করেন ডা.জহিরুল ইসলাম অচিনপুরি। স্মরণসভা শেষে উপস্থিত সবার মতামতের ভিত্তিতে পাগল হাসানের গীতিকর্ম সংরক্ষণ এবং পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতার জন্য ‘পাগল হাসান স্মৃতি সংসদ’ নামে একটি সংগঠন গঠন করা হয়।
ডা.জহিরুল ইসলাম অচিনপুরীকে আহ্ববায়ক এবং গীতিকার ও সুরকার সাহাদত হোসেন লোলনকে সদস্য সচিব করে এই আহ্ববায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন মো.জাহাঙ্গীর আলম, জাকির শাহ, এম কামরুল চৌধুরি, মোঃ ফয়সাল, অলক কর, জুয়েল আরমান চৌধুরি, শাখাওয়াত আলী শাহা, ওয়াদুদ হোসেন, শাওন কর, মামুন শাহরিয়ার, এ কে এম কামরুজ্জামান মাসুম, ইকবাল সাঁই, আশরাফুল ইসলাম অনি, বাউল প্রতীক রাজু, মো.কামরুল ইসলাম, হিমেল কান্তি দেব, সাজ্জাদ সুমন।
সভা থেকে ছাতক সুরমা ব্রীজের সম্মুখ চত্বর পাগল হাসানের নামে নামকরণের দাবি জানানো হয়। তাছাড়া একটি ব্যাংক একাউন্ট খোলা এবং বিকাশ, রকেট একাউন্ট খোলার জন্য একটি সিম ক্রয়, পাগল হাসানের গানগুলো সংগ্রহ করে একত্রিতভাবে বই আকারে প্রকাশ, পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতার জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
আহ্ববায়ক ডা.জহিরুল ইসলাম অচিনপুরী এবং সদস্য সচিব সাহাদত হোসেন লোলন এ বিষয়ে পাগল হাসানের সকল সংগীতপ্রেমী ও শুভাকাংখীদের সহযোগিতা কামনা করেন।