মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চা শ্রমিক সন্তানের লেখাপড়ার দ্বায়িত্ব নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন। বিভিন্ন বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছয় চা শ্রমিক শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার দ্বায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূড়ভূড়িয়া চা বাগানের ৬ ছয় জন শিক্ষার্থীর মধ্যে উদয়ন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী সৃষ্টি পাল, দশম শ্রেণীর ছাত্রী বৃষ্টি পাল, ৮ম শ্রেণীর পুর্নিমা দোষাদ, ৬ষ্ঠ শ্রেনীর তৃষা রবি দাশ, ৬ষ্ঠ শ্রেণীর কেয়া রবি দাশ ও কমলগঞ্জ সরকারি গণমহাবিদ্যালয়ে একাদশ শ্রেনীতে অধ্যয়নরত সৌরভি মৃধা।
ছয় শিক্ষার্থীর মধ্যে পুর্নিমা দোষাদ এর মা খুবই অসুস্থ, স্কুল বন্ধ হলেই মাটির কাজ করে বাবার সাথে সে সাংসারিক কাজে সহায়তা করে, পাশাপাশি ছোট বোনের লেখাপড়ার দ্বায়িত্বও পালন করে যাচ্ছে। এছাড়াও অন্যান্য শিক্ষার্থীদের পরিবারও অনেকটা মানবেতর জীবনযাপন অতিবাহিত করছে। এমতাবস্থায় শ্রীমঙ্গলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজীব মাহমুদ মিঠুন নিজ কাঁধে নিলেন এই গুরু দ্বায়িত্ব।
দ্বায়িত্ব নেয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজীব মাহমুদ মিঠুন বলেন, দ্বায়িত্ব নেয়া বলতে, আসলে আমি যখন জানতে পারলাম অর্থের অভাবে ওদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তখনই আমি বিষয়টি আমলে নিলাম। খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম বিষয়টি এমনই, তখনই আমি দ্বায়িত্ব নিলাম। এর মধ্যে দু’জন ছাত্রী ভর্তি হতেই পারেনি। আমার কথা হলো, বর্তমান সরকারের সময় এমনও একজন থাকবে না, যার কিনা শুধুমাত্র অর্থের অভাবে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবে। আমি আমার রুটিন দ্বায়িত্বটা পালন করছি মাত্র। উপজেলা প্রশাসন থেকে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই এই বাচ্চাদের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ায়। শিক্ষার্থীদেরও শর্ত দিয়ে বলেছি, লেখাপড়ায় ভালো করতে হবে।