নিজেকে স্নিগ্ধ-সুন্দর রুপে উপস্থাপন করতে বেশ সময় নিয়ে ঘটা করেই প্রস্তুতি নিয়েছেন জনপ্রিয় ও লাস্যময়ী অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। উপলক্ষ্য ছিলো মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার ২০২২। এ আয়োজনের জন্যই সাজপোশাক নিয়ে তার যতসব প্রস্ততি। আয়োজনের দিন তার পোশাক থেকে শুরু করে গহনা ও হাতের ব্যাগ সবকিছুই ছিল একেবারে অনন্য। বিশেষ করে কালো শাড়িতে বাধনকে আরো অনন্য লাগে। সেই শাড়িতেই বনেদি সাজে সেজেছিলেন তিনি। বিশেষ করে বাঁধনের সাজের অন্যতম আকর্ষণ ছিল তাঁর কানের ইয়ারকাফ ও ব্লাউজের নকশা।
মিরপুর বেনারসি সিল্ক শাড়ির ওপর ছিল সোনালি জরি সুতার কারুকাজ। শাড়ির নকশায় পুরোনো দিনের ধাঁচ থাকলেও ব্লাউজে এনেছেন একেবারে আধুনিক নকশা। এখানেই যেন ভিন্ন ভাবনার বহিঃপ্রকাশ। ব্লাউজের একদিক দিয়ে ফিরোজা ও কালো রঙের বাড়তি কাপড় যোগ করাতেই চলে এসেছে ভিন্নতা। এই দুই রঙের বাড়তি কাপড়ের টুকরাটাই পেছনে গিয়ে বড় বো হয়ে গিয়েছে। বাঁধন বলেন, ‘আমি জানি শাড়িতেই আমাকে অন্য যেকোনো পোশাক থেকে বেশি সুন্দর লাগে।’ তা ছাড়া শাড়িতেই সবচেয়ে বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন তিনি। বাঁধনের পুরো সাজের দায়িত্বে ছিলেন ফ্যাশন ডিজাইনার কুহু প্লামন্দন। তাঁর নকশার শাড়ি-ব্লাউজ পরেই লালগালিচায় হেঁটেছেন বাঁধন।
এক পাশের কানে অর্ধসূর্যের মতো বিচ্ছুরিত সোনালি রঙের ইয়ারকাফটি বানিয়ে দিয়েছেন সিক্স ইয়ার্ডস স্টোরির স্বত্বাধিকারী জেরিন তাসনিম খান। বাঁধনের জন্য আগেও বেশ কয়েকটি ভিন্ন আঙ্গিকের গয়নার নকশা করেছেন তিনি। এবার চুলের সাজ বুঝে ইয়ারকাফটির নকশা করেছেন জেরিন। অভিনেত্রীর এক পাশে টেনে খোঁপা বাঁধা চুলের অন্য পাশে ডালপালা উঠে গেছে। ইয়ারকাফটিতে ব্লাউজের সঙ্গে মিলিয়ে বসিয়েছেন ফিরোজা রঙের পাথর। জেরিন বলেন, ‘বাঁধনের ব্যক্তিত্বের দৃঢ়তা এবং আত্মবিশ্বাস ফুটিয়ে তুলবে এমন একটি গয়না তৈরি করতে চেয়েছিলাম। সেভাবেই নকশা করেছি।
খুব সাদামাটা সাজকে অনন্য করে তুলতে এ ধরনের আধুনিক গহনার জুরি নেই।’ ইয়ারকাফের সঙ্গে মিলিয়ে অভিনেত্রীর হাতের আংটিও জেরিনের বানানো। গয়না ও ব্লাউজের সঙ্গে মিলিয়ে ফিরোজা রঙের বটুয়া ব্যাগটি তৈরি করেছেন ফ্যাশন ডিজাইনার চন্দনা দেওয়ান। মেকআপ সাধারণত নিজের হাতে করলেও, একা হাতে করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করলেও, এবার ফারজানা শাকিলের কাছে সেজেছেন বাঁধন।
নিউজ /এমএসএম