ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে দেখা করতে অঘোষিত সফরে যুক্তরাজ্যে গিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, সোমবার স্থানীয় সময় সকালে জেলেনস্কি যুক্তরাজ্যে পৌঁছান।
এক টুইটার পোস্টে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, সামনাসামনি আলোচনার জন্য ‘বন্ধু’ ঋষি সুনাকের সঙ্গে দেখা করতে আসা। আমাদের আকাশ ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে যাচ্ছে যুক্তরাজ্যের এই নেতা। এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করি।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শুরু করতে যাচ্ছে ইউক্রেন। জেলেনস্কি বলেছেন, পাল্টা আক্রমণের জন্য প্রচুর সমরাস্ত্র দরকার। অস্ত্র সহায়তার জন্য ইউরোপীয় নেতাদের অনুরোধ জানাচ্ছেন তিনি।
রুশ বাহিনীর দখলে থাকা পূর্ব ইউক্রেইনের লুহানস্ক নগরীর দুইটি শিল্পাঞ্চলে ইউক্রেন সম্প্রতি স্ট্রম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। যুক্তরাজ্য যুদ্ধ সহায়তা হিসেবে ইউক্রেনকে আকাশ থেকে নিক্ষেপ যোগ্য দূরপাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে।
গত বৃহস্পতিবার প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্য বলেছিল, তারা কিয়েভকে দূরপাল্লার ‘ক্রুজ মিসাইল’ সরবরাহ শুরু করেছে। এটা ইউক্রেনকে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে দূরে অবস্থান করেও রুশ বাহিনী এবং তাদের রসদ সরবরাহ ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেয়ার সক্ষমতা এনে দিয়েছে।
স্ট্রম শ্যাডো ক্রুজ ক্ষেণাস্ত্রের বিষয়ে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইউক্রেনের ভূখণ্ডের অভ্যন্তরেই ব্যবহার করতে হবে। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত রাশিয়ার সীমান্তের ভেতরের কোনো লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করতে ব্যবহার হবে না, এমন আশ্বাস কিয়েভের কাছ থেকে পেয়েছেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
এর আগে ইতালির রোমে প্রধানমন্ত্রী জর্জিও মেলোনি ও ভ্যাটিকানে পোপ ফ্রান্সিসকোর সঙ্গে সাক্ষাতের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট রোববার জার্মান সফরে গিয়ে দেশটির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ও প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক ওয়াল্টার স্টেইনমেয়ারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিয়েভকে আরও কামান, গোলাবারুদ, শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ লিওপার্ড ট্যাংক, ভিন্ন মডেলের সাঁজোয়াযান ও ভারী অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন চ্যান্সেলর শলৎস। সূত্র: বিবিসি
নিউজ /এমএসএম