ভয়াবহ গ্যাস সংকটে ব্যাহত হচ্ছে দেশের বিভিন্ন কার্যক্রম। তাই এ ঘাটতি মেটাতে ভোলার উদ্বৃত্ত গ্যাস ঢাকাসহ আশপাশের শিল্পকারখানায় ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে সরকার। সিএনজি (সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস) আকারে ভোলার গ্যাস পরিবহন করা হবে। গ্রাহক পর্যায়ে এই গ্যাসের প্রতি ঘনমিটারের দাম প্রস্তাব করা হয়েছে ৫১ দশমিক ১২ টাকা।
ভোলার গ্যাস সিএনজি আকারে পরিবহনের সম্ভাব্যতা যাচাই কমিটির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। ফেব্রুয়ারি মাসে কার্যকর হওয়া গ্যাসের বর্ধিত দর অনুসারে শিল্প গ্রাহকদের প্রতি ঘনমিটারের দাম এখন ৩০ টাকা। এ ছাড়া সিএনজি ফিলিং স্টেশনে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম পড়ছে ৪৩ টাকা।
গ্যাস সংকটে ব্যাহত হচ্ছে শিল্প উৎপাদন; কমেছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। এমন সংকটে ভোলার গ্যাস আলোচনায় এসেছে। চাহিদা কম থাকায় ভোলার দুই ক্ষেত্রের উৎপাদন সক্ষমতার অর্ধেক গ্যাস তোলা হচ্ছে।
এরই মধ্যে চারটি কোম্পানি সিএনজি আকারে গ্যাস পরিবহনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এগুলো হলো ইন্ট্রাকো সিএনজি দৈনিক ৫ থেকে ২০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি), পার্কার বাংলাদেশ ২৩ দশমিক ৩৪ এমএমসিএফ, হাওলাদার বাংলাদেশ ২৬ দশমিক ৬৭ এমএমসিএফ এবং সুপার গ্যাস ৪ এমএমসিএফ গ্যাস সিএনজি আকারে পরিবহনের প্রস্তাব দিয়েছে।
বিশেষভাবে রূপান্তরিত ট্রাকে সিলিন্ডারে ভরে (ক্যাসকেড প্রক্রিয়ায়) সড়কপথে অথবা বার্জে জলপথে নেওয়ার কথা জানিয়েছে আগ্রহী কোম্পানিগুলো।
জানা গেছে, দৈনিক ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সিএনজিতে পরিণত করে পরিবহনের জন্য ৬০টি কম্প্রেসর এবং ২৩৮টি ক্যাসকেড ট্যাঙ্কার প্রয়োজন।
ভোলার গ্যাস সিএনজি আকারে পরিবহনের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি ৯ সদস্যের কমিটি গঠন করে। কমিটি গত ৩১ অক্টোবর প্রতিবেদন পেট্রোবাংলায় জমা দেয়।প্রতিবেদন অনুসারে বর্তমানে ভোলায় বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৮৬ এমএমসিএফ। ভোলার গ্যাসক্ষেত্রের দৈনিক উৎপাদন সক্ষমতা ১২০ এমএমসিএফ। উদ্বৃত্ত গ্যাসের পরিমাণ বর্তমানে ৩৪ এমএমসিএফ।
নিউজ /এমএসএম