পঞ্চগড় সদর উপজেলায় গ্রামীণ কাঁচা সড়ক পাঁকাকরণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের দরুয়া পাড়া এলাকায় কমলাপুর লাঙ্গলগাঁও সড়কের পাশে এলাকাবাসীর ডাকে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় রিক্সা ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সড়ক সম্পাদক আমিনুর রহমান, পঞ্চগড় মটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ২৬৪ এর সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী, শ্রমিক নেতা দুলাল, স্থানীয় রাজেদুল ইসলাম, জয়তুন, সয়ফুল, রাসেল, বেলাল, মানিক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে কমলাপুর, দরুয়াপাড়া, লাঙ্গল গাঁও সহ কয়েকটি গ্রামের তিন শতাধিক পুরুষ, মহিলা সহ শিশুর অংশগ্রহণ করেন।
এসময় বক্তারা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে কমলাপুর লাঙ্গল গাঁও সড়ক ধরে চলাচল করছি অন্তত তিন হাজারের বেশি মানুষ। এখানে ঢ়েমশিমারী পোল্ট্রি ফার্মের ভারী গাড়ি চলাচল করে সড়কটি ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দে ভরা। অনেক সময় গাড়ি সাইকেল নিয়ে মানুষজন গর্তে পড়ে গিয়ে আহত হন। এই সড়ক ধরে মানুষজন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে যায়। প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালিক উচ্চ বিদ্যালয়, মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয় সহ একাধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে এই এলাকায়। অনেক শিক্ষার্থী এই রাস্তা ধরে চলাচল করে। কিন্তু খানাখন্দে তাদের চলাচলে নানা দূর্ভোগ পোহাতে হয়। যদিও বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইটের খোঁয়া ও বালু দিয়ে রোলার করে সাময়িক সড়কটি সংস্কার করেছে। কিন্তু তা স্থায়ী নয়। আমরা চাই সড়কটি পাঁকা করা হোক।
পোল্ট্রি ফার্ম রাস্তা দিয়ে ভারী গাড়ি নিতে চায় কিন্তু তাদের কারণে তো রাস্তা আবার ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আমরা আন্দোলন করছি এ কারণে আমিনুলকে পা ছিড়ে ফেলার হুমকি দিয়েছে ছাত্রদলের নেতা রাজু। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। আমরা তার বিচার চাই। আমরা চাই ফার্মের গাড়ি চলুক আমরা বাঁধা দেইনা। কিন্তু তাদের গাড়ির কারণে সড়কে মানুষ চলাচল করতে পারেনা। কেননা সড়কটি খুবই সংকীর্ণ। সড়কটি প্রশস্ত করে পাঁকাকরণ করা জরুরী। আর ফার্মের লোকজন আমাদের সাথে আলোচনায় বসুক। আমরা প্রশাসনের লোকজন সহ সবাই মিলে এর সুষ্ঠু সমাধান করবো। তবে কোন ছলচাতুরী করলে এর ফলাফল ভালো হবে না।
পরে পঞ্চগড় মটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ২৬৪ এর সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী, শ্রমিক নেতা দুলাল হোসেন দ্রুত সবাই বসে বিষয়টি সুরাহার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষ করেন স্থানীয়রা। তবে কোন ছলচাতুরী করলে বৃহৎ আন্দোলনের হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন তারা।