বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ১২:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শ্রীমঙ্গলে উপজেলা ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত দুষ্ট চক্র থেকে চা শিল্প রক্ষার উপায় বের করতে হবে কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক এর নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ কবিতাগুচ্ছ সদর হাসপাতালে অনিয়মের সত্যতা মেলেনি আওয়ামীলীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত নবীগঞ্জে ভুয়া আইডি খুলে মানহানিকর পোষ্ট প্রচারে ক্ষোভ ও নিন্দা সঠিকভাবে হজ্ব পালনে সহায়তায় বৃষ্টলে হজ্ব প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত দুর্নীতি বৈষম্যের সৃষ্টি করে- ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য ও পানির দুষণ রোধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

সরকারি ওয়েবসাইটে ৫০ হাজার বার সাইবার হামলা!

আইটি ডেস্ক
  • খবর আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০২৪
  • ৫১ এই পর্যন্ত দেখেছেন

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সরকারী চাকরিতে কোটা বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট দফায় দফায় সাইবার হামলা হয়েছে। গত ১০ দিনে ৫০ হাজারেরও বেশি বার এমন এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানান তিনি ।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে  ‘চলমান সময়ে সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক জরুরি সভা’ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী ।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমাদের হাতে এখন পর্যন্ত যে তথ্য আছে, তাতে গত ১০ দিনে ৫০ হাজারের বেশি বার সাইবার হামলা চালানো হয়েছে। তাতে আমাদের ৮টি সরকারি ওয়েবসাইট ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছে হ্যাকাররা। কোনো ওয়েবসাইট পুরোপুরি হ্যাকড হয়নি। সরকারি কোনো ওয়েবসাইট থেকে তথ্য-উপাত্ত চুরির কোনো ঘটনা ঘটেনি।

তিনি বলেন, ডিএনএস সিস্টেম যেটাকে আমরা বলি, সেটা যখন ডাইভার্ট করে যখন কেউ কোনো ওয়েবসাইট ব্রাউজ করতে গেছেন, তখন তাকে সেখান থেকে অন্য একটা ওয়েবসাইটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে নেয়ার পর ব্যবহারকারীকে শুধু ফ্রন্ট পেজটা দেখানো হয়েছে যে, এই ওয়েবসাইট হ্যাক হয়েছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সাইবার হামলা বেড়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সাইবার হামলা প্রতিনিয়তই হয়। হামলাকারীরা প্রতিনিয়তই জাতীয় নিরাপত্তার আওতায় থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট হ্যাক করার চেষ্টা করে থাকে। তারা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও হামলা চালায়, সেখান থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার জন্য। তবে হ্যাঁ, সম্প্রতি আন্দোলনের মধ্যে সাইবার হামলা কিছুটা বেড়েছে, এটাও সত্য।

এর আগে দুপুর ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সাইবার নিরাপত্তা সভায় উপস্থিত ছিলেন টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক, জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, বাংলাদেশ ব্যাংক, সিভিল অ্যাভিয়েশন, পুলিশ, ডিজিএফআই ও এনএসআই-এর প্রতিনিধিরা।

এর আগে গত ২২ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট হ্যাক হয়েছিল- এমন তথ্য সঠিক নয় দাবি করে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি জানার পর আমরা পর্যালোচনা ও অনুসন্ধান করে দেখেছি, বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট হ্যাকড হয়নি। তাদের নিয়মিত লেনদেন ও সব কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতে চলেছে। যে সমস্যাটুকু হয়েছিল, সেটা আমরা চিহ্নিত করতে পেরেছি, সমাধানও করেছি। বিষয়টি আমরা তদন্ত করেছি, এটা অতি গোপনীয়। এজন্য এটা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে পারবো না।

নিউজ /এমএসএম

দয়া করে খবরটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এই ক্যাটাগরিতে আরো যেসব খবর রয়েছে
All rights reserved © UKBDTV.COM
       
themesba-lates1749691102