যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত তিন ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীকে গুলি করা হয়েছে। তবে হামলাকারীর ব্যাপারে কিছু জানায়নি পুলিশ। গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থীরা শঙ্কামুক্ত রয়েছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালায় মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এতে ১৪০০ ইসরায়েলি নাগরিক প্রাণ হারায়। জবাবে গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। বিমান হামলা ও স্থল অভিযানে ১৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ২৫ হাজারেরও বেশি। তাদের বেশিরভাগই বেসামরিক। সামরিক হতাহত এড়াতে বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছিল। হামাসের পক্ষ থেকেও প্রথম এমন আভাস মিলে মঙ্গলবার। গতকাল বুধবার মধ্যস্থতাকারী কাতারের পক্ষ থেকে জানানো হয় বেশ কিছু শর্ত মেনে দুই পক্ষ রাজি হয়।
হামলা শুরুর পর থেকেই বিশ্বজুড়ে শঙ্কা ও সংঘাত ছড়িয়ে পড়তে থাকে। যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই এই হামলায় ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে আসছিল। তবে দেশটির সাধারণ মানুষ বাইডেন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আসছে। লাখ লাখ মানুষ যুদ্ধ বন্ধে বিক্ষোভ করেছে।
তবে অন্যদিকে ইসরায়েলের সমর্থনেও মিছিল হয়েছে। বেড়েছে ফিলিস্তিন বিদ্বেষ। একাধিকবার ফিলিস্তিনিরা আক্রমণের শিকার হয়েছেন। সর্বশেষ গতকাল শনিবার আক্রমণের শিকার হলেন তিন ফিলিস্তিনি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিম তীর থেকে স্নাতক শেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শিক্ষা নিতে যান হিশাম আওয়াতারনি, কিননা আবদেল হামিদ ও তাহসিন আহমেদ। তারা যথাক্রমে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি, হাভেরফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও ট্রিনিটি কলেজে পড়াশোনা করছেন।
এর মধ্যে হিশামের পিঠে গুলি করা হয়, তাহসিনের বুকে। হালকা চোট পান আবদেল হামিদ। তাদের পরিবারের সদস্যরা একে বিদ্বেষমূলক হামলা বলে অভিহিত করেছেন। তবে পুলিশ এখনো হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছু জানায়নি।
নিউজ /এমএসএম