বাংলাদেশে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শেখ হাসিনা সরকারের ওপর বাড়িত চাপ প্রয়োগ করছে। এতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে পারে। আর এর সুযোগ নিতে পারে চীন। বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রকে স্পষ্ট করেছে ভারত।
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে- আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে বাড়ি চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। এতে করে বাংলাদেশে চরমপন্থী শক্তি আরও শক্তিশালী হতে পারে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, নয়াদিল্লি বিশ্বাস করে যে- অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ইস্যুতে মার্কিন চাপ বাংলাদেশকে চীনের কাছাকাছি ঠেলে দিতে পারে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সূত্র বলছে, ভারতীয় পক্ষ সম্প্রতি বেশ কয়েকবার কথোপকথনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এ বিষয়ে ভারত উদ্বেগ জানিয়েছে। তারা আরও জানায়, নয়াদিল্লি আরও বিশ্বাস করে যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ইস্যুতে মার্কিন চাপ বাংলাদেশকে চীনের কাছাকাছি ঠেলে দিতে পারে, এই অগ্রগতি এই অঞ্চলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
ভারতীয় পক্ষ স্পষ্ট করে বলেছে, তারাও বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া চায়। তারা মার্কিন নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছে, এই বিষয়ে খুব বেশি চাপ শুধুমাত্র চরমপন্থী ও মৌলবাদী শক্তিকে উৎসাহিত করবে, শেখ হাসিনা সরকার যাদেরকে সফলভাবে দমিয়ে রেখেছে।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের আধা-সামরিক বাহিনী র্যাব ও এর বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা ছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০২৩ সালের মে মাসে বাংলাদেশী নাগরিকদের মধ্যে যাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে অভিযোগ উঠবে তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন চাপের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতির সুযোগ নিতে পারে চীন – ভারতের এ নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। ২৩ আগস্ট জোহানেসবার্গে ব্রিকস সম্মেলনের এক ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে চীনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের মন্তব্যের পরে ভারতের এমন উদ্বেগ বেশ মাথাচারা দিয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, শি হাসিনাকে বলেছেন যে চীন “বহিরাগত হস্তক্ষেপের বিরোধিতায়” বাংলাদেশকে সমর্থন করে এবং বেইজিং তাদের মূল স্বার্থে একে অপরকে সমর্থন করার জন্য ঢাকার সাথে কাজ করবে।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে আরও বলেছে, বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক “পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং একে অপরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার” ভিত্তিতে চলে।
নিউজ /এমএসএম