বাংলাদেশে সামরিক শাসন উত্থানের আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বুধবার (১৬ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
সম্প্রতি ভারতের হিন্দুস্থান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বড় দুই রাজনৈতিক দলের বিপরীতমুখিতার কারণে সামরিক শাসন উত্থান হতে পারে এমন প্রশ্ন উড়িয়ে দিয়ে মোমেন বলেন, এটা আমি মনে করি না। এটা আমি বলতে পারব না। গ্রাউন্ড রিয়ালিটি হচ্ছে, বিএনপি বড় বড় মিটিং করে। শুনেছি, ওরা টাকা দেয়; লোক আসে।
বিদেশিদের ষড়যন্ত্র নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশির ষড়যন্ত্র নিয়ে আপনার (প্রশ্ন করা সাংবাদিককে) মাথা ব্যাথার দরকার নাই। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, এগিয়ে যাব। বাংলাদেশ ধ্বংস করার জন্য বিদেশিদের ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না বলে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, দেশ ধ্বংস হোক সেটা বিএনপি চাইবে না বলেও বিশ্বাস করি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা শক্ত অবস্থানে আছি। শক্ত অবস্থানে থাকলে বিদেশি বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্র কাজে লাগবে না। আর আমরা যদি দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ থাকি, কোনো ষড়যন্ত্র এখানে কাজ হবে না। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র সেখানে কাজে লাগে যেখানে অভ্যন্তরীণ সংঘাত থাকে। আমাদের দেশে অভ্যন্তরীণ সংঘাত খুব কম। সুতরাং এখানে কিছু হবে না। আমরা দেশটা ধ্বংস করতে চাই না। আর বিএনপিও চাইবে না দেশটা ধ্বংস হোক। আলাপকালে আফগানিস্তান, সিরিয়া এবং লিবিয়ার প্রসঙ্গ টানেন মোমেন।
তিনি বলেন, যেখানে এগুলো হয়েছে (আভ্যন্তরীণ সংঘাত), মানুষের জন্য অমঙ্গল ডেকে নিয়ে এসেছে। বিএনপিও এটা চাইবে না। আমরা বিশ্বাস, তারাও একটা গণতান্ত্রিক প্রসেসে আসবে। তারা যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, নিশ্চই তারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় চেষ্টা করবে।
বিএনপি তাদের অতীতের ভুল বুঝতে পারবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির এক সিটের জন্য দুই থেকে তিনজন প্রার্থিতা করেছে। এবার তারা তাদের ভুল বুঝবে। এক সিটের জন্য একজন প্রার্থী দেবে। তাহলে তাদের অবস্থান আরও ভালো হবে। গণতন্ত্রে বিশ্বাস রাখলে তারা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে। এবারের সংসদ নির্বাচন স্বচ্ছ ও সুন্দর হবে বলেও মন্তব্য করেন ড. মোমেন।
নিউজ /এমএসএম