সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শ্রীমঙ্গলে ট্রেনের ধাক্কায় চিকিৎসকের মৃত্যু সাংবাদিক মুরাদ জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক লাঞ্ছিত আজমিরীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক বিসিক এর প্লট বরাদ্দ নিয়ে শ্রীমঙ্গলে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত সম্প্রীতির বন্ধনে দেশকে এগিয়ে নিতে চাই- সুপ্রদীপ চাকমা পার্বত্য শান্তিচুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ পঞ্চগড়ে বিএনপির ৩১ দফার প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত শেখ হাসিনা সহ সকল নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে ইএসডিও’র পিএফ ও গ্র্যাচুইটি সুবিধাদির চেক বিতরণ অনুষ্ঠিত

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল

তত্ত্বাবধায়কের দাবি আদায়ে সরকারকে বাধ্য করবো

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • খবর আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ২২ জুন, ২০২৩
  • ১০৩ এই পর্যন্ত দেখেছেন

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজ সমগ্র জাতি সরকার পরিবর্তনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গেছে। এই সরকারের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাবো না। তাই জনগণের প্রতিনিধিকে ক্ষমতায় আনতে অবশ্যই একদফা আন্দোলনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়কের দাবি আদায় ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই।

বুধবার (২১ জুন) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে হোটেল সিক্স সিজনে পঞ্চদশ সংশোধনীর সাংবিধানিকতা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখনো সংবিধান সম্মত শীর্ষক সেমিনার তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে নিজেদের মন্তব্য উপস্থাপন করেন অতিথিরা।

তারা বলেন, তত্বাবধায়ক নিয়ে বিএনপির দাবি যৌক্তিক। কারণ, সরকার গণতন্ত্রের পথে এখন সবচেয়ে বড় অন্তরায়। শেখ হাসিনাকে একদফা আন্দোলনের মাধ্যমে পদত্যাগ করাতে না পারলে কোনো সমাধান হবে না।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ২০০৬ সালে বিরোধী দলের নেত্রী থাকা অবস্থায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী একটি বক্তব্য রেখেছিলেন- ‘সংবিধানের ধারা অব্যাহত রাখতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিধান কার্যকর করতে হবে’ সংস্কারের কথা বলে তিনি সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলেছিলেন। তবে আজ কেনো তত্ত্বাবধায়ক দিতে তার এতো আপত্তি।

ফখরুল বলেন, তবে সরকার যতই আপত্তি তুলুক সব রাজনৈতিক দলগুলো একই দাবিতে একমত হয়েছি- আমরা সরকারের পদত্যাগ চাই। এই সংসদের বিলুপ্তির মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর চাই। একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের সামনে তত্ত্বাবধায়কের গুরুত্ব তুলে ধরা।

তিনি বলেন, আজ এই বিষয়টি পরিস্কার হয়ে গেছে আওয়ামী লীগ অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বাকশাল কায়েম করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তাই আমাদের এখন একটাই লক্ষ্য আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বাধ্য করে তত্ত্বাবধায়কের দাবি আদায় করে নির্বাচনে যাওয়া। কারণ, নির্বাচন ছাড়া জনগণের প্রতিধিদের ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব না।

সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিনলেন-বিএনপির স্হায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আল নোমান, এ জেড এম জাহিদ, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আহমেদ আজম খান।

এছাড়াও কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মে: জে: ইব্রাহিম, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা হাসনাত কাইয়ুম, সাইফুল হক, গণ-ফোরামের মেতা অধ্যাপক আবু সাঈদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নুরুল হক ব্যাপারী সহ সংবিধান বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও আই আর আই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, স্বাধীনতার মূল চেতনা ছিলো গণতন্ত্র। অথচ দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে যারা সরকার গঠন করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথম এ দাবি তোলে, এরপরে মওদুদ আহমেদ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তত্ত্বাবধায়কের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করেন। অথচ ভোট চুরি করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা তত্ত্বাবধায়কের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

তিনি বলেন, সরকারের কাছ থেকে তত্ত্বাবধায়ক আদায় করে নিতে হবে। রাজনৈতিক সমাধান আদালতের মাধ্যমে হয় না, রাজপথেই হয়। তাই রাজপথ ছাড়া আমাদের বিকল্প নেই, সবাইকে একসঙ্গে নামতে হবে। ভাগাভাগি লাভ-লোকসান নিয়ে সময় নষ্ট করে লাভ নেই। অর্জনের আগে ভাগ হয় না। তাই এসি রুমে বসে আওয়াজ তুলে কোনো লাভ নেই। জনগণের দাবি এক শেখ হাসিনার পদত্যাগ, এই দাবি নিয়ে মাঠে নামতে পারলে কেউ রুখতে পারবে না।

নিউজ /এমএসএম

দয়া করে খবরটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এই ক্যাটাগরিতে আরো যেসব খবর রয়েছে
All rights reserved © UKBDTV.COM
       
themesba-lates1749691102