সরকারি ব্যয়ে আকাশপথে প্রথম শ্রেণিতে বিদেশ ভ্রমণ স্থগিত করা হয়েছে। মহামারী পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষাপটে সরকারি ব্যয় যৌক্তিকীকরণের নানা পদক্ষেপের আওতায় এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশ কার্যকর থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সংক্রান্ত নির্দেশনায় বুধবার সই করেছেন বলে জানিয়েছেন তার সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস।
তিনি জানান, কোভিড পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষাপটে সরকারি ব্যয় যৌক্তিকীরণের নানামুখী পদক্ষেপের আওতায় সরকারি ব্যয়ে আকাশপথে ‘প্রথম শ্রেণি’তে বিদেশ ভ্রমণ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ভারসাম্য প্রতিকূলে চলে যাওয়ায় চলতি বছরের শুরু থেকেই দেশে বিদেশি মুদ্রার সরবরাহ কমে যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা যাচ্ছে না। একই সঙ্গে আমদানি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ব্যয় সাশ্রয়ে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়।
এর আগে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে গত বছরের ১২ মে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বন্ধের নির্দেশ দিয়ে পরিপত্র জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়।
পরে একই বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর এক আদেশে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণের শর্ত কিছুটা শিথিল করে সরকার।
সেবার সীমিত আকারে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে কর্মকর্তাদের বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দিয়ে আদেশ জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়।
পরে গত ৯ নভেম্বর আবারও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। বৈশ্বিক সংকট এবং দেশে ডলার সংকটের কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।