শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:১২ অপরাহ্ন

অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা

হুন্ডি কার্যক্রমকে কঠোর মনিটরিং করতে হবে

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
  • খবর আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ১১ মে, ২০২৩
  • ১১৬ এই পর্যন্ত দেখেছেন

নানা উদ্যোগ নিয়েও রেমিট্যান্স বাড়ানো যাচ্ছে না। ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় ধারাবাহিকভাবে কমছে। অর্থনীতির অন্যতম এ সূচকটির নেতিবাচক গতি দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বৈধ পথে আয় পাঠাতে প্রবাসীদের উদ্বুদ্ধ করতে তাদের জন্য সঞ্চয় ও বিনিয়োগের নতুন স্কিম আনার বিষয়ে জোর দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা। তিনি বলেছেন, বৈধ পথে রেমিট্যান্স আনতে হুন্ডি কার্যক্রমকে আরো কঠোরভাবে মনিটরিং করতে হবে। গত মঙ্গলবার ভোরের কাগজকে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, সাধারণত বিভিন্ন উৎসবে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বেশি হয়। কিন্তু এবারের ঈদে আমরা তা আশানুরূপ দেখিনি। তবে রেমিট্যান্স আসেনি- এমন ধারণা ভুল। হয়তো বলতে পারি, বৈধ পথে আসেনি। তার মানে হচ্ছে, দেশের অর্থনীতিতে এই টাকা যুক্ত হয়েছে। কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রার তালিকায় যুক্ত হয়নি।

তিনি বলেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে বা বৈধ পথে আশানুরূপ রেমিট্যান্স না আসার কারণগুলো আমরা সবাই জানি। একজন প্রবাসী যখন তার প্রিয়জনদের কাছে টাকা পাঠাবে, সে দুটি বিষয় চিন্তা করবে। প্রথমত, সে কত টাকা বেশি লাভ পাবে এবং দ্বিতীয়ত, কত কম সময়ে পাঠাতে পারবে। যারা হুন্ডি ব্যবসায়ী তারা লভ্যাংশ বেশি দেয়। এছাড়া হুন্ডি ব্যবসায়ীদের এজেন্ট থাকে যারা বাড়িতে টাকা পৌঁছে দিয়ে আসে। অন্যদিকে, ব্যাংকে গিয়ে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে নানা ঝক্কি সামাল দিয়ে টাকা আনতে হয়।

তিনি বলেন, মোটাদাগে প্রবাসী আয় নেন গ্রামের নারীরা। ব্যাংকের সেবা নিতে তাদের কিছু দুর্বলতা রয়েছে। এজন্য বৈধ পথে রেমিট্যান্স বাড়াতে এ দুই জায়গাতে ব্যাংকগুলোকে কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে ব্যাংকের ছোট ছোট শাখা, গ্রামীণ পর্যায়ে ব্যাংকের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক অবশ্য কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে। আরো ব্যবস্থা নেয়া দরকার। এক্ষেত্রে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) একটি ভালো ও কার্যকরী উদ্যোগ। গ্রামীণ নারীদের কাছে ব্যাংকের চেয়ে এমএফএস কিছুটা সহজ। তাই ডিজিটাল আর্থিক সেবা ব্যবহারে নারীদের মধ্যে সচেতনতা ও দক্ষতা বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, করোনার সময় অবৈধ চ্যানেল বা হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানো সম্ভব হয়নি বলেই ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বেড়ে গিয়েছিল। তাই বৈধ পথে রেমিট্যান্স আনতে হলে হুন্ডি কার্যক্রমকে আরো কঠোরভাবে মনিটরিং করতে হবে। কারণ, শুধু প্রবাসীদের অর্থ দেশে পাঠাতে হুন্ডি ব্যবহার করে না, যারা কালো টাকা সাদা করতে চায়, তারাও হুন্ডি ব্যবহার করে। এজন্য সংশ্লিষ্টদের উচিত হুন্ডির চ্যানেলকে ভালোভাবে বোঝা এবং বিভিন্ন স্থানে যে লিকেজ বা অস্বচ্ছতা রয়েছে সেই জায়গাগুলো বন্ধ করতে আরো বেশি কঠোর অবস্থানে যেতে হবে।

নিউজ /এমএসএম

দয়া করে খবরটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এই ক্যাটাগরিতে আরো যেসব খবর রয়েছে
All rights reserved © UKBDTV.COM
       
themesba-lates1749691102