সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে ইসলামপুর ছিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার এটিএম শামসুদ্দিন ও কেরানী আলী আকবরের অবহেলার কারণে ২০২৩ সালের দাখিল পরিক্ষার্থী মোঃ রুহুল আমিন বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চলমান দাখিল পরিক্ষায় অংশগ্রহন থেকে বঞ্চিত হওয়ায় মাদ্রাসার সুপার ও কেরানীর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে ও সেচ্ছাচারিতা, দুনীতি এবং চাঁদাবাজির কারণে তাদের চাকরিচ্যুত, অপসারন ও পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার(৮ মে) বিকেলে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের ইসলামপুর ছিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার সংলগ্ন রাস্তায় মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্র পরিষদ, বর্তমান ছাত্র/ছাত্রী ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে সমাজ সেবক আব্দুল মান্নান ফরিরের সভাপতিত্বে মাওলানা আবুল হোসাইনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক পীর মাওলানা গোলামুর রহমান জিলানী, ইউপি সদস্য আব্দুল কাদির, সমাজ সেবক আব্দুল হান্নান, মুক্তার হোসেন, মনির হোসেন, আব্দুল ওহাব, সূরুজ মিয়া, আসমত আলী, আব্দুল বারেক প্রমুখ।
বক্তারা বলেন ১৯৭৩ সাল থেকে সুনামের সাথে পরিচালিত হওয়া এই প্রতিষ্ঠানের বর্তমান সুপার এটিএম শামসুদজ্জামান ও কেরানী আলী আকবর যোগদানের পর থেকেই প্রতিষ্ঠানটিকে
অনিয়ম দুর্নীতি ও সেচ্ছাচারিতার আখরায় পরিনত করা হয়েছে। সুপার ও কেরানীর ঘুষ বাণিজ্যের কারণে অনেক ছাত্রছাত্রীদের জীবন ধংস হয়ে গেছে। ২০২৩ সালের দাখিল পরিক্ষার্থী মোঃ রুহুল আমিন পরিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। মাদ্রাসার সুপার ও কেরানীর সেচ্ছাচারিতা, দুনীতি এবং চাঁদাবাজির কারণে তাদের চাকরিচ্যুত, অপসারণ সহ তাদের দৃষ্টান্তমুলক শান্তির দাবী জানিয়েছেন বক্তারা। অতি দ্রত সময়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর কর্মসুচীর ডাক দেওয়া হবে বলে তারা হুসিয়ারি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে ইসলামপুর সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসার দাখিল পরিক্ষার্থী রুহুল আমিনের রেজিষ্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্রে গরমিল থাকায় পরিক্ষার ৪র্থ দিনে রবিবার (৭ মে)তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এসময় কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে সহকারী কমিশনার( ভূমি) ফয়সাল আহমেদ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অসাদুপায় অবলম্বন করায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন ওই পরীক্ষার্থীকে। রবিবার গণিত পরীক্ষা চলাকালীন ২ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পর কেন্দ্রের সচিব কালিম উল্লাহ খাতাপত্রসহ রুহুল আমিনকে অফিসে নিয়ে আসেন এবং রোল দোয়ারাবাজার নং-২৯৩৯৬২ এর রেজিষ্ট্রেশন কার্ডসহ সকল কাগজপত্র গরমিল থাকার কারণ দেখিয়ে তার স্বাক্ষরিত নোটিশের মাধ্যমে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
জানাযায় রুহুল আমীন নামে অত্র প্রতিষ্ঠানে দুইজন ছাত্র। দুজনের মধ্যে রুহুল আমীন, পিতা- ইউনুস আলী, সৌদি আরবে চলে যায় কিন্তু তার রেজিষ্ট্রেশন হয়। অপরদিকে রুহুল আমীন, পিতা- আব্দুল ওয়াহাব সে রেজিষ্ট্রেশন ফিসসহ যাবতীয় খরচ দেওয়ার পরও তার রেজিষ্ট্রেশন হয় নি কিন্তু সে এডমিট কার্ড পায় এবং সে ইতিমধ্যে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছিলো। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালীন সময়ে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির জরুরী সভা চলছে।