হবিগঞ্জে কথিত মানবাধিকার কর্মীর ৫কোটি টাকার মানহানীর মামলা খারিজ করে দুই সিনিয়র সাংবাদিককে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। হবিগঞ্জের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাহেলা পালভীন এ মামলার রায় দেন।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে সিআর তাজুল ইসলাম এ আদেশ জানান। অব্যাহতি প্রাপ্ত সাংবাদিকরা হলেন, দৈনিক সমকাল, দৈনিক খোয়াইর প্রতিনিধি ও নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এম এ আহমদ আজাদ এবং দৈনিক আমার সংবাদ প্রতিনিধি ও নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সহ সভাপতি এম মুজিবুর রহমান।বিবাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন জেলা বারের সাবেক সভাপতি এড.মোঃ বদরু মিয়া ও এড.শাহ ফখরুজ্জামান।
জানা যায়, ২০১৯ সালে ‘কয়েকটি আইডির ফেসবুক পোষ্ট প্রকাশ নিয়ে গত ১২/০৯/২০১৯ তারিখে কথিত মানবাধিকার কর্মী ফরজুন আক্তার মনি সাংবাদিক এম এ আহমদ আজাদ ও এম মুজিবুর রহমানের নামে ৫কোটি টাকার মানহানী মামলা দায়ের করেন। (সিআর দরখাস্ত মামলা নং৪৪২/২০১৯)
প্রথমে হবিগঞ্জ সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক মামলাটি তদন্ত করে মিথ্যা মামলা হিসাবে ফাইনাল রিপোর্ট দাখিল করেন। এর বিপরীতে বাদী নারাজি পিটিশন দাখিল করলে পরে হবিগঞ্জ পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক মৃনাল দেবনাথ এ মামলার মিথ্যা ও অতিরঞ্জিত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
সাংবাদিক এম মুজিবুর রহমান জানান, সিআইডি পুলিশ তদন্তে কথিত মানবাধিকার কর্মী ফরজুন আক্তার মনির প্রতারণার বিভিন্ন সত্য তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি আমাদের মিথ্যা মানহানীর মামলা দায়ের করেন। পরে পিআইবি পুলিশ পরিদর্শক মৃনাল দেবনাথ একটি মিথ্যা ও অতিরঞ্জিত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বিধায় বিচারক মামলা খারিজ করে আমাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
উল্লেখ্য যে,গত ৬ নভেম্বর সিলেট সাইবার আদালতের বিচারক আবুল কাশেম সরকার কথিত ফরজুন আক্তার মনিকে একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ৬বছরের কারাদন্ড ও ৪লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ বছর ৯ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। ৬মাস জেল হাজতে থাকার পর বর্তমানে সে মহামান্য হাইকোর্টের আপিল বিভাগের জামিনে রয়েছে।এছাড়া গত বছরে ফরজুন আক্তার মনি নবীগঞ্জের ৬ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করে, যা আদালত খারিজ করে সাংবাদিকদের মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন।