মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) থেকে ইংল্যান্ডে জুনিয়র ডাক্তাররা বেতন বাড়ানোর দাবিতে চারদিনের ধর্মঘট পালন করছেন। স্বাস্থ্য পরিষেবায় ধর্মঘটের বিপুল প্রভাব পড়েছে। সরকারি ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের ইতিহাসে এরকম ধর্মঘট আগে কখনো হয়নি।
হাজার হাজার চিকিৎসক হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে বাইরে চলে আসেন। ইংল্যান্ডে এনএইচএসের ডিরেক্টর স্টিফেন পাওইস বলেছেন, ‘এই ধর্মঘটের অভূতপূর্ব প্রভাব পড়েছে। আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। এর ফল রোগীরা ভোগ করবেন। সারা দেশে স্বাস্থ্য পরিষেবার উপরেও তা পড়বে।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) থেকে ইংল্যান্ডে জুনিয়র ডাক্তাররা বেতন বাড়ানোর দাবিতে চারদিনের ধর্মঘট পালন করছেন।
এনএইচএসের ইতিহাসে এভাবে হাসপাতাল ও ক্লিনিক ছেড়ে ডাক্তারদের চলে আসার ফলে পুরো পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কয়েক বছর আগেও যুক্তরাজ্যে চিকিৎসকদের ধর্মঘট খুবই বিরল ঘটনা ছিল। তখন চিকিৎসক কম থাকার কারণে অনেক সময় রোগীদের ভুগতে হতো।
কিন্তু এবার জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়ে দেন, তাদের বেতন বাড়াতে হবে। কারণ, মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ বেড়েছে। যুক্তরাজ্যে জুনিয়র ডাক্তার কথাটাও কিছুটা ভুল ধারণা তৈরি করে। ব্রিটেনে মোট চিকিৎসকের অর্ধেকই জুনিয়র ডাক্তারদের শ্রেণিতে পড়েন।
ইংল্যান্ডে এনএইচএসের ডিরেক্টর স্টিফেন পাওইসইংল্যান্ডে এনএইচএসের ডিরেক্টর স্টিফেন পাওইস
কয়েক দশক ধরে কাজ করছেন, এমন চিকিৎসকদেরও জুনিয়র ডাক্তার বলা হয়। আসলে যে চিকিৎসকরা ফ্রন্টলাইন কর্মী হিসেবে কাজ করেন, তাদের জুনিয়র ডাক্তার বলা হয়। ইংল্যান্ডে এখন ৭০ লাখ রোগী চিকিৎসা পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন।
সেই সময় এই ধর্মঘটের ভয়ংকর প্রভাব তাদের উপরে পড়েছে। জুনিয়র ডাক্তারদের ইউনিয়ন ব্রিটিশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়িয়েশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা ৩৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি চান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্টিভ বার্কলে বেতন সংক্রান্ত ভালো অফার দিলে তারা এই ধর্মঘটের পথে যেতেন না।
ইংল্যান্ডে এখন ৭০ লাখ রোগী চিকিৎসা পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন।ইংল্যান্ডে এখন ৭০ লাখ রোগী চিকিৎসা পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন।
বার্কলে জানিয়েছেন, ইউনিয়নের এই দাবি অযৌক্তিক। মন্ত্রণালয়ের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইস্টারের ছুটির পর এই ধর্মঘটকে ফলে স্বাস্থ্য পরিষেবায় বিপুল প্রভাব পড়েছে। ব্রিটেনে বিভিন্ন ক্ষেত্রের সরকারি কর্মীরা গত কয়েক মাসে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
গত শীতে নার্সরা ধর্মঘট করেন। অ্যাম্বুলেন্স কর্মী, শিক্ষক, বাসচালক, ডাক কর্মীরা গত ফেব্রুয়ারিতে ধর্মঘট করেছেন। তাদের দাবিও এক। মুদ্রাস্ফীতির জন্য তাদের বেতন বাড়াতে হবে।
নিউজ /এমএসএম