রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:৪৫ অপরাহ্ন

ডেসটিনির রফিকুল আমীনের স্ত্রী ফারাহ কারাগারে

সংবাদদাতার নাম :
  • খবর আপডেট সময় : সোমবার, ১৩ জুন, ২০২২
  • ১৩৬ এই পর্যন্ত দেখেছেন

স্টাফ রিপোর্টার: চার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনের স্ত্রী ফারাহ দীবাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রোববার (১২ জুন) ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে তিনি আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

এ মামলায় তার আট বছরের কারাদণ্ড, ৪০ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দু’বছর কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছিল আদালত। গত ১২ মে আদালত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে রফিকুল আমীনের ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে দু’শ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 

রায়ে গ্রুপের চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদের চার বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে তিন কোটি ৫০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার বাকি ৪৩ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

অর্থ আত্মসাৎ ও অর্থপাচারের অভিযোগে দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারি পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় মানি লন্ডারিং আইনে পৃথক দু’টি মামলা করেছিলেন। 

২০১৪ সালের ৪ মে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন মোজাহার আলী সরদার। এতে ডেসটিনির গ্রাহকদের চার হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে পাচারের অভিযোগ আনা হয়। 
এরমধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্ল্যানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলায় ১৯ জনকে আসামি করা হয়। দু’মামলায়ই হারুন-অর-রশিদ ও রফিকুল আমিন আসামি। 

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০৮ সাল থেকে মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ প্রজেক্টের নামে ডেসটিনি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছিল ১ হাজার ৯০১ কোটি টাকা। সেখান থেকে ১ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয় বলে দুদকের অনুসন্ধানে ধরা পড়ে। ওই অর্থ আত্মসাতের ফলে সাড়ে ৮ লাখ বিনিয়োগকারী ক্ষতির মুখে পড়েন। 

ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন প্রজেক্টের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ২ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়। এরমধ্যে ২ হাজার ২৫৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হন সাড়ে ১৭ লাখ বিনিয়োগকারী। 

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, ডেসটিনি গ্রুপের নামে ২৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেশ কয়েকটি ছিল নামসর্বস্ব। আসামিরা প্রথমে প্রজেক্টের টাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হিসাবে জমা করতেন। এরপর বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাবে তা স্থানান্তর করা হতো। দুদক ৩৪টি ব্যাংকে এমন ৭২২টি হিসাবের সন্ধান পায়, যেগুলো পরে জব্দ করা হয়।

ইউকেবিডিটিভি/ বিডি / এমএসএম

দয়া করে খবরটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এই ক্যাটাগরিতে আরো যেসব খবর রয়েছে
All rights reserved © UKBDTV.COM
       
themesba-lates1749691102