আমলকি আমাদের অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। সর্দিকাশি থেকে দূরে থাকতে আমলকি মহৌষধ। ভিটামিন সি থাকায় আমলকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। ফলে যে কোনো সংক্রমণ থেকে সহজে রেহাই পাওয়া যায়। টক ও খানিকটা তেতো স্বাদের বলে অনেকে এই ফল খেতে তেমন পছন্দ করেন না। কিন্তু আমলকিকে বলা হয় সুপারফুড। তবে আমলকি আরো একটি উপকার করে। ওজন কমাতেও সাহায্য করে। রোগা হতে চাইলে চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখা যায় আমলকির উপর।
ওজন কমাতে যেভাবে সাহায্য করে আমলকি
১. আমলকিতে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে ফাইবার। হজমের গোলমাল থেকে দূরে রাখে ফাইবার। হজম প্রক্রিয়া ঠিক থাকলে রোগা হওয়া বিশেষ কঠিন কোনো ব্যাপার না।
২. আমলকি বিপাকক্রিয়ার হার বাড়িয়ে তোলে। আমলকি খেলে দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখার অনুভূতি দেয়। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে কি না, তা নির্ভর করে বিপাকক্রিয়ার হারের উপর। এই হার বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে আমলকি।
৩. আমলকিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। প্রদাহজনিত সমস্যার কারণে ওজন বাড়ে। আমলকি সেই ঝুঁকি কমায়। প্রদাহের ঝুঁকি কমিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখে ওজন।
যেভাবে আমলকি খাবেন
আমলকি নানা উপায়েই খাওয়া যায়। এটি সাধারণত কাঁচা, আচার তৈরি করে, শুকিয়ে গুঁড়া করে বা মোরব্বা তৈরি করে খাওয়া হয়। সকালে খালি পেটে বিভিন্ন সবুজ শাক-সবজি বা ফলের রসের সঙ্গে মিশিয়েও খাওয়া হয় আমলকির রস। আমলকির পুষ্টি পাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো সামান্য লবণ দিয়ে কাঁচা খেয়ে নেয়া।
আমলকির জুস তৈরি
প্রথমে কয়েকটি আমলকি ধুয়ে টুকরা করে নিতে হবে। এবার এর সঙ্গে পানি মিশিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। অল্প অল্প করে পানি মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন তাতে আমলকি ভালোভাবে ব্লেন্ড হবে। চাইলে মিশ্রণটি ছেঁকে নিতে পারেন। সামান্য গোল মরিচের গুঁড়া ও বিট লবণ মিশিয়ে পান করুন। মিষ্টি স্বাদের জন্য সামান্য মধু মেশাতে পারেন।
নিউজ /এমএসএম