স্টাফ রিপোর্টার: তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পদ্মা সেতু তৈরিতে কোনো বাড়তি অর্থ ব্যয় হয়নি। বরং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০ হাজার কোটি টাকা কম খরচ করেছেন। সাশ্রয় করেছেন এ টাকা। কেননা, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ তৈরি করতে তখন লেগেছিল ৪ কোটি টাকার বেশি। ওই সেতুর দৈর্ঘ্য ১ দশমিক ৮ কিলোমিটার। স্বর্ণের দামের সঙ্গে তুলনা করে হিসাব করলে এখন ওই সেতু বানাতে খরচ লাগার কথা ৫৮ হাজার কোটি টাকা।
‘সেখানে পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য সাড়ে তিনগুণ বেশি। আবার রেল সেতুসহ দ্বিতল। হার্ডিঞ্জ ব্রিজ হচ্ছে শুধু রেল সেতু। সেখানে কোনো অ্যাপ্রোচ সড়কও নেই। সেই হিসাবে এখন পদ্মা সেতুর জন্য লাখ কোটি টাকার বেশি খরচ হওয়ার কথা। সেটি হয়নি। বরং মূল সেতু নির্মাণে এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ১১ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা।’
বুধবার ‘বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পদ্মা সেতুর অবদান’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিটিউশন মিলনায়তনে এ সেমিনারের আয়োজন করে আওয়ামী লীগের প্রচার-প্রকাশনা উপকমিটি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী।
প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সাহাব উদ্দিন চুপ্পুর সভাপতিত্বে সেমিনারে মুখ্য আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ড. আবুল বারকাত।
আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. খান মাহমুদ আমানত এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ। বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু কখনো হতো না, যদি আমাদের একজন শেখ হাসিনা না থাকতেন। এই সেতুর মালিক জনগণ। সেতু তৈরি হয়েছে সবার জন্য। খালেদা জিয়ার জন্য, এমনকি মির্জা ফখরুলের জন্যও। বিএনপিকে দাওয়াতও দেওয়া হয়েছে। আপনারা সানন্দে আসুন। কিন্তু তার আগে জনগণের কাছে মাফ চেয়ে নিন।
ড. আবুল বারকাত বলেন, সঠিক রাজনৈতিক নেতৃত্ব থাকলে যে অসম্ভবকে সম্ভব করা যায় তার প্রমাণ এই পদ্মা সেতু। নিজস্ব অর্থায়নে এটি সম্ভব নয় বলে সবাই মত দিলেও আমরা অর্থনীতি সমিতি হিসাব করে দেখিয়েছিলাম নিজস্ব অর্থে চারটি পদ্মা সেতু করা যায়। সেটিই হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ৫ বছর পর ২০২৭ সালের জিডিপিতে এ সেতু অবদান রাখবে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ। ৪০তম বছরে নিট লাভ হবে ১০ হাজার কোটি টাকা। ১০০তম বছরে প্রায় ১০ লাখ কোটি টাকার বেশি লাভ আসবে। অর্থনীতিবিদদের কথা কেউ শুনবেন না। পৃথিবীতে এমন কোনো দেশ নেই যেখানে অর্থনীতিবিদ ও বিশ্বব্যাংকের কারণে উন্নত হয়েছে।
ইউকেবিডিটিভি/ বিডি / এমএসএম