শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কারাবন্দি সাংবাদিকদের মুক্তির দাবিতে লন্ডনে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত আল্লাহর ওয়াস্তে মানুষের খেদমত করুন দেড় বছরেও চালু হয়নি বাল্লা স্থলবন্দর পঞ্চগড় রেললাইনের পাশ থেকে ধর্ষিতার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার চিটাগাং কর্ণফুলী এলিট লায়ন্স ক্লাবের উদ্যোগে চক্ষু শিবির ও খৎনা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত পানি সেচকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ২০ ছাতকে তারুণ্যের উৎসবে প্রতিযোগীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বাঁশ হবে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান- উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বুধবার ফুলতলী ছাহেব ক্বিবলাহর ঈসালে সাওয়াব মাহফিল বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে এসেছে ভারতের ১০৫ মেট্রিকটন চাল

সাপের কামড়ে আহত ৬১০, মৃত্যু ৩৮ জনের

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • খবর আপডেট সময় : বুধবার, ১০ জুলাই, ২০২৪
  • ৫০ এই পর্যন্ত দেখেছেন

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২০২৪-এর ফেব্রুয়ারি থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত সারা দেশে ৬১০ জন সাপের দংশনের শিকার হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (১০ জুলাই) মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে রাসেল ভাইপার নিয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন।

তিনি জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০২৪-এর জানুয়ারি থেকে এই পর্যন্ত মোট ৪১৬ জন রোগী ভর্তি হয়, তার মধ্যে বিষধর ৭৩টি এবং ১৮টি রাসেল ভাইপার। এদের মাঝে মোট ১১ জন রোগী মারা যান, যার মধ্যে রাসেল ভাইপারের দংশনের কারণে মারা যান ৫ জন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সাম্প্রতিক সময়ে রাসেল ভাইপার নিয়ে সারা দেশে বিভিন্ন তত্ত্ব, তথ্য গুজবে আতংক বিরাজ করছে। বাংলাদেশে সর্পদংশন নীতিগতভাবে একটি স্বীকৃত গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত। ২০২২ সালে পরিচালিত জাতীয় জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশের ৪ লাখের অধিক মানুষ সর্পদংশনের শিকার হন যার মধ্যে দুঃখজনকভাবে প্রায় সাড়ে সাত হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেন।

রাসেল ভাইপার ভাইপারিড গ্রুপের একটি বিষাক্ত সাপ, বাংলাদেশে রাসেল ভাইপারের অস্তিত্ব এবং এর দংশনে মৃত্যুর ইতিহাস ১৯২০ সালেই স্বীকৃত আছে। ২০১৩ সালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাসেল ভাইপার অথবা উলুবোড়া সাপের দংশনের প্রথম রিপোর্ট হিসেবে লিপিবদ্ধ আছে, প্রাথমিকভাবে রাজশাহী ও বরেন্দ্র অঞ্চলে এর প্রভাব বেশি দেখা গেলেও পরবর্তীতে ধীরে ধীরে রাসেল ভাইপারের বিস্তৃতি ২৭ টি জেলায় ছড়িয়েছে।

ডা. রোবেদ আমিন জানান, বিষধর সর্পদংশনের স্বীকৃত চিকিৎসা হচ্ছে অ্যান্টিভেনম। দেশের প্রধান বিষধর সাপের বিষ সংগ্রহ করে তা ঘোড়ার শরীরে প্রয়োগ করা, ঘোড়ার রক্তের সিরাম থেকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এন্টিভেনম তৈরি করা হয়।

বাংলাদেশে বর্তমানে এন্টিভেনম তৈরি করা হয় না। ভারতে তৈরি (৪টি প্রধান বিষধর সাপের বিষয়ে বিরুদ্ধে প্রস্তুত) এন্টিভেনম সংগ্রহ করে অসংক্রামক ব্যাধি কর্মসূচি বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে এন্টিভেনম সরবারহ করে থাকে।

এন্টিভেনম ক্রয়, বিতরণ, সংরক্ষণ, ব্যবহার, ব্যবহার পরবর্তী প্রভাব (নজরদারি) দেখার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কমসূচি না থাকা সত্বেও এন্টিভেনম প্রয়োগের সুফল লক্ষ্মণীয়।

নিউজ /এমএসএম

দয়া করে খবরটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এই ক্যাটাগরিতে আরো যেসব খবর রয়েছে
All rights reserved © UKBDTV.COM
       
themesba-lates1749691102