রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ঠাকুরগাঁওয়ে টেকসই নদী ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ম‌হিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী সৈয়দা রা‌জিয়ার বসত ঘরে অগ্নিকাণ্ডে তত্বাবধায়ক নিহত গুণীজনদের সম্মানিত করা সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য- পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশে ভ্যাকসিন সেন্টার স্থাপনে অক্সফোর্ড গ্রুপের সহযোগিতা চেয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের সাথে বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল এর মতবিনিময় অনুষ্ঠিত প্রতিভাবান অস্বচ্ছল খেলোয়াড়দের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী সবসময় সহানুভূতিশীল-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে প্রত্যাবর্তন সংক্রান্ত এসওপি স্বাক্ষর সম্পন্ন উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করতে প্রকল্পগুলো দ্রুত সম্পন্ন করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ শেখ হাসিনাকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন

অনন্ত কালের পথে যাত্রার মাধ্যমে আত্মবন্দী দশা থেকে বের হলো বন্ধু জুয়েল

ডা.জহিরুল ইসলাম অচিনপুরী
  • খবর আপডেট সময় : শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪
  • ৩৫ এই পর্যন্ত দেখেছেন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জার্নালিজমে  মাস্টার্স শেষ করার পর বন্ধু জুয়েল অজ্ঞাত কারনে আত্মাভিমানী হয়ে নিজ ঘরে নির্বাসিত জীবন যাপন শুরু করে। বই আর পত্রিকা ছিলো তাঁর জীবন সঙ্গী।
তাঁর পরিবার ছিলো ছাতকের স্বচ্ছল খ্যাতিমান পরিবার। সে চাইলে  বিলাসী জীবন যাপন করতে পারতো। তা না করে সে বই আর পত্রিকার মধ্যে নিমজ্জিত হলো। নিজেকে নিজ ঘরে বন্দি করে ফেললো।খাওয়ার প্রাচুর্য ছিলো, কিন্তু খুবই অল্প খেতো। ফ্যান ছিলো, ফ্যান চালাতো না। জীবনধারণের জন্য ন্যুনতম উপাদান ব্যবহার করতো। কদাকঞ্চিৎ ঘরের বাইরে যেতো। বের হয়ে দু’একজন ঘনিষ্ঠ জনের সাথে ফোনে কথা বলে ফিরে আসতো। কখনো বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলা থাকলে দেখতে কখনো বাইরে যেতো। দু’তিন সপ্তাহে একবার হয়তো বের হতো। পথে কারো সাথে দেখা হলে তাকে কিছু না কিছু খাওয়াতো আর বই ও পত্রিকা পড়ার উপদেশ দিতো। দু’তিন মাসে একবার তাঁর ফোন পেতাম। রেডি থাকতাম তাঁর কল দীর্ঘক্ষণ ধরে চলবে, ঘন্টা দু ঘন্টা। খুঁটে খুঁটে বাচ্চা কাচ্চা ভাই বোন সবার খবর নিতো। বিভিন্ন জ্ঞানের টপিক নিয়ে কথা হতো।
সে ছিলো যেনো জ্ঞানের চলমান বিশ্বকোষ। আমাকে আমার গানের বিষয়েও পরামর্শ দিতো। দীর্ঘক্ষণ কথা হলেও বিরক্তি লাগতো না। সে আমার এতই অন্তরঙ্গ ছিলো যে আমার জীবনের প্রতিটি ইভেন্ট এমনকি আমার ভাইবোনদের জীবনের ইভেন্টগুলো সে মনে রাখতো। আমাকে বলতো আমি নাকি সেরা মেধাবী একজন লোক। আমাকে নিয়ে সে গর্ব করতো। আমাকে উৎসাহ দিতো। আমাকে পরামর্শ দিয়েছিলো পিএইচ ডি করতে। সে জানতো আমি ভালো থিসিস প্রণেতা। কয়েকজনের পিএইচ ডি থিসিস লিখে দিয়েছিলাম বলে।
তাঁকে তার আত্মাভিমানী জীবন থেকে বের করার জন্য আমরা বন্ধুরা কম চেষ্টা করিনি। অনেক চেষ্টা করেছেন খালাম্মা। কাঁদতে কাঁদতে খালাম্মা চলে গেলেন পর পারে। মানিক ভাই, মুজিব ভাই অনেক চেষ্টা করেছেন তাঁর মান ভাঙ্গিয়ে স্বাভাবিক জীবনে নিয়ে আসতে। প্রথম প্রথম ছিলো আত্মাভিমান,পরে তা থেকে Irreversible psychosis হয়ে যায়। সে দুনিয়ার তাবৎ কিছু বুঝতো, খবর নিতো, পরামর্শ দিতো। কিন্তু নিজেকে আত্মবন্দী দশা থেকে বের করতো না। অবশেষে আত্মবন্দী দশা থেকে বের হলো আজ, তবে তা অনন্ত কালের পথে যাত্রা শুরু করার লক্ষ্যে। ইয়া আল্লাহ, জুয়েলকে জান্নাতুল ফেরদৌসের মেহমান হিসাবে কবুল করো। আমিন।
উল্লেখ্য মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েল বুধবার (০১মে ) সকাল ১০ ৩০ ঘটিকার সময় ছাতক শহরের মন্ডলীভোগ বাসায় ইন্তেকাল করেছেন ( ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিলো ৫৬ বছর।
[আত্মবন্দী দশায় থাকাকালীন সে ছবি উঠাতো না। এই এই ছবিটি ১৯৯৫ সালের ১১ ই মার্চের, যেদিন আমার বিয়ের আকদ হলো]

দয়া করে খবরটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এই ক্যাটাগরিতে আরো যেসব খবর রয়েছে
All rights reserved © UKBDTV.COM
       
themesba-lates1749691102