হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগরে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুইজন সাংবাদিক ‘গুলিবিদ্ধ’ হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া পথচারী ও পুলিশসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় মাই টিভির হবিগঞ্জ প্রতিনিধি নিরঞ্জন গোস্বামী শুভ, দেশ টিভির হবিগঞ্জ প্রতিনিধি আমির হামযা ও মেরাজ মিয়া নামে এক পথচারীকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদেরকে বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত শায়েস্তানগর এলাকায় দফায় দফায় এ সংঘর্ষ চলে। পরে হবিগঞ্জ সদর থানা ও পুলিশ লাইন্সের অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় শায়েস্তানগর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
জানা যায়, ১০ ডিসেম্বর আন্তার্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার নেতাকর্মী ও নাগরিকদের পরিবারের স্বজনদের নিয়ে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির ব্যানারে এক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাম্মী আক্তার শিফার সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবনসহ নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনের এক পর্যায়ে হঠাৎ করে একটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ। এ সময় বেশ কয়েকটি দোকান ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ খলিলুর রহমান জানান, বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর অতর্কিত ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তিনি বলেন, আমরা এখনও ঘটনাস্থলে রয়েছি। এ ঘঠনায় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।