মৌলভীবাজার-৩(সদর-রাজনগর) আসনে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সভা-মিছিল-মিটিং ও বিশাল শোডাউন সমাবেশ ও গণসংযোগ করে ভোট চাইছেন নৌকা প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান। যাহা নির্বাচনী ৭ (ক) এর আচরণবিধি লঙ্ঘন।
নির্বাচনী আচরনবিধি ১১(ক)উল্লেখ আছে নির্বাচন পূর্বসময়ে কোন ধরনের নির্বাচন মিছিল মিটিং ও শোডাউন করা যাবেনা। নির্বাচন কমিশনের বিধি মোতাবেক প্রতীক পাওয়ার আগে প্রচারণা চালানো নিষিদ্ধ। নির্বাচনী প্রতীক পাওয়ার পরেই আনুষ্ঠানিকভাবে আরম্ভ হবে প্রচার প্রচারণা।
অথচ নমিনেশন ফরম দাখিল করার দিন থেকেই আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সভা-মিছিল-মিটিং ও বিশাল শোডাউন সমাবেশ করে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার প্রচারণা। তার পক্ষে ‘বিজয়ের মালা আনবো, ৭ তারিখ নৌকা মার্কায় ভোট দিতে ভোট কেন্দ্রে যাবো’ স্লোল গান দিয়ে নৌকার শোডাউন করা হচ্ছে প্রতিদিন।
নমিনেশন ফরম দাখিল থেকে শুরু করে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে স্লোগান দিয়ে নৌকার শোডাউন করে যাচ্ছেন তারা। ৯ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার সদর উপজেলার দিঘীরপাড় বাজারে নির্বাচনী গণসংযোগ করেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান। গত ৮ ডিসেম্বর রাতে রাজনগর কালার বাজারে গনসংযোগ করেন তিনি। দুটি উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ও গ্রামে নির্বাচনী প্রচারণা শেষে সাধারণ মানুষের কাছে ভোট প্রার্থনা করেন জিল্লুর রহমান। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পৃথক পৃথক স্থানে নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সভা ও গণসংযোগ করে ভোট চেয়ে যাচ্ছেন।
একই সাথে বিভিন্ন সভায় জেলা আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থীকে ইঙ্গিত করে বিভিন্ন আক্রমনাত্নক ও ক্ষ্যাপা আচরণ দেখান তিনি। নির্বাচনী জনসভা শেষে হাতে গোনা কয়েকজন কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে নৌকা মার্কার পক্ষে স্লোগান দিয়ে মিছিল করেন নৌকা প্রতীকের মনোনিত প্রার্থী মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান ।
জেলা আওয়ামী লীগের মনোনিত স্বতন্ত্র প্রার্থী যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী জনপ্রতিনিধি এম এ রহিম সিআইপি বলেন, নৌকা প্রতীকের মনোনিত প্রার্থী মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান নির্বাচনী আচরণবিধি মানছেন না। প্রায় প্রতিদিনই তিনি কোন কোন ইউনিয়নে গিয়ে নৌকার পক্ষে প্রকাশ্যে মিছিল, শোডাউন, সমাবেশ ও গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। কিন্তু নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
সবার চোখের সামনেই এসব অনিয়ম হচ্ছে। প্রশাসন পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। তার বিরুদ্ধে কমিশনের কর্মকর্তাদের কাছে মৌখিক অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা বলেন, যদি কোন প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘণ করে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।
মৌলভীবাজার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালামের নাম্বারে একাধিকবার কল করা হলে তিনি রিসিভ করেন নি।
অভিযুক্ত নৌকা প্রতীকের মনোনিত প্রার্থী মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানের নাম্বারে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
নিউজ /এমএসএম