এ বছর শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন ইরানের মানবাধিকার কর্মী নার্গিস মোহাম্মাদী। নারী অধিকারে সোচ্চার এই মানবাধিকার কর্মী বর্তমানে কারান্তরীণ রয়েছেন।
নার্গিস সাজা হিসেবে মৃত্যুদণ্ড বাতিলের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। ২০১৬ সালের মে মাসে এ আন্দোলনের জেরে তাকে ১৬ বছরের জেলও দেয়া হয়।
শান্তিতে নোবেলজয়ী শিরিন এবাদির নেতৃত্বাধীন ডিফেন্ডারস অব হিউম্যান রাইটস সেন্টারের (ডিএইিআরসি) ভাইস প্রেসিডেন্ট নার্গিস। গত বছর বিবিসির প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকায়ও ছিলেন নার্গিস মোহাম্মাদী।
এএফপির খবর থেকে জানা যায়, ৫১ বছর বয়সী নার্গিস মোহাম্মদি সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী। নারীদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক করা ও মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে কাজ করায় তাঁকে বেশির ভাগ সময় কারাগারে থাকতে হয়েছে। তাকে ১৩ বার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাঁচবার দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৩১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এমনকি শরিয়া আইন অনুসারে ১৫৪ বার বেত্রাঘাত করা হয়েছে।
নার্গিস ইরানের মানবাধিকার কর্মীদের সামনের সারির একজন। তিনি নারী অধিকার রক্ষা ও মৃত্যুদণ্ড বন্ধের জন্য কাজ করেছেন।
নার্গিস তেহরানের ইভিন কারাগারে বন্দী রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী প্রচার চালানোসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
২০০৩ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী শিরিন এবাদির ডিফেন্ডারস অফ হিউম্যান রাইটস সেন্টারে ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে রয়েছেন নার্গিস। নার্গিসকে নিয়ে এ পর্যন্ত ১৯ জন নারী নোবেল পুরস্কার পেলেন।
পুরস্কারের ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা (১০ লাখ ডলার) পাবেন এই মানবাধিকারকর্মী।
নিউজ /এমএসএম