শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মৌলভীবাজার জেলার সকল ওসিকে একযোগে বদলি বিশৃঙ্খলা রোধে সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর জলবায়ু উপযোগী প্রাণিসম্পদ উৎপাদনে গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করছে সরকার—- শ ম রেজাউল করিম সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিশ্চিত করার আশ্বাস আওয়ামী লীগের বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পরিদর্শনে নবনিযুক্ত চার রাষ্ট্রদূত কমিউনিটির সর্বোচ্চ স্বেচ্ছাসেবী হিসাবে স্বীকৃত কে এম আবুতাহের যে কারণে তোষামোদ বর্জণীয় অটোয়ারী সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ উদ্ধার জাতীয় অধ্যাপক ডা. আব্দুল মালিকের মৃত্যুতে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি সহ বিভিন্ন মহলের শোক প্রকাশ ইসরায়েলে হামাসের রকেট হামলা

মহিলা সমাবেশে মির্জা ফখরুল

বর্তমান সংবিধানের অধীনে নির্বাচন হতে পারে না

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • খবর আপডেট সময় : শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ২২ এই পর্যন্ত দেখেছেন

দেশের বর্তমান সংবিধানের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত ‘মহিলা সমাবেশে’ তিনি এই মন্তব্য করেন।

‘সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে এই ‘মহিলা সমাবেশ’ হয়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আসুন আগামী দিনগুলোতে আমরা নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঐক্য গড়ে তুলি, সেই ঐক্যের মধ্য দিয়ে আমরা সরকারকে বাধ্য করব পদত্যাগ করতে, সংসদ বিলুপ্ত করতে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধায়নে নতুন নির্বাচন দিতে। সেখানেই এই রাজনৈতিক সমাধানে একমাত্র পথ।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই আওয়ামী লীগ ও তাদের নেত্রী শেখ হাসিনা এত বেশি অহংকারী এবং প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়েছেন যে, দেশের মানুষের অবস্থা চিন্তা করছেন না। দেশের সব রাজনৈতিক দলগুলো বলছে যে, আমরা একটা নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। তখন সেটা তিনি উড়িয়ে দিয়ে আবারও তার পুরোনো কথা, সংবিধানের অধীনে নির্বাচন হবে।

তিনি বলেন, ‘এই সংবিধানের অধীনে নির্বাচন হতে পারে না। কারণ আপনারা ক্ষমতায় থাকলে কোনো দিনই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হতে পারবে না। আমার মা-বোনের ভোট দিতে পারেন না। গত দুইটি নির্বাচনে তারা (মা-বোনেরা) ভোট দিতে পারেননি, তাদেরকে ভোট কেন্দ্র থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকার যদি আবার ক্ষমতায় আসে তাহলে মহিলাসহ কোনো মানুষেরই কোনো নিরাপত্তা থাকবে না, আমরা আমাদের স্বাধীনতাকে হারাব, আমাদের সার্বভৌমত্বকে হারাব, আমাদের গণতন্ত্র চিরতরে চলে যাবে, আমাদের কোনো অধিকার আর থাকবে না।

গত ৯ আগস্ট থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অসুস্থ খালেদা জিয়াকে দ্রুত মুক্তি দিয়ে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেবে প্রত্যাশা করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, সর্বপ্রথম দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা আশা করি, তার পরিবারের পক্ষ থেকে(গত ২৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন) তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। আমরা মনে করি, এই সরকার অবৈধ হলেও দেশনেত্রীকে তারা বাইরে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেবে।

বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় খালেদা জিয়ার অবদানের কথা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিনি সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন, লড়াই করেছেন। তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে আটক রেখে, এখন গৃহবন্দী রেখে অসুস্থ অবস্থায় মৃত্যুর তাকে দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এর একটি মাত্র কারণ যে, তারা (সরকার) জানে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যদি বাইরে থাকেন, তাহলে জনগণের যে স্রোত করে তারা বন্ধ করতে পারবে না এবং তাদের ক্ষমতায় থাকা কঠিন হয়ে যাবে।

দেশের দ্রব্যমূল্যের পরিস্থিতি তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘চাল-ডাল-লবন প্রত্যেকটি জিনিসের দাম যেভাবে বেড়েছে তা কমাতে এই সরকার ব্যর্থ হয়েছে। সরকার জিনিসপত্রের দাম বেঁধে দিয়েছে কিন্তু কেউ সেই দামের কথা মানছে না। আজকে তারা জোর করে আবার ক্ষমতায় থাকতে চায়।

এ সময় সমাবেশে উপস্থিত নারী কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কি সেটা দেবেন? মা- বোনদের কাছে জানতে চাই, ওদেরকে আবার ক্ষমতায় আসতে দেবেন?’ এই সময়ে মহিলা দলের নেতাকর্মীরা ‘না’ সূচক স্লোগান দিতে থাকেন।

এই সরকারের আমলে গণতন্ত্রের জন্য মিছিল মিটিং অংশ নিতে গিয়ে মহিলা দলের নেতা-কর্মীদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন, মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নারীদের কারগারে পাঠানোর বিভিন্ন ঘটনাও তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘এরা একটি অত্যাচারী সরকার। এই সরকারের হাতে মানুষের নিরাপত্তা নাই, গণতন্ত্র নিরাপদ নয়, বিশেষ করে মহিলাদের নিরাপত্তা নাই, শিশুদের নিরাপত্তা নাই।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, ‘নারী সমাজ রাজপথে নেমেছে। কারণ তাদের নারীদের অপহরণ করা হচ্ছে। তারা খেতে পারছে না এবং সন্তানদের খেতে দিতে পারছে না। দেশে চলছে হাহাকার। এজন্য আজ দেশের নারী সমাজ জাগ্রত হয়েছে।’ কঠিন আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে বলে ক্ষমতাসীনদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন সাবেক এই মন্ত্রী।

মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আফরোজা খানম রিতা, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, মহিলা দলের নাজমুন নাহার বেবী, নেওয়াজ হালিমা আরলি, ইয়াসমীন আরা হক, হেলেন জেরিন খান, নিলোফার চৌধুরী মনি, শাম্মী আখতার, অর্পনা রায় দাশ, শাহানা আখতার শানু, নায়েবা ইউসুফ, রুমা আখতারসহ বিভিন্ন জেলা ও মহানগরের নেতারা।

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম প্রমুখ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ /এমএসএম

দয়া করে খবরটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এই ক্যাটাগরিতে আরো যেসব খবর রয়েছে
All rights reserved © UKBDTV.COM
       
themesba-lates1749691102