বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাট করে ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬৩ রান সংগ্রহ করেছে শ্রীলঙ্কা। এরফলে বাংলাদেশের টার্গেট দাড়িয়েছে ২৬৪ রান।
ম্যাচে শুরুটা ভালো না হলেও দারুণ বোলিং করেছে বাংলাদেশ। বিশেষকরে স্পিনার শেখ মেহেদী হাসান। ৯ ওভার বল করে ৩৬ রানের খরচায় ৩টি উইকেট। দারুণ বোলিং করেন আরেক স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। উইকেট ১টি পেলেও ১০ ওভারে রান খরচ করেন ৩২। নাসুম আহমেদ অবশ্য কিছুটা খরুচে ছিলেন। পেসারদের শুরুটা ভালো না হলেও পরের দিকে দারুণ বোলিং করেন।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) গুয়াহাটি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে শ্রীলঙ্কা। শুরুটাও হয় তাদের দুর্দান্ত। দুই ওপেনার কুশল পেরেরা ও পাথুম নিসাঙ্কা গড়েন ৬৪ রানের জুটি। এরপর কাঁধে অস্বস্তি বোধ করায় মাঠ ছাড়েন পেরেরা। তাতে কিছুটা স্বস্তি পায় বাংলাদেশ।
তবে নিসাঙ্কার সঙ্গে জুটি বেঁধে বাংলাদশের হতাশা বাড়াতে থাকেন কুশল মেন্ডিস। ৪০ রানের জুটিও গড়েন। তাতে বিনা উইকেটে লঙ্কানদের রান তখন ১০৪। তখন মনে হচ্ছিল বিশাল পুঁজির পথেই হাঁটছে লঙ্কানরা।
এরপর মেন্ডিসকে ফিরিয়ে লঙ্কান শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন নাসুম আহমেদ। এক ওভার পর বল হাতে নিয়ে সাদিরা সামারাবিক্রমাকে তুলে নেন শেখ মেহেদী হাসান।
তবে এক প্রান্ত আগলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন নিসাঙ্কা। তাকেও ফেরান শেখ মেহেদী। দলীয় ১৩২ রানে তাকে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি।
এরপর চারিথ আসালাঙ্কাকে নিয়ে ৩২ রানের ছোট একটি জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়েছিলেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। তবে বড় ক্ষতি করার আগে আসালাঙ্কাকে ফিরিয়ে এ জুটিও ভাঙেন শেখ মেহেদী। আর লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে ফেরান শরিফুল ইসলাম।
দলীয় ১৭৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কিছুটা হলেও চাপে পড়ে লঙ্কানরা। এরপর দিমুথ করুনারত্নেকে নিয়ে লড়াইয়ের চেষ্টা চালান ধনাঞ্জয়া। ৪১ রানের জুটিও গড়েন এ দুই ব্যাটার। তবে করুনারাত্নেকে রানআউট করে এ জুটি ভাঙেন মাহমুদউল্লাহ।
এরপর খুব বেশি আগাতে পারেনি দলটি। এক প্রান্তে লড়াই করে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন ধনাঞ্জয়া।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন নিসাঙ্কা। ৬৪ বলে ৮টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ৭৯ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫৫ রান করেন ধনাঞ্জয়া। ২৪ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলে আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন পেরেরা।
বাংলাদেশ একাদশ: মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ, শেখ মেহেদী, তানজিদ হাসান তামিম, তানজিম হাসান সাকিব, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
নিউজ /এমএসএম