নিজেদের সংবিধান সংশোধন করে পরমাণু শক্তি বাড়াচ্ছে উত্তর কোরিয়া। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রকে ‘বড় হুমকি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন উত্তর কোরীয় নেতা। দুই দিনের বৈঠক শেষে নতুন আইনটি পাস হয় পার্লামেন্টে। এতে করে স্থায়ীভাবে নিজেদের পরমাণু শক্তিধর বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে পারবে তারা।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া বরাবরই উত্তর কোরিয়ায় পরমাণু পরীক্ষার সমালোচনা করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র তো একাধিকবার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে। তবে তা উপেক্ষা করে পরীক্ষা চালিয়ে গেছে পিয়ংইয়ং।
নতুন এই আইন সর্বোচ্চ জনপরিষদে পাস হয়েছে, যেখানে কিম জং উন একে এক ঐতিহাসিক ঘটনা বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলছেন, এতে করে জাতীয় স্বার্থ রক্ষা হওয়ার পাশাপাশি প্রতিরক্ষা সক্ষমতাও আরও বৃদ্ধি পেল।
যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানেরমধ্যে ত্রিপক্ষীয় সামরিক সহযোগিতার দিকে ইঙ্গিত করে পিয়ংইয়ংয়ের ত্বরান্বিত অস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচিকেও ন্যায্য বলে দাবি করেছেন কিম। তিনি বলেন, নতুন আইনটি ন্যায়সঙ্গত এবং যুক্তিসঙ্গত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যা বর্তমান যুগের জরুরি প্রয়োজনগুলো পূরণ করে বরং একটি সমাজতান্ত্রিক দেশ গড়ার জন্য আইনানুগতা এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রয়োজন পূরণ করে।
উত্তর কোরিয়া বিশেষজ্ঞ আন্দ্রেই ল্যাঙ্কভ বলেছেন, নতুন আইনটি কোনো উল্লেখযোগ্য নতুন প্রতিশ্রুতি বলে মনে হচ্ছে না। তারা বলছে, উত্তর কোরিয়া তাদের পরমাণু অস্ত্র বাড়াবে। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ অনেকদিন ধরেই তারা এই কাজটি করে আসছে।
নিউজ /এমএসএম