বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য ঠেকাতে আট দিনের কর্মসূচি নিয়ে আজ শনিবার থেকে আবারো মাঠে থাকছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি ও তার মিত্রদের আন্দোলন কর্মসূচির বিপরীতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাতটি সমাবেশ করবে ক্ষমতাসীন দল।
এছাড়া অক্টোবরের শুরুতে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সমাবেশ করবে তারা। আট দিনের কর্মসূচির প্রথম দিন আজ শনিবার দুপুর আড়াইটায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করা হবে।
মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে এ আয়োজনে প্রধান অতিথি থাকবেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বক্তৃতা করবেন- দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা।
বরাবরের মতো আজকের শান্তি সমাবেশ ঘিরেও ঢাকায় শোডাউনের প্রস্তুতি রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের। মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট থেকে সর্বস্তরের নেতাকর্মী এতে যোগ দেবেন।
দলের সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীকেও সমাবেশে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। শান্তি সমাবেশ ছাড়াও বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচি ঘিরে সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ঠেকাতে সর্বত্র সতর্ক অবস্থানে রাখা হবে নেতাকর্মীকে।
এক দফা দাবিতে আন্দোলনরত বিএনপি গত সোমবার বিভাগীয় শহরগুলোতে রোডমার্চসহ টানা ১৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে।
পরদিন দলীয় ফোরামের যৌথ সভা করে সমাবেশসহ আট দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে আওয়ামী লীগও।
আওয়ামী লীগের টানা কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুর আড়াইটায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সমাবেশ।
২৫ সেপ্টেম্বর উত্তরা ও যাত্রাবাড়িতে সমাবেশ করবে মহানগর আওয়ামী লীগ। ২৬ সেপ্টেম্বর কেরানীগঞ্জে সমাবেশ করবে দলটির জেলা শাখা।
২৭ সেপ্টেম্বর টঙ্গিতে গাজীপুর মহানগরের সমাবেশ। একই দিনে ঢাকা উত্তরের মিরপুরের কাফরুলে সমাবেশ। ২৮ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার জন্মদিনের কর্মসূচি ও একই দিন বাদ আসর ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল।
এদিন একই সময়ে সারাদেশে একই কর্মসূচি। ২৯ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভা। একইসঙ্গে সারাদেশে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
৩০ সেপ্টেম্বর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে কৃষক হত্যার স্মরণে কৃষক লীগের আয়োজনে কৃষক সমাবেশ।
এছাড়া ৪ অক্টোবর চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। সবগুলো সমাবেশ দুপুর আড়াইটায় এবং আলোচনা সভা হবে বিকেল ৩টায়।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, এক দফা ও সরকার পতনের আন্দোলনের নামে আগামী নির্বাচন বানচাল করাটাই বিএনপির মূল লক্ষ্য। সে লক্ষ্যে দেশজুড়ে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে তারা। নতুন করে যে ১৫ দিনের কর্মসূচি দেয়া হয়েছে, সেগুলোও সন্ত্রাস-নৈরাজ্য সৃষ্টির অপতৎপরতার অংশ। বিএনপি আগামী দিনে আরও বেশি মাত্রায় সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের পথে এগুচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে।
এ অবস্থায় তাদের আর কোনো ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষাসহ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে সামনের দিনগুলোতে মাঠের অবস্থান আরো জোরদার করবে আওয়ামী লীগ।
নিউজ /এমএসএম