মুসলিম হিসেবে সবাই নামাজ আদায়ের চেষ্টা করেন। দিনের তিন ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা সহজ হলেও এশা ও ফজর এই দুই ওয়াক্ত নামাজ অনেকেরই পড়া হয়ে উঠে না অনেকেই এর গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারেন না। অথচ এশা ও ফজরের নামাজের জামাতের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে এ দুই সময়ে মানুষ সাধারণত পরিবারের সঙ্গে সময় কাটায় ও বিশ্রাম করে। ফলে এই দুই ওয়াক্তে জামাতে শরিক হতে যথেষ্ট অবহেলা ও গাফিলতি হয়ে থাকে।
কিন্তু এই দুই ওয়াক্ত নামাজের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে এবং অনাদায়ে কঠিন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি বলেছেন, ‘মুনাফিকদের জন্য ফজর ও এশার নামাজের থেকে বেশি কঠিন কোনো নামাজ নেই। এ দুই নামাজের ফজিলত যদি তারা জানত, তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তারা উপস্থিত হতো।’ (বুখারি, হাদিস, ৬৫৭)
উবাই ইবনে কাব রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, ‘একবার মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের ফজরের নামাজ পড়িয়েছেন। সালাম ফিরিয়ে জিজ্ঞেস করেন, অমুক কি আছে? লোকেরা বলল, নেই। তারপর আরেকজনের নাম নিয়ে জিজ্ঞেস করেন, অমুক কি আছে? লোকেরা বলল, নেই। তিনি বলেন, এ দুই নামাজ (এশা ও ফজর) মুনাফিকদের জন্য সবচেয়ে কঠিন। তোমরা যদি জানতে যে এই দুই নামাজে কী পরিমাণ সওয়াব আছে, তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাতে শরিক হতে।’ (আবু দাউদ, হাদিস, ৫৫৪)
তাই অবহেলা না করে এই দুই নামাজের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এতে বিশেষ পুরস্কারের কথা জানিয়েছেন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। বর্ণিত হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি জামাতের সঙ্গে এশার নামাজ আদায় করল সে যেন অর্ধেক রাত পর্যন্ত নামাজ আদায় করল। আর যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করল সে যেন সারারাত জেগে নামাজ আদায় করল।’ (মুসলিম, হাদিস, ১৩৭৭)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘যে ব্যক্তি এশা ও ফজর জামাতের সঙ্গে পড়ল, সে যেন সারা রাত দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ল।’ (মুসলিম, হাদিস, ৬৫৬)
নিউজ /এমএসএম