শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাতগাঁও চা-বাগানের ৪ একর ১৩ শতক জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে বিশাল খেলার মাঠ। ক্রীড়া মোদীদের দীর্ঘ দিনের দাবীর প্রেক্ষিতে উপাধ্যক্ষ ড. মো: আব্দুস শহীদ এমপির অনুরোধে সাতগাঁও চা বাগান কর্তৃপক্ষ জায়গাটি জেলা প্রশাসনকে হস্তান্তর করেছে।
এর আগে এলাকার ক্রীড়ামোদী কিশোর তরুনরা সাতগাঁও রেলওয়ে মাঠ(গান্ধী মাঠ) এ খেলাধুলায় মত্ত থাকতো। প্রাচীন এই মাঠটি প্রভাবশালীদের দখলে চলে যাওয়ায় এলাকার তরুণ সমাজ খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়ে। এ নিয়ে এলাকাবাসীসহ প্রশাসনিক হস্তক্ষেপেও মাঠটি আর আলোর মুখ দেখেনি। ফলে স্থবির হয়ে যায় এলাকার সকল ধরনের খেলাধুলার চর্চা ও প্রসার।
পরিবর্তীতে ক্রীড়ামোদী তরুণসমাজ ও এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবীর প্রেক্ষিতে অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব উপাধ্যক্ষ ড. মো: আব্দুস শহীদ এমপির অনুরোধে সাতগাঁও ছনখলা সরকারি প্রাইমারি স্কুল সংলগ্ন খোলা মাঠটি ছেড়ে দিলো সাতগাঁও চা বাগান কর্তৃপক্ষ। সাতগাঁও চা-বাগানের ৪ একর ১৩ শতক খাস জায়গার দখলীয় স্বত্ব জেলা প্রশাসক বরাবরে হস্তান্তর করে। সাতগাঁও চা বাগান কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুনের হাতে অনাপত্তিপত্র হস্তান্তর করেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাতগাঁও চা বাগানের ব্যবস্থাপক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, যুব ও তরুণ সমাজের লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা খুবই জরুরি। বিশেষ করে আমাদের এমপি মহোদয়ের জোড়ালো দাবীর প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা সাতগাঁও চা-বাগানের ৪ একর ১৩ শতক খাস জায়গার অনাপত্তিপত্র জেলা প্রশাসন বরাবরে হস্তান্তর করি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন জানান, বিষয়টি আমাদের জন্য খুবই সুখকর। আমরা চাই যুব ও তরুণ সমাজ লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় ব্যস্ত সময় কাটাক। মাদকমুক্ত সমাজ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে যুব সমাজকে রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দ্বায়িত্ব। এর জন্য খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর স্বদিচ্ছা ও আন্তরিকতায় আজ বাংলাদেশের ক্রিকেট ও ফুটবল অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আমরাও আমাদের এলাকার অভিবাক এমপি মহোদয়কে নিয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। তৃনমুল পর্যায়ে যাতে যুব ও তরুণ সমাজ খেলাধুলার অবারিত সুযোগ পায় এজন্যই এই মাঠটিকে আমরা কাজে লাগিয়েছি। মাঠের জন্য এই জায়গাটিকে ছেড়ে দেয়ায় সাতগাঁও বাগান কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। মাঠটিকে খেলার মাঠ হিসেবে বাগান কর্তৃপক্ষকে রাজী করিয়ে মাঠ হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণে আন্তরিকতার জন্য এমপি মহোদয়ের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
তিনি আরো বলেন, আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে এই মাঠটিক উন্নত একটি ফুটবল মাঠে পরিনত করার। যাতে করে তৃনমুল পর্যায়ে যুব ও তরুণ সমাজ খেলাধুলার সুযোগ আরো বেশি করে পেতে পারে। এলাকাবাসীর দাবী, নতুন এই মাঠটি দ্রুত সংস্কার করে উন্নত একটি খেলার মাঠ হিসেবে যেন গড়ে তুলা হয়।