দেশরত্ন জননেএী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা, বিশ্ব রাজনীতির অঙনের অনন্য বিস্ময়, গনতন্ত্রের মানষ কন্যা, মানবতার ‘মা’, বিশ্বের মেহনতি মানুষের অন্যতম শীর্ষ নারী নেএী। সন্দেহাতিতভাবে তিনি বাংলাদেশের কাংখিত উন্নয়নের সফল কারিগর, স্বাধীনতার স্বপ্ন সাধ ‘অর্থনৈতিক মুক্তির’ অগ্রদূত এবং স্বাধীনতার পক্ষ শক্তির সর্বশেষ ঠিকানা।তিনি গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের চার বারের সফল প্রধানমন্ত্রী। সংগত কারনেই তাঁকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।প্রার্থনা জানাই মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে তাঁর দীর্ঘ জীবন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেএী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জৈষ্ঠ্য সন্তান।তিনি ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগন্জ জেলার টুঙ্গী পাড়ায় জন্ম গ্রহন করেন। স্বামী আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন পারমানবিক বিজ্ঞানী মরহুম ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া। তিনি সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের গর্বিত মাতা। জননেএী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় (১৯৯৬-২০০১ এবং ২০০৯-অদ্যবধি(২০২৩) প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসছেন।অন্যদিকে তিনি ১৯৮১ সাল থেকে থেকে আজ অবধি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি।
জননেএী শেখ হাসিনা ২০১৫ সালে জাতিসংঘের পরিবেশ-বিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্যা আর্থ’ খেতাব অর্জন করে বিশ্ব নেএীর সন্মানেও ভূষিত হন এবং বিশ্ব দরবারে বাঙালি জাতিকে করেন গর্বিত।চ্যাম্পিয়নস অব দ্যা আর্থ বাক্যটি বাংলায় অনুবাদ করলে অর্থ দাড়ায় “ভূ-মন্ডল বা পৃথিবী বিজয়ী বা বিশ্ব বিজয়ী।গর্বের বিষয় হ’লো বাংলাদেশের সফল রাষ্ট্র নায়ক দেশরত্ন শেখ হাসিনা এই অসাধারন পুরস্কারটি পেয়ে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে করেছেন সন্মানিত। জলবায়ু পরিবর্তনের কষ্টকর ঝুকি মোকাবেলা করে পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং মানব কল্যানে টেকসই উন্নয়নের গতি ধারা বজায় রাখায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘ কোন আন্তর্জাতিক সন্মান জনক পুরস্কার ঘোষনার পুর্বে কয়েকটি ইন্ডিকেটর বা মাপকাঠি ব্যবহার করে থাকে। এ ক্ষেএেও জাতিসংঘ বিশ্বখ্যাত বিশেষজ্ঞ প্যানেলের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষনের পুর্ব শর্ত তথা দূর্নীতি মুক্ত সুশাসন, সহিষ্যু গনতান্ত্রিক চর্চা, মানবতা বা মানবিক মূল্যবোধের মানদন্ড এবং মানব কল্যানের উদ্দেশ্যে জলবায়ু এবং এর ক্ষতিকারক দিক মোকাবেলা করে পরিবেশের বিরূপ প্রতিকূল অবস্হা মোকাবেলায গৃহিত কর্ম-কৌশল ও টেকসই উন্নয়নের গতিধারা সচল রাখার গৃহিত কর্মকান্ড পর্যবেক্ষন করেই এই বিরল পুরস্কারটি প্রদান করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞগন উপরিউক্ত ইন্ডিকেটর সমুহ বিবেচনায় এনেই বিশ্বের সকল রাষ্ট্র সমুহের মধ্যে বাংলাদেশের সরকার প্রধান জননেএী শেখ হাসিনাকে চ্যাম্পিয়ন হিসাবে মনোনীত করে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তাঁর হাতে এই বিরল সন্মানের পুরস্কারটি তুলে দেন।
উল্লেখ্য যে, ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্যা আর্থ’ জাতিসংঘের পরিবেশ-বিষয়ক সর্বোচ্চ বার্ষিক সম্মাননা। জাতিসংঘ সাধারনত: পরিবেশ বিষয়ে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বিশ্বজয়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এই সম্মাননা দিয়ে থাকে। রাষ্ট্র পরিচালনায় অব্যাহত গনতান্ত্রিক চর্চা, দূর্নীতি মূক্ত জনমূখি সুশাসন এবং মানব কল্যানে অগ্রগতির লক্ষ্যে গৃহিত কর্মসুচি এবং কর্মসুচি বাস্তবায়নে জনগনের অংশ গ্রহনের নীতিমালা নির্ধারণ, বিজ্ঞানের উৎকর্ষতা, ব্যবসা ও মানব কল্যানে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দের ভূমিকা; এই চার ক্যাটাগরিতে এই বিরল পুরস্কারটি প্রদান করা হয়। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ পর্ষদ দেশ পরিচালনায় গনতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রেখে দূর্নীতি মূক্ত সুশাসন এবং মানব কল্যানে দ্রুততম সময়ে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত করার ফলশ্রুতিতে জননেএী শেখ হাসিনাকে “বিশ্ব বিজয়ী রাষ্ট্র নায়ক”(চ্যাম্পিয়নস অব দ্যা আর্থ”) হিসাবে মনোনীত করেন। পূর্ববর্তী পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে বিভিন্ন দেশের নেতা-নেত্রীসহ প্রথিত যশা বিশেষজ্ঞগনও রয়েছেন; যাঁদের নেতৃত্ব ও কর্মকাণ্ড একটি টেকসই বিশ্ব সৃষ্টি এবং সবার জন্য মর্যাদাসম্পন্ন জীবন নিশ্চিতে কাজ করেছে।উল্লেখ্য, পরিবেশ সংক্রান্ত কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৪ সাল থেকে প্রতি বছর চারটি ক্যাটাগরিতে ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্যা আর্থ’ পুরস্কার প্রদান করে আসছে জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি।
বিষয়টি অত্যন্ত আনন্দের এবং গর্বের যে, ২০১৫ সালে বাংলাদেশের জনগনের পক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেএী শেখ হাসিনা বিশ্বখ্যাত “Champions of the earth” নামক এই বিরল পুরস্কারটি প্রাপ্ত হয়ে বাঙালি জাতিকে বিশ্বদরবারে করেছেন গর্বিত এবং সন্মানিত। এই পুরস্কারটি মুলত: প্রধানমন্ত্রী জননেএী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণের অজেয় মনোভাব, অব্যাহত গনতন্ত্র চর্চার ইচ্ছা শক্তি, পরিবেশ এবং কাংক্ষিত উন্নয়নের পথে দৃড় মনোভাবের পুরস্কার বা স্বীকৃতি। প্রসংগত, সারা পৃথিবীর মানুষ জানে বাংলাদেশ একটি দুর্যোগ প্রবন দেশ; প্রায় সারা বছর দেশটিতে খরা, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড় প্রভৃতি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে বাংলাদেশ একটি দূর্ভিক্ষ প্রবন দেশ।অধিকন্তু, বিশ্ববাসি আরো জানে পচাওর পরবর্তি সময়ে জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়ার জামাত-বিএনপি সরকারের আমলে পাঁচ বার দূর্নীতির শীর্ষে থাকার ফলে বাংলাদেশ একটি আমদানী নির্ভর পরমূখাপেক্ষি দেশ হিসাবে পরিচিতি লাভ করে। অধিকন্তু, প্রকৃতির বিরুদ্ধতার মুখে বাংলাদেশের মানুষের টিকে থাকা ও ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি-সামর্থ বা সহিষ্ণুতার খবর বহির্বিশ্বের মানুষ খুব কমই জানতো। তবে সুখের খবর হলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেএী শেখ হাসিনা ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ সম্মাননা পাওয়ার মধ্য দিয়ে বিশ্ববাসী আজ জানতে পেরেছে শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ প্রকৃতির প্রতিকূলতার মুখে শুধু টিকে থাকতেই জানে না, বরং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ঝুঁকিগুলো দক্ষভাবে মোকাবিলা করার সুদূরপ্রসারী কর্মকৌশলও নিতে পারে এবং সংগত কারনেই বাংলাদেশ আজ খাদ্যে সয়ম্ভর দেশ হিসেবে সাফল্য ও পরিচিতি পেয়েছে।জলবায়ু পরিবর্তনের অনেক ধরনের অনাকাংখিত চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হওয়ার পরও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূর্নীতিমুক্ত সফল নেতৃত্বে বাংলাদেশের কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারকে ছাড়িয়ে গেছে এবং ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ন্যায় তাঁর কন্যা জননেএী শেখ হাসিনা কৃষি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে ফসলের স্বল্প মেয়াদি আগাম জাত উদ্ভাবনে কৃষি বিজ্ঞানীদেরকে সার্বক্ষনিক তত্ববধায়ন, উৎসাহিত করন, কৃষক পর্যায়ে উন্নত জাতের সুস্হ্য সবল বীজ সরবরাহ এবং ভূমির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে অনাবাদি/পতিত জমি সহ সকল আবাদি জমি চাষাবাদের আওতায় আনার ব্যবস্হা গ্রহন, পর্যাপ্ত বিদ্যুত উৎপাদন এবং সেচের পানি সরবরাহ নিশ্চিত করে এক ফসলি জমিকে তিন ফসল আবাদের আওতায় এনে তিনগুন ফসল উৎপাদন করে আমদানী নির্ভর বাংলাদেশকে খাদ্যে সয়ংসম্পুর্ন দেশে পরিনত করেছেন। এতদভিন্ন, কর্মহীন অসচ্ছল গ্রামীন মহিলাদেরকে উৎপাদনের হাতিয়ারে রূপান্তরের লক্ষে প্রতিটি বসত বাড়ীকে এক একটি সফল কৃষি খামারে রূপান্তর, বসত ভিটায় হাঁস-মুরগী,গরু-ছাগল পালন, মৎস্য চাষ এবং সারা বছর শাকসব্জী, ফল-ফলাদি, মাছ-মাংস ও দুগ্ধ উৎপাদন করে গ্রামীন পর্যায়ে পুষ্ঠির সহজ লভ্যতা ও সরবরাহ নিশ্চিত করে তাঁদেরকে করেছে অর্থনৈতিক উন্নয়নের হাতিয়ার এবং এতে পারিবারিক সিদ্ধান্তে মহিলাদের অংশীদারিত্ব ও ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে প্রতিটি পরিবারে ফিরে এসেছে আর্থিক সচ্ছলতা, ছেলে-মেয়েরা স্কুল কলেজ মূখি হওয়ায় বৃদ্ধি পেয়েছে শিক্ষার হার এবং বাল্য বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ ও পারিবারিক- সামাজিক অশান্তি ব্যাপক ভাবে হ্রাস পেয়েছে।
অন্যদিকে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেএী শেখ হাসিনা মাঠ ফসল চাষাবাদে অসচ্ছল কৃষকদের মাঝে চাষাবাদের উপকরনসহ আনুসাংগিক খরচ নির্বাহে কৃষকদেরকে আর্থিক প্রনোধনা প্রদান করে একর প্রতি ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করে গ্রামীন অর্থনীতিকে করেছেন শক্তিশালী। অধিকন্তু, সম্ভাব্য আগাম বন্যার ঝুঁকি থেকে ফসল রক্ষায় দ্রুত ফসল কর্তন, ফসল মাড়াই ও গোলাজাত করনে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহের মাধ্যমে সমগ্র হাওর অন্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার হাত থেকে উৎপাদিত ফসল রক্ষা করার নির্বাহী ব্যবস্হা গ্রহন করে সম্ভাব্য ক্ষয়-ক্ষতি রোধ করেছেন।
এদতভিন্ন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেএী শেখ হাসিনা গ্রামান্চলে প্রায় ৪০ লক্ষ বসত বাড়িতে সৌরবিদ্যুৎ চালু করে একদিকে বিশ্বে প্রথম ‘সোলার জাতি’ হিসাবে বাংলাদেশকে পরিচিত করেছেন এবং অন্যদিকে গ্রামীন পর্যায়ে দূষন মূক্ত কর্মঘন্টা বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সংগত কারনেই বাংলাদেশে দারিদ্রের হার ৪৮ থেকে ১৮ এবং অতি দারিদ্রের হার ২৫ থেকে ৫ ভাগে নেমে এসেছে।তাছাড়া সরকার পরিচালনায় কঠোর সচ্ছতা ও ব্যয় সংকোচ নীতি এবং দেশের অভ্যন্তরে প্রবাসি বাংলাদেশীদের জন্য বিনিয়োগ নীতি মালা সহজি করন ও তাঁদের কর্তৃক প্রেরিত অর্থের উপর আর্থিক প্রণোদনা বা ইনসেন্টিভ দেয়ার কারনে অতিমারী করোনার প্রভাব বা ক্ষতি সত্বেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাড়িয়েছে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার, যা কিনা ২০০৫ সালে ছিল মাএ ৩ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার।
দেশব্যাপী নিরাপদ ও পুষ্ঠি সমৃদ্ধ খাদ্য সরবরাহের ফলে মাতৃ মৃত্যু ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়ে মানুষের গড় আয়ু প্রায় ৭৩ বছরে উন্নীত হয়েছে। বর্তমান সরকারের স্বাস্থ্য খাতে অন্যতম পদক্ষেপ হলো কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন। ১৯৯৬ সালে প্রথম বার ক্ষমতায় এসে এই কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প গ্রহন করে প্রায় দশ হাজার ক্লিনিক স্হাপন করেন জননেএী শেখ হাসিনার সরকার এবং বর্তমানে দেশে প্রায় সাড়ে আঠারো হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে। এই সব কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে সরকার গণমানুষকে ফ্রি-চিকিৎসা সহ মাতৃ সেবা, শিশু স্বাস্হ্য এবং বিনা মূল্যে ওষুধ সরবরাহ করছে।অধিকন্তু মাতৃত্বকালীন অন্ত:স্বত্বা সেবা এবং সন্তান জন্মদানের পর নারীরা এখন অনেক রকমের সেবা পাচ্ছেন। কর্মজীবী নারীদের দেওয়া হচ্ছে দীর্ঘ সময় ব্যাপী মাতৃত্বকালীন ছুটি ও ভাতা; যাতে তাঁরা পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করে স্বাস্থ্যবান সন্তান জন্ম দিতে পারেন। এতদভিন্ন, শিশুদেরকে মায়ের বুকের দুধ পানে উৎসাহ প্রদানে মাসে ১০ ডলারের সম পরিমান ভাতাও চালু করেছেন জননেএী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত জনবান্দব সরকার। এ ভাবেই মাতৃমৃত্যু ও শিশু মৃত্যুর হার কমিয়ে এনে গড় আয়ু বৃদ্ধির কৌশল বাস্তবায়ন করেছেন তিনি।স্বাস্থ্য খাতের এই অর্জনের জন্য জাতিসংঘের তিনটি পুরস্কারসহ মোট ১৬টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করেছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত। এর মধ্যে এমডিজি অ্যাওয়ার্ড, সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তাছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামে সুদীর্ঘ ২৫ বছরের গৃহযুদ্ধ অবসানের ক্ষেত্রে জননেএী শেখ হাসিনার অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো তাঁকে ‘হুপে-বোয়ানি’ শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করেন এবং দশ লক্ষ অসহায়,ছিন্নমূল ও নিরন্ন রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দিয়ে তিনি জাতিসংঘসহ বিশ্বের সকল দেশ ও সংস্থা বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেএী শেখ হাসিনাকে ‘মাদার অফ হিউম্যানিটি’ উপাধি প্রদান করেছে।
বিস্ময়কর হলেও সত্য স্বাধীনতার প্রায় ৪২ বছর পর শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্ব এবং সফল কূটনৈতিক তৎপরতার ফলে আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের মাধ্যমে ২০১২ সালে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার এবং ২০১৪ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সমুদ্রসীমা নির্ধারণ সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি হয়। ঐতিহাসিক এই নিষ্পত্তিতে বঙ্গোপসাগরে ১,১৮,৮১৩ বর্গ কিলোমিটার সমুদ্র-এলাকার ওপর বাংলাদেশের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়।এতদভিন্ন, ২০১১ সালে বাংলাদেশ ও ভারত স্থলসীমানা চুক্তি ১৯৭৪-এর প্রটোকল স্বাক্ষর এবং ২০১৫ সালে স্থলসীমানা চুক্তির অনুসমর্থনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদীর্ঘ প্রচেষ্টার ফলে ১১১টি ভারতের ছিটমহল বাংলাদেশের এবং মাএ ৫১টি ছিটমহল ভারতের অংশ হয়ে যায়। ছিটমহল বিনিময়ের ফলে নাগরিকত্বহীন ৫০ হাজারের বেশি মানুষ তাদের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বাংলাদেশের নাগরিকত্ব লাভ করে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেএী শেখ হাসিনার নিজস্ব চিন্তা প্রসূত “বিস্ময়কর আশ্রায়ন প্রকল্পের” আওতায় ১৯৯৭ থেকে এযাবৎ প্রায় ৮ লাখ পরিবারকে দুই কাঠা জমি সহ সরকারী খরচে বাসস্থান তৈরী করে বিনামূল্যে বিতরন করা হয়েছে। প্রসংগত উল্লেখ্য আমেরিকাতে প্রায় পাঁচ লক্ষ গৃহহীন(Homeless) লোক শীত বর্ষায় রাস্তায় রাত কাটায় বলে এক জরিপে উঠে এসেছে।অথচ বাংলাদেশের মতো একটি গরীব দেশে জনবান্দব শেখ হাসিনা সরকারের গৃহিত মানবিক কর্ম সূচির ফলে দেশে কোন ব্যক্তি নিরন্ন ও গৃহহীন লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন।
অন্যদিকে সরকারের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা, এমজিডি অর্জন, এসডিজি’র সফল বাস্তবায়নসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, লিঙ্গসমতা, কৃষিতে ব্যাপক উন্নয়ন, দারিদ্রসীমা(৪৮ থেকে ১৮ এবং অতিদারিদ্র ২৫ থেকে ৫ ভাগ) হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি(৭৩) রপ্তানিমুখী শিল্পায়ন এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা, পোশাক শিল্প, ঔষধ শিল্প, রপ্তানী আয় বৃদ্ধি সহ নানা অর্থনৈতিক সূচক বৃদ্ধি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি ও পরিশ্রমের ফসল। এছাড়া পদ্মা সেতু, কর্নফুলি নদীর তলদেশে সেতু নির্মান, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মান ঢাকা মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেস হাইওয়ে নির্মান করে দেশের অব্যাহত অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রচেষ্টা এ সবই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেএী শেখ হাসিনার ধ্যান জ্ঞান ও উন্নয়ন ভাবনা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দেশপ্রেম, দূর্নীতি মূক্ত প্রশাসন ও সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে মাএ ১৫ বৎসরে বাংলাদেশকে অভাবনীয় উচ্চায় বা মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করতে গিয়ে নিন্মোক্ত আন্তর্জাতিক ও আন্চলিক পুরস্কার বা খেতাবে ভূষিত হয়েছেন তিনি।
(১) ২০১৮ সালে মানবিক কারণে ১০ লাখের বেশি ছিন্নমূল বাস্তহারা রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ায় ইন্টারপ্রেস সার্ভিস (Inter Press Service) নিউজ এজেন্সি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ইন্টারন্যাশনাল এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ (International Achievement Award) প্রদান করেন।
একই সালে রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধানে দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে দাতব্য সংগঠন ‘গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশন’ (Global Hope Coalition) -এর পরিচালনা পর্ষদ শেখ হাসিনাকে ‘স্পেশাল রিকগনিশন ফর আউটস্ট্যান্ডিং লিডারশিপ’ অ্যাওয়ার্ড’ (Special Recognition for Outstanding Leadership award) প্রদান করেন।
এতদভিন্ন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্লোবাল সামিট অব উইমেন শেখ হাসিনাকে নারী নেতৃত্বের সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে ‘গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ পুরস্কার প্রদান করেন একই সালে (২০১৮)।
(২) ২০১৬ সালে লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নে বিশেষ অবদানের জন্য ইউএন উইমেনের পক্ষ থেকে ‘প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ ও গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফোরাম এর পক্ষ থেকে ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তাছাড়া একই সালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সাফল্যের জন্য ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেডক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করেন।
(৩) ২০১৫ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন ও তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য জাতিসংঘ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ITU (International Telecom Union) এর ‘আইসিটি টেকসই উন্নয়ন পুরস্কার’ এ ভূষিত করে। একই বছর রাজনীতিতে নারী পুরুষের বৈষম্য কমানোর ক্ষেত্রে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালনে “WIP (Women in Parliament) Global Award” দেওয়া হয়।
(৪) ২০১৪ সালে নারী ও শিশুশিক্ষা উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য ইউনেস্কো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শান্তিবৃক্ষ পদকে (Peace Tree Award) ভূষিত করে।একই সালে(২০১৪) : খাদ্য উৎপাদন ও তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্যের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রধানমন্ত্রীকে সম্মাননা সার্টিফিকেট প্রদান করে।
(৫) ২০১৩ সালে খাদ্য নিরাপত্তা এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র্য বিমোচনে বিশেষ অবদানের জন্য জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর সাউথ সাউথ কো-অপারেশন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে “South South Award” পুরস্কারে ভূষিত করে।
(৬) ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নপ্রসূত ‘একটি বাড়ি ও একটি খামার প্রকল্প’ ‘ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত তথ্য-প্রযুক্তি মেলায় সাউথ এশিয়া ও এশিয়া প্যাসিফিক ‘Manthan Award’ ২০১৩ পদকে ভূষিত হন।
তাছাড়াও আ বছর(২০১৩) জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) দারিদ্র্য ও অপুষ্টি দূর করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে Diploma Award পদকে ভূষিত করে।
(৭) ২০১২ সালে শান্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখার জন্য ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ডিলিট ডিগ্রি প্রদান করা করে। একই বছর (২০১২) বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য রক্ষা এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রম এগিয়ে নিতে বিশেষ অবদানের জন্য UNESCO মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে Cultarul Diversity পদকে ভূষিত করে।
(৮) ২০১১ সালে ইংল্যান্ডের হাউস অব কমন্সের স্পিকার Jhon Bercwo MP প্রধানমন্ত্রীকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে দূরদর্শী নেতৃত্ব, সুশাসন, মানবাধিকার রক্ষা, আঞ্চলিক শান্তি ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সচেতনতা বৃদ্ধিতে তার অনবদ্য অবদানের জন্য Global Diversity Award প্রদান করেন।
একই বছর(২০১১) সালে South South Award স্বাস্থ্য খাতে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে নারী ও শিশু মৃত্যুর হার কমানোর ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য International Telecommunication union (ITU) South South News এবং জাতিসংঘের আফ্রিকাসংক্রান্ত অর্থনৈতিক কমিশন যৌথভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে “South South Award 2011 : Digital Devolopment Health” পুরস্কারে ভূষিত করে। এ ছাড়া গণতন্ত্র সুসংহতকরণে প্রচেষ্টা ও নারীর ক্ষমতায়নে অবদান রাখার জন্য ডফিন বিশ্ববিদ্যালয়, ফ্রান্স ২০১১ সালে স্বর্ণপদক প্রদান করে এবং একই বছর(২০১১) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেএী শেখ হাসিনা বাংলা অ্যাকাডেমির সম্মাননা সূচক ফেলোশিপ পান।
(৯) ২০১০ সালে শিশু মৃত্যু হ্রাসসংক্রান্ত MDG-4 অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘ MDG (Millenium Devolopment Goal) Award প্রদান করে।একই বছর(২০১০) ২৩ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিক উন্নয়নে অসমান্য অবদানের জন্য St.Petrsburg University প্রধানমন্ত্রীকে সম্মানসূচক ডক্টরেট প্রদান করেন।তাছাড়া ঐ সালে(২০১০) বিশ্বখ্যাত ‘ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পদক ২০০৯’ পদকে ভূষিত হন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেএী শেখ হাসিনা।
(১০) ২০০৫ সালে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শান্তির পক্ষে অবদান রাখার জন্য শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অব রাশিয়া।
(১১) ২০০০ সালে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে সাহসিকতা ও দূরদর্শিতার জন্য ম্যাকন ওমেনস কলেজ যুক্তরাষ্ট্র ‘পার্ল এস বাক পদক’ প্রদান করে।একই বছর(২০০০) সালে রাসেলসের ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেএী শেখ হাসিনাকে Doctor Honorius Causa প্রদান করে এবং একই বছর(২০০০) বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নে অবদানের জন্য University of Bridgeport কানেকটিকাট, যুক্তরাষ্ট্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে Doctor of Humane letters প্রদান করেন।
(১৩) ১৯৯৯ সীলে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার অবদানের জন্য অস্ট্রেলিয়া ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি প্রদান করে।একই বছর(১৯৯৯ ) ক্ষুধার বিরুদ্ধে আন্দোলনের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ FAO কর্তৃক ‘সেরেস পদক’ লাভ করেন প্রধানমন্ত্রী জননেএী শেখ হাসিনা এবং ১৯৯৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ডক্টর অব ল’জ ডিগ্রী প্রদান করে।
(১৩) ১৯৯৮ সালে নরওয়ের রাজধানী অসলোয় মহাত্মা গান্ধী ফাউন্ডেশন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘এম কে গান্ধী’ পুরস্কারে ভূষিত করে। একই সালে(১৯৯৮) শান্তি ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য শেখ হাসিনাকে ‘মাদার তেরেসা পদক’ প্রদান করে নিখিল ভারত শান্তি পরিষদ।তাছাড়া একই সালে(১৯৯৮) পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনন্য অবদান রাখার জন্য ইউনেস্কো প্রধানমন্ত্রী জননেএী শেখ হাসিনাকে ‘ফেলিক্স হুফে বইনি’ শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করে।একই সালে(১৯৯৮) শান্তি নিকেতন বিশ্বভারতীর এক আড়ম্বরপূর্ণ বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাকে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সম্মানমূচক ‘দেশিকোত্তম’ উপাধিতে ভূষিত করেন।
(১৪) ১৯৯৭ সালে লায়ন্স ক্লাবসমূহের আন্তর্জাতিক অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক ‘রাষ্ট্রপ্রধান পদক’-এ ভূষিত হন।রোটারি ইন্টারন্যাশনালের রোটারি ফাউন্ডেশন একই সালে(১৯৯৭) শেখ হাসিনাকে ‘পল হ্যারিস ফেলো’ নির্বাচিত করেন এবং ১৯৯৬-১৯৯৭ সালের সম্মাননা মেডেল প্রদান করে।একই বছর (১৯৯৭) নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি শান্তি, গণতন্ত্র ও উপমহাদেশের দেশগুলোর মধ্যে সৌহার্দ্য স্থাপনে অনন্য ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ শেখ হাসিনাকে ‘নেতাজী মেমোরিয়াল পদক ১৯৯৭’ প্রদান করে এবং ঐ বছর(১৯৯৭) আরো তিন তিনটি পুরস্কার প্রাপ্ত হন জননেএী শেখ হাসিনা: (ক) গ্রেট ব্রিটেনের ডান্ডি অ্যাবার্তে বিশ্ববিদ্যালয় এক বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে ‘ডক্টর অব লিবারেল আর্টস’ ডিগ্রি প্রদান করে।(খ) জাপানের বিখ্যাত ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয় এক বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি প্রদান করে।
(গ) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহত্তম সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লজ’ উপাধি প্রদান করে।
বিশ্ব মানচিএে বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যেমন ইতিহাসের স্রষ্টা, তেমনি তাঁর কন্যা মহাত্মা শেখ হাসিনা আধুনিক বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপকার হিসেবে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন, সে ইতিহাস বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার ইতিহাস ও সাফল্যের ইতিহাস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ন্যায় বজ্রকন্ঠে জাতি সংঘের ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিয়ে মাথা উচু করে হুংকার দিয়ে বলেছেন, “কথায় কথায় স্যাংশন নয়”!, স্যাংশনে মানবাধিকার লংগিত হয়”, “যুদ্ধ নয়; শান্তি চাই”।”বিশ্ব মানবতার কল্যানে শান্তিপূর্ণ বিশ্ব চাই”। “চাই পারস্পারিক সহযোগিতা, সহমর্মিতা এবং ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা”। বিশ্ব দরবার স্তব্দ হয়ে যায় কিছুটা সময়ের জন্য; উপস্হিত বিশ্ব নেতৃবৃন্দ অবাক বিস্ময়ে শ্রবন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর “গনতন্ত্র, মানবতা, মানবাধিকার এবং বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার ছবক”।
২৬ বছর আগে জাতিসংঘের ২৯তম অধিবেশনে জাতির পিতার ভাষণ “উন্নত মম শীর” থেকে পথ হারানো বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব ফিরিয়ে এনেছেন তাঁর কন্যা জননেএী শেখ হাসিনা।পিতার কথাগুলোই বিশ্বকে নতুনভাবে, নতুন মোড়কে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।যার কারনে বাঙালি জাতি স্বস্তি পেয়েছেন এই ভেবে যে, বিশ্ব দরবারের সবচেয়ে বড় প্লাটফর্মে বাংলাদেশ তার হারানো নেতার সুযোগ্য উত্তরসূরি ফিরে পেয়েছে। আর তৃতীয় বিশ্ব ফিরে পেয়েছে একজন ‘হেভিওয়েট নেতা’। বিশ্ব দরবারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশসহ বিশ্বের মহনতি মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার অব্যাহত গনতান্ত্রিক প্রচেষ্টা, নিজ দেশে গৃহহীনকে গৃহদান, নিরন্নকে পুষ্টি সম্পন্ন খাদ্যের সংস্হান, অসহায় মানুষের জন্য সরকারী প্রণোদনা, শতভাগ বিদ্যুতায়ন, শান্তিপুর্ন ভাবে দেশীয় ও আন্চলিক সমস্যা দূরীকরনে তাঁর অব্যাহত কার্যক্রম তুলে ধরে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। বিশ্ব দরবারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেএী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব মার্কিন প্রশাসনের স্যাংশন উপেক্ষা করে বাংলাদেশ জাতিসংঘের ৭৭তম অধিবেশনে সর্বোচ্চ একশত ষাট (১৬০) ভোট পেয়ে “জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল সদস্য” নির্বাচিত হয়েছে।
সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ, এবারও জাতিসংঘের ৭৮তম অধিবেশনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেএী শেখ হাসিনা মানবতার সেবায় বাংলাদেশের স্বাস্হ্য খাতে বিস্ময়কর উন্নয়ন স্ববিস্তারে বিশ্ববাসিকে অবহিত করে দৃড় কন্ঠে আগামী ২০২৪ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন গনতান্ত্রিক বিশ্বের সর্বসেরা “অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ” নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রত্যয় ঘোষনা করে “মানবতা ও গনতন্ত্রের” ফেরিওয়ালাদেরকে ছবক শোনাবেন।
পরিশেষে, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ইতিহাসবিদ এবং রাজনৈতিক-অর্থনৈতিকবিদগনের বিশ্লেষন মতে একথা সন্দেহাতীত ভাবে বলা যায় “স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’র সরকার ব্যতিত যত সরকার প্রধান এসেছেন; তন্মধ্যে সরকার প্রধান হিসাবে “শেখ হাসিনাই শ্রেষ্ঠ” এবং সংগত কারনেই জাতিসংঘ জননেএী শেখ হাসিনাকে “Champions of the earth” খেতাবে ভূষিত করে তাঁকে বিশ্ব সেরা সরকার প্রধানের স্বীকৃতি প্রদান করেছে।
লেখকঃ মকবুল তালুকদার *যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসি বীর মুক্তিযোদ্ধা, কৃষিবিদ, গবেষক ও উপদেষ্টা, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ।