এদিকে বিজিবির লাঠিচার্জে অনেক নারী পুরুষ আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে পাথর শ্রমিকরা। এদের মধ্যে ১২ জনকে তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ বিজিবি, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত হলেও ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আটকৃতরা হলেন, তেঁতুলিয়ার ভাদ্রবাডি এলাকার ট্রাক্টর চালক সোলেমান আলী (৩০), একই এলাকার পাথর ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম (২৪), রণচন্ডী এলাকার ট্রাক্টর চালক অমিত হাসান (২৩) ও পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার ট্রাক্টর চালক শিমুল হাসান (২৮)। সংঘর্ষে আহতরা হলেন, ভাদ্রবাড়ি এলাকার আমিনুর (২৮), সবিরন (৭০), ইমারন (৭০), মালতি (৩৫), আকলিমা (৪০), আতুল (৪০), ছালেমা (৭০), আঞ্জুনা , জোসনা, আঞ্জুনা (৩০), সালেকা (৫২) ও সরকারপাড়া এলাকার রাসেল (৩২)।
তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি ভাদ্রবাড়ি
এলাকার মালতী রানী বলেন, মহানন্দায় পাথর উত্তোলন করতে গেলে বাধা দেয় বিজিবি। দুপুরে কয়েক গাড়ি বিজিবি এসে আমাদের মারধর শুরু করে। লোকজনকে গুলির ভয় দেখায়। আমার স্বামীকে মারধর করার সময় আমাকেও মারধর করে।
পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে কর্নেল যুবায়েদ হাসান বলেন, সীমানা অতিক্রম করে একটি চক্র পাথর উত্তোলন করে গেলে বিজিবি তাদের বাধা দেয়। এ সময় তারা আমাদের ৬/৭ জন বিজিবি সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এর ফাঁকে সীমান্ত থেকে ট্রাক্টরগুলো সরিয়ে নেয় তারা। পরে আমাদের সদস্যরা গিয়ে অবরুদ্ধদের উদ্ধার করে। এ সময় ঘঠনার সাথে জড়িত ৪ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। শ্রমিকদের লাঠিচার্জের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যে।