মৌলভীবাজার ডিস্ট্রিক্ট এসোসিয়েশন-মিড এন্ড ওয়েষ্ট গ্লামারগণ এর উদ্যোগে প্রথমবারের মতো ’সামার মেলা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে সোয়ানসী শহরের প্রাণ কেন্দ্র সেন্ট হেলেন্স ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। উক্ত মেলা হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে আনন্দ উল্লাসে পরিণত হয় এক মিলন মেলায়। যুব সমাজ তরুণ তরুণী সহ ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা দৌড় ঝাপ সহ বিভিন্ন ধরণের খেলাধুলায় অংশ গ্রহণ করে মেলাকে মাতিয়ে তোলে। এছাড়াও অনুর্ধ ১৮ বছর বয়সী ছেলেদের ফুটবল খেলা মাতিয়ে তোলে পুরো মেলার মাঠকে। এছাড়াও ছিলো বিভিন্ন ধরণের খাবারের স্টল যেমন বিরিয়ানী, ডালপুরি, চানাচুর, চা-কফি, আইসক্রীম ছাড়াও কাপড়, খেলনা সহ নানা ধরণের আইটেমের দোকান। এই মেলাকে বড় বড় ব্যবসায়ীরা স্পন্সর করেছেন।
মেলাকে সফল ভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে কার্য্যকরী পরিষদের সদস্যদের মধ্য থেকে ৬ জনের সমন্বয়ে একটি টীম গঠন করে তাদের উপর বিভিন্ন দায়িত্ব অর্পন করা হয় এবং প্রত্যেকেই তাদের দায়িত্ব পালনে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যান, যার ফলে এই মেলা সফলতার মুখ দেখে। শুধু সফলতার মুখই নয়, মেলা থেকে বিরাট অংকের অর্থ এসোসিয়েশনের তহবিলে এসে জমা হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে এসোসিয়েশনের উদ্যোক্তারা বলেন, আমাদের উদ্দেশ্যই ছিলো বাঙালী জাতির সংস্কৃতি এবং কৃষ্টিকে আমাদের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ছেলে মেয়েদের কাছে তুলে ধরা। যার ফলে তারা ভিন্ন জাতির সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট না হয়ে বরং আমাদের সমাজ, সংস্কৃতি এবং কৃষ্টির প্রতিই বেশী আগ্রহান্বিত হবে, তারা পথহারা হবে না। এরই মাধ্যমে আমাদের সমাজ সম্বন্ধে তারা জানতে পারবে, বুঝতে পারবে।
এই মেলাকে সফল করতে গিয়ে দ্বায়িত্বপ্রাপ্তরা কি কি অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন, কি কি ভুলত্রুটি হয়েছে এবং মেলা অনুষ্ঠান করতে গিয়ে লাভ ক্ষতির হিসাব ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যে বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বুধবার কার্যকরী কমিটি এবং উপদেষ্টা কমিটির সকল সদস্যদের নিয়ে এক সভার আয়োজন করা হয় সোয়ানসী শহরের ’আনারকলি’ রেষ্টুরেন্টে।
উক্ত সভায় কার্যকরী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যরা তাদের কাজের সার্বিক রিপোর্ট পেশ করেন। সুন্দর এবং খোলামেলা পরিবেশে সবাই আলাপ আলোচনা করেন এবং যে সকল ভুলত্রুটি হয়েছে ভবিষ্যতে তা কি ভাবে সংশোধন করে আগামীতে এগিয়ে যাবেন তা নিয়ে উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্যদের সাথে মত বিনিময় করেন। সব শেষে মেলার আয় ব্যয়ের হিসাব পেশ করেন মোহাম্মদ আমিন শাহ (আঙ্গুর)। হিসাব নিকাশের পর যখন দেখা গেল মেলা থেকে ভালো একটা ’এমাউন্ট’ আয় হয়েছে, তখন সবাই আনন্দে মেতে ওঠেন। কারণ, প্রথমবারের মতো মেলা থেকে আয় হবে এ রকম চিন্তা তারা করেন নি।
এসোসিয়েশনের উপদেষ্ঠা মন্ডলীর সদস্যরা কার্য্যকরী পরিষদের সবাইকে অনেক কষ্ট করে মেলাকে সফল করে তোলার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে আগামীতে আরও বৃহৎ আকারে মেলার আয়োজন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করতে অনুরোধ জানান এবং সেই সঙ্গে তাদের সার্বিক সহযোগিতারও আশ্বাস প্রদান করেন। সভায় যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের সম্মানে ’আনারকলি’ রেষ্টুরেন্টের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরণের খাবার পরিবেশন করা হয়।