বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রথমবারের মতো তিন কৃষি পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে সরকার। সেগুলো হলো-আলু, দেশী পেঁয়াজ ও ডিম। তবে বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়-আলু, পেঁয়াজ ও ডিম বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই।
রাজধানীর কারওয়ানবাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৮০ থেকে ৮২ টাকায় দেশি পেঁয়াজের দাম কমলেও কমেনি ভারতীয় পেঁয়াজের দাম। ভারতের আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে তিন দিনের ব্যবধানে আলুর দাম এজেন্ট পর্যায়ে কেজিতে তিন থেকে চার টাকা পর্যন্ত কমেছে। ৪১/৪২ টাকা থেকে নেমে এসেছে ৩৭/৩৮ টাকায়। যদিও তেমন প্রভাব পড়েনি খুচরাবাজারে। বরং কোল্ড স্টোরেজ থেকে আলুর সরবরাহ কমিয়ে দেয়ার অভিযোগ করছেন আড়ৎ মালিকরা।
সরকারের চাপে আলুর এজেন্টরা দাম কিছুটা কমালেও খুচরায় বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। তাদের দাবি, কমে কিনতে না পারায় কম দামে বিক্রি করতে পারছেন না তারা। খুচরাবাজারে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে আলু।
ক্রেতাদের দাবি, দাম শুধু নির্ধারণ করলেই হবে না, তা বাজারে কার্যকরও করতে হবে। তা না হলে বিভ্রান্ত হবেন বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতারা।
এদিকে প্রতি হালি ডিম আগের মতো ৫০-৫২ টাকা অর্থাৎ প্রতিটি সাড়ে ১২ থেকে ১৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউনহল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি হালি ডিম আগের মতো ৫০ থেকে ৫২ টাকা এবং ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। প্রতি কেজি সাদা আলু ৫০ টাকা এবং লাল আলু ৫৫ টাকায় রয়ে গেছে। কমেনি পেঁয়াজের দামও। ভারতের আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৯০ থেকে ৯৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
মধ্যবাড্ডা কাঁচাবাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, যথারীতি আলু বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫০ টাকা করে, যেখানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা করে। এছাড়াও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা করে, যেখানে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা। এছাড়াও ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি ৫৫ টাকা করে, যেখানে সরকারি নির্ধারিত দাম ৪৮ টাকা।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের আলোকে আলুর সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩৫-৩৬ টাকা, দেশী পেঁয়াজের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৬৪-৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি ডিমের মূল্য ১২ টাকা নির্ধারিত করা হয়েছে।
এছাড়া, প্যাকেটজাত সোয়াবিন ও খোলা সোয়াবিন তেলের দাম ৫ টাকা কমিয়ে যথাক্রমে ১৬৯ ও ১৪৯ টাকা এবং পামওয়েলের দাম ৪ টাকা কমিয়ে ১২৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
নিউজ /এমএসএম