রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন এর সম্মেলন অনুষ্ঠিত কারাবন্দি সাংবাদিকদের মুক্তির দাবিতে লন্ডনে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত আল্লাহর ওয়াস্তে মানুষের খেদমত করুন দেড় বছরেও চালু হয়নি বাল্লা স্থলবন্দর পঞ্চগড় রেললাইনের পাশ থেকে ধর্ষিতার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার চিটাগাং কর্ণফুলী এলিট লায়ন্স ক্লাবের উদ্যোগে চক্ষু শিবির ও খৎনা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত পানি সেচকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ২০ ছাতকে তারুণ্যের উৎসবে প্রতিযোগীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বাঁশ হবে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান- উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বুধবার ফুলতলী ছাহেব ক্বিবলাহর ঈসালে সাওয়াব মাহফিল

সাইবার নিরাপত্তা আইন পাসের আগে অংশীজনদের মতামত নেয়া হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • খবর আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৩
  • ৭৪ এই পর্যন্ত দেখেছেন

‘সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩’ এর খসড়া চূড়ান্ত করার আগে অংশীজনদের মতামত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি বলেন, সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে অংশীজনদের ডেকে আলাপ-আলোচনা করা হবে। সেটা হবে, আপনারা আমরা কাছ থেকে জানতে পারবেন। আলোচনার কথার যে কথা, সেটা আলোচনা করা হবে।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা জানান। এর আগে সোমবার (২৮ আগস্ট) ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

আইনমন্ত্রী বলেন, গতকাল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পরিবর্তে সাইবার নিরাপত্তা আইনটি মন্ত্রিপরিষদে চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে। আগের মামলাগুলো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনুসারেই চলবে-সাইবার নিরাপত্তা আইনের মধ্যে এ কথাটা উল্লেখ আছে।

আগের মামলা আগের আইনে নিষ্পত্তির কথা সাইবার নিরাপত্তা আইনে বলা হয়েছে। তবে সরকার আগের মামলায় নতুন আইনের কম শাস্তি নিশ্চিতের চিন্তা-ভাবনা করছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাপারটা হচ্ছে আমাদের সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদে পরিস্কারভাবে লেখা আছে, প্রথম কথা হচ্ছে অপরাধ করার সময় যে আইন বলবৎ ছিল সে আইনেই বিচারকার্য হবে এবং সেই আইনে যে সাজা ছিল সেই সাজাই দিতে হবে।

৩৫ অনুচ্ছেদে একটা কথা আছে সেটা হচ্ছে-যদি নতুন আইন যেটা করা হচ্ছে ওইটার পরিবর্তে সেখানে যদি সাজা অধিক হয় তাহলে সে সাজাটা দেওয়া যাবে না। পুরোনো আইনে অর্থাৎ যে আইনে সে অপরাধ করেছে অথবা যে আইন বলবৎ ছিল অপরাধ করার সময়, সেই আইনে যে সাজা আছে, তাকে সেই সাজাই দিতে হবে।

দ্বিতীয়টা হচ্ছে কোনো ভিন্নতর সাজা দেয়া যাবে না। এখানে আমরা অনেক চিন্তা-ভাবনা করেছি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আমরা যদি ২১ ধারা ধরি। এ ধারায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১০ বছর সাজা। এখানে আজকে নতুন আইনে অর্থাৎ সাইবার নিরাপত্তা আইনে বলা হচ্ছে পাঁচ বছর। তাহলে আদালত যখন এ আইন পাশ হওয়ার আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বলবৎ থাকার সময় যে অপরাধ হয়েছে, তাহলে তিনি সংবিধান মতে এ ১০ বছর সাজা কিন্তু দিতে পারেন। আমরা সেখানে যাতে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হয়, এমন একটা ব্যবস্থা করতে চাচ্ছি।

তিনি বলেন, সাজা কমাতে যাতে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হয়। সে কমানো সাজার মধ্যেই যাতে তারা থাকেন সেরকম একটা ব্যবস্থার চিন্তাভাবনা করছি এবং সেজন্যই আমি কিন্তু এখন বললাম এটা পাস হওয়ার পরেই আপনারা বুঝবেন এটার কি রূপ আমি দিচ্ছি।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, আইসিটি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) বিভাগ যে ১০ দিন সময় দিয়েছিল সেই ১০ দিন সময়ের মধ্যে যে এসব অবজেকশনগুলো আছে সেসব বক্তব্য গুলো একসঙ্গে জড়ো করে আমরা সবকিছুই স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে উপস্থাপন করব। যারা এখানে তাদের বক্তব্য জানাতে চাচ্ছেন তাদের স্ট্যান্ডিং কমিটির সামনে গতবারের মতো বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ আমরা করে দেব।

নোবেলজয়ীরা ইউনুসের পক্ষে ও তার মামলার বিষয়ে চিঠি দিয়েছে-এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এখানে একটি কথা, ড. ইউনূসের মামলার ব্যপারে কোনো বক্তব্য দিতে চাই না। তার কারণ হলো এ মামলাটা বিচারাধীন। এ মামলার বিষয়ে যতদূর আমি জানি যে লেবার কোর্টে ট্রায়াল হচ্ছে। তিনি যখন আদালতে, যে বিচারিক আদালত যেটা, সে আদালতে যখন জামিন চেয়েছেন তখন জামিন পেয়েছেন। আমি এটাও জানি তিনি যখন তাকে আদালতে উপস্থিত থাকার জন্য তাকে এক্সজেমশন দেয়ার জন্য বলেছেন সেটাও পেয়েছি।

তিনি বলেন, মামলাটা যে কারণে করা হয়েছে বা যারা বাদি তাদেরও মামলা করার অধিকার রয়েছে। মামলার জায়গায় আমি এর থেকে বেশি কিছু বলতে পারবো না। কিন্তু আমি একটা কথা বলবো যেটা আমি আগে বলেছি, আবারও বলছি, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন,কোনো অন্যায় বা অপরাধ সাধারণ মানুষ করলে তার বিচার হবে। কিন্তু মানুষরা করলে তার বিচার হবে না কেন? এ যে সাংস্কৃতি সৃষ্টি করা যায় না।

তারেক রহমানের বক্তব্যে সরানোর আদেশে আইনজীবীদের হট্টগোলের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি সব পক্ষের কাছে আবেদন করি যে, আদালতের মর্যাদা যেন কেউ হানি না করে। বাংলাদেশ যতদিন থাকবে আদালত থাকবে। আমরা আইনজীবীরা সবাই অফিসার অব দ্য কোর্ট।

তিনি বলেন, আমি তাদের কাছে আহ্বান জানাবো, রাজনীতির কারণে আদালতকে কলুষিত করাটা ঠিক হবে না। কারণ তাদের ধৈর্য ধারণ করা উচিত।

নিউজ /এমএসএম

দয়া করে খবরটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এই ক্যাটাগরিতে আরো যেসব খবর রয়েছে
All rights reserved © UKBDTV.COM
       
themesba-lates1749691102