পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে। কারণ, শত বছরের এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান পুলিশের নির্বাচনি দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
রবিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে বরিশাল জেলা পুলিশ লাইনসে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি) ও বরিশাল রেঞ্জের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত বিভাগের সব পুলিশ ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সব পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বিশেষ কল্যাণ সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
আইজিপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশ পুলিশের জনবল, লজিস্টিকস ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বেড়েছে। পুলিশের প্রশিক্ষণ রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকালে পুলিশ নির্বাচন কমিশনের অধীনে দায়িত্ব পালন করে থাকে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ পুলিশকে যে দায়িত্ব দেবে, পুলিশ সে দায়িত্ব পালনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’ অপর এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে কেউ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিশেষ কল্যাণ সভায় ডিআইজি (অপারেশনস) মো. আনোয়ার হোসেন, বিএমপি’র পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি মো. জামিল হাসান, বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এবং পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।’
সভায় আইজিপি আরও বলেন, ‘‘একসময় দেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদের হোলি খেলা চলছিল। দেশের দক্ষিণাঞ্চল ছিল সন্ত্রাসের জনপদ। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির আলোকে আমরা সবাই মিলে একযোগে একসঙ্গে কাজ করে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ দমনে সক্ষম হয়েছি। ফলে দেশে এখন স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এতে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে। মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে।’
সভায় উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা অপারেশনাল ও প্রশাসনিক বিভিন্ন বিষয়ে আইজিপির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। আইজিপি তাদের কথা শোনেন। তিনি কতিপয় বিষয়ে তাৎক্ষণিক সমাধান দেন এবং অন্যান্য বিষয়ে পর্যায়ক্রমে সমাধানের আশ্বাস দেন। পরে আইজিপি পুলিশ লাইনস চত্বরে একটি গাছের চারা রোপণ করেন।’
নিউজ /এমএসএম