সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:০৪ পূর্বাহ্ন

সৌদি মন্ত্রীর সঙ্গে দিনভর বৈঠক, চমৎকার সম্পর্ক বলল দুদেশই

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • খবর আপডেট সময় : বুধবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৩
  • ৬৫ এই পর্যন্ত দেখেছেন

 

রাষ্ট্রপতি থেকে মন্ত্রী, দিনভর বৈঠক শেষে বাংলাদেশ বলল সৌদি আরব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। বাংলাদেশ-সৌদি সম্পর্কে কোনো চ্যালেঞ্জ নেই, তবে সুযোগ রয়েছে। দুদেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক বিরাজমান।

বুধবার (২৩ আগস্ট) ঢাকা সফররত সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহমন্ত্রী ড. তাওফিক আল-রাবিয়া পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী, বিমান প্রতিমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠক শেষে দুপক্ষের কাছ থেকেই এসব কথা বেরিয়ে আসে। সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহমন্ত্রী ড. তাওফিক আল-রাবিয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ২২ আগস্ট থেকে ঢাকা সফরে রয়েছে। এটিই বাংলাদেশে সৌদি হজ ও ওমরাহমন্ত্রীর প্রথম কোনো সফর।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, সৌদি মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বিমান চলাচলে নতুন একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এরফলে সৌদি আরবে বিমান চলাচল বাড়বে। এতে হজযাত্রীদের সুবিধা বাড়বে।

পাশাপাশি বিদেশগামী বাংলাদেশিরা এখন থেকে ট্রানজিট নিয়ে সৌদি আরবে ওমরাহ করতে পারবেন। অভিভাবক ছাড়া নারীরা ওমরাহ করতে পারবেন। বাংলাদেশ সৌদি আরবের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বাজার।

এমনকি এ অঞ্চলের শীর্ষ পাঁচটি বাজারের মধ্যে বাংলাদেশ একটি। তাই ওমরাহ পালনে ইচ্ছুক বাংলাদেশি নাগরিক ও সাধারণ পর্যটকদের জন্য সৌদি ভ্রমণ আরো সহজ করতে ঢাকায় প্রথমবারের মতো ‘নসুক’ রোডশো করা হবে।

‘নসুক’ নামে একটি অ্যাপ বৃহস্পতিবার ঢাকায় উদ্বোধন করবেন সফররত সৌদি মন্ত্রী। অ্যাপটি ইউরোপ-আমেরিকায় আগেই চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে এজেন্সিকেন্দ্রিক হজ ব্যবস্থাপনা থেকে প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থাপনার যুগে ঢুকবে বাংলাদেশ। ধীরে ধীরে কমে আসবে এজেন্সি-নির্ভরতা।

  • হজ্বযাত্রীদের জন্য আসছে বড় সুবিধা
  • বিমান চলাচলে নতুন সমঝোতায় সই
  • বৃহস্পতিবার উদ্বোধন নসুক অ্যাপ
  • আসছেন বিনিয়োগ মন্ত্রী

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সৌদি আরবের আরো ভূমিকার আশা রাষ্ট্রপতির
রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনে সৌদি আরব বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে আরো জোরোলো ভূমিকা রাখবে বলে আশা করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বুধবার সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ সংক্রান্ত মন্ত্রী ড. তৌফিগ বিন ফাওজান আল রাবিয়াহ বঙ্গভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।

বঙ্গভবনের প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, সৌদি মন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সৌদি আরব বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাষ্ট্র। দুদেশের মধ্যে বিরাজমান সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার।

তিনি আরো বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির অন্যতম গন্তব্য। সৌদি আরবে কর্মরত বাংলাদেশি দক্ষ ও অদক্ষ জনশক্তি দুই দেশের অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রাখছে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, সৌদিতে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের কল্যাণে সৌদি সরকার আরো বেশি কার্যকর উদ্যোগ নেবেন। পবিত্র হজ পালনে বাংলাদেশি হাজিদের জন্য ঢাকায় ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এই উদ্যোগের ফলে হাজিদের যাত্রা এবং হজ পালন সহজ ও আরামদায়ক হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল হজ যাত্রীরা আরও সহজে ও নির্বিঘ্নে হজ পালন করতে পারবেন।

বাংলাদেশ-সৌদি সম্পর্কে চ্যালেঞ্জ নেই, আছে সুযোগ
বাংলাদেশ-সৌদি সম্পর্কে কোনো চ্যালেঞ্জ নেই, তবে সুযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে বৈঠক করেন সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহমন্ত্রী ড. তাওফিক আল-রাবিয়া। বৈঠক শেষে তারা একথা বলেন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, কৌশলগত ইস্যুতে আমরা সৌদি আরবের পাশে থেকেছি। মধ্যপ্রাচ্যে ও এই অঞ্চলে শান্তি-শৃঙ্খলা অব্যাহত রাখতে আমরা পরস্পরের সঙ্গে কাজ করছি। হজ ব্যবস্থাপনা কীভাবে আরও ভালো করা যায়, ঝামেলাবিহীন করা যায়, সেই আলোচনা করেছি।

তিনি বলেন, সৌদি আরবে আমাদের প্রায় ৩০ লাখ বাংলাদেশি রয়েছেন। তবে দেশটির পর্যটন, সবুজায়ন ইত্যাদি খাতে আমাদের দেশের আরও মানবসম্পদ নেয়ার সুযোগ রয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও আরও ব্যবসা বাড়ানোর সুযোগ আছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করে যাব। আর সৌদি মন্ত্রী মন্তব্য করেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অগ্রগতি অর্জন করেছে।

সৌদি মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সফরে আসতে পেরে আমি খুব খুশি। এটিই বাংলাদেশে সৌদি হজ ও ওমরাহমন্ত্রীর প্রথম কোনো সফর।

তিনি বলেন, বাংলাদেশিরা সৌদি আরবে হজ আরও সহজে কীভাবে করতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সৌদি আরবে ওমরাহ ভিসায় অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন বাংলাদেশিরা ওমরাহ ভিসায় ৯০ দিন পর্যন্ত অবস্থান করতে পারবেন। মক্কা মদিনা ছাড়াও যেকোনো শহরে যেতে পারবেন। আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, অভিভাবক ছাড়া নারীরা যেন ওমরাহ করতে পারেন, সে বিধিনিষেধ আমরা তুলে দিয়েছি। এছাড়া পশ্চিমা দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ট্রানজিট ভিসার সুবিধা রয়েছে। এছাড়া ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওমরাহ ভিসা পাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। আমাদের বাংলাদেশি ভাই বোনেরা কীভাবে আরও সহজে হজ ও ওমরাহ করতে পারেন, সে বিষয় বিবেচনায় নিয়ে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া হজ ও ওমরাহ ভিসা আরও সহজে করার লক্ষ্যে নুসুক অ্যাপ চালু হচ্ছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে সৌদি মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-সৌদি সম্পর্কে কোনো চ্যালেঞ্জ নেই, সুযোগ রয়েছে। দুই দেশের সম্পর্কের শক্তিশালী ভিত্তি রয়েছে। সৌদি আরবে অনেক বাংলাদেশি কোম্পানি বিনিয়োগ করছে, বাংলাদেশেও সৌদি কোম্পানি বিনিয়োগ করছে। বিনিয়োগ মন্ত্রী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশে আসবেন। উভয় দেশে বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে আলোচনা করবেন। আমাদের উভয় পক্ষের অনেক সুযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ট্রানজিট নিয়ে ওমরাহ করতে পারবেন বাংলাদেশিরা
বিদেশগামী বাংলাদেশিরা ট্রানজিট নিয়ে সৌদি আরবে ওমরাহ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী ড. তৌফিক বিন ফাউজান আল-রাবিয়াহ।

তিনি জানান, তারা অনঅ্যারাইভেল ভিসা নিয়ে ওমরাহ করতে পারবেন। তবে এর জন্য আলদা ভিসা খরচ দিতে হবে না। যে কোনো বাংলাদেশি স্বজনদের জন্য ভিজিট ভিসারও আবেদন করতে পারবেন।

বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে তার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সভা শেষে তিনি এ কথা জানান।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান জানান, শুধু সৌদি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের যাত্রীরা এ সুবিধা পাবেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ওমরাহ ভিসার মেয়াদ এক মাস থেকে বাড়িয়ে তিন মাস করা হয়েছে। যারা হজ, ওমরাহ কিংবা বেড়াতে যাবেন, তারা যদি আরও লোক সঙ্গে নিয়েও যান, ধরেন অন্য জায়গায় বেড়াতে যাচ্ছেন, সৌদি আরবে ট্রানজিট হয়েছে, ওই ট্রানজিটে চারদিনের থাকার ব্যবস্থা করতে তারা রাজি হয়েছেন। তারা সেখানে ওমরাহ করে অন্য দেশে চলে যেতে পারবেন। ট্রানজিটে গিয়ে ওমরা করার বিষয়ে আগে থেকে অনুমতি নিতে হবে বলেও জানান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, হজে যাওয়া-আসা, হজের খরচ কমানোর বিষয়গুলো উভয়পক্ষের আলোচনা সাপেক্ষে সমাধান হবে। হজের কোটা বাড়ানোর ব্যাপারেও তারা বলেছেন। হজের খরচ কমানোর বিষয়টিও তারা দেখবেন।

প্রতিমন্ত্রী জানান, সৌদি আরবে কর্মরত আমাদের যারা রয়েছেন, তারা এখন থেকে সর্বোচ্চ তিন মাসের জন্য তাদের পরিবারের এক বা একাধিক সদস্যকে সেদেশে নিয়ে যেতে পারবেন। পরিবারের মানুষজন সৌদি আরবে গিয়ে অবস্থান এবং ঘোরাঘুরি করতে পারবেন।

বাংলাদেশ-সৌদি আরব বিমান চলাচল সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে নতুন করে বিমান চলাচল সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। বুধবার সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ পক্ষে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এমপি এবং সৌদি আরবের পক্ষে সৌদি জেনারেল অথরিটি অব সিভিল এভিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আব্দুল আজিজ আল দুয়াইলেজ সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। বিমান চলাচল সংক্রান্ত নতুন সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ফলে সৌদি আরবের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে বাংলাদেশের নির্ধারিত বিমান সংস্থা বাংলাদেশের যেকোনো পয়েন্ট হতে সৌদি আরবের যেকোনো আন্তর্জাতিক পয়েন্টে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের সম্পাদিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশী বিমান সংস্থা সৌদি আরবের শুধু জেদ্দা,রিয়াদ, দাম্মাম ও মদিনা এই চারটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনা করার সুযোগ পাচ্ছে। নতুন স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী বাংলাদেশ হতে সৌদি আরবে পরিচালিত ফ্লাইট এর ফ্রিকোয়েন্সি বাড়বে।

বর্তমানে নির্ধারিত ৪৯টি যাত্রী ও কার্গো ফ্লাইট ফ্রিকোয়েন্সির পরিবর্তে ৪৯টি যাত্রী ফ্লাইট ফ্রিকোয়েন্সি এবং নতুন করে ২১টি কার্গো ফ্লাইটের ফ্রিকোয়েন্সি সুবিধা পাবে বাংলাদেশের বিমান সংস্থাগুলো। ২১টি কার্গো ফ্রিকোয়েন্সির ক্ষেত্রে ফিফথ ফ্রিডম ট্রাফিক রাইটস এর আওতায় চারটি মধ্যবর্তী অথবা দূরবর্তী পয়েন্ট ব্যবহার করে ফ্লাইট পরিচালনা করা যাবে। এ চারটি পয়েন্ট পরবর্তীতে নির্ধারণ করা হবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের ফলে দুই দেশের এভিয়েশন খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র আরো বাড়বে। এটি দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সহযোগিতার সব ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

এছাড়াও পর্যটন মহা-পরিকল্পনা প্রণয়নের ফলে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বাংলাদেশের পর্যটন খাতে দুই দেশের সহযোগিতার অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে সৌদি আরব বাংলাদেশের পর্যটন খাতে বিনিয়োগ করলে তাকে আমরা স্বাগত জানাবো।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরবের বন্ধুত্ব অত্যন্ত দৃঢ়। সৌদি আরবে একটি বড় বাংলাদেশী সম্প্রদায়ের বসবাস রয়েছে যারা দুই দেশের উন্নয়নেই ভূমিকা রাখছেন। নতুন সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী বিমান চলাচলের সংখ্যা বাড়ায় দুই দেশই এর সুফল পাবে।

নিউজ /এমএসএম

দয়া করে খবরটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এই ক্যাটাগরিতে আরো যেসব খবর রয়েছে
All rights reserved © UKBDTV.COM
       
themesba-lates1749691102