নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বৈকুণ্ঠপুর বাজারের ৩জন নৈশ্য প্রহরীকে হাত-পা বেঁধে রেখে বাজারের ৭/৮ টি দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ২০/২৫ জনের একটি ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বৈকুন্ঠপুর বাজারের সিনজেনটা, ভেটেনারী, মুদি দোকান, বিকাশ এজেন্টসহ ৭/৮টি দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটায়। ডাকাতরা নগদ টাকা সহ প্রায় ৫ লাখ টাকার মাল লুট করে নিয়ে গেছে। ডাকাতির ঘটনায় এলাকাবাসী ও স্থানীয় বাজারে ব্যবসায়ীদৈর মাঝে বিরাজ করছে চরম আতংক।
জানাযায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ২০/২৫ জন ডাকাত পিকআপ ভ্যান নিয়ে বৈকন্ঠপুর বাজারের অবস্থান নেয় । বাজারের ভেতরে প্রহরারত ৩জন নৈশ্য প্রহরীকে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে হাত-পা বেঁধে রেখে বাজারের ৭/৮টি দোকানে ডাকাতি করে নগদ অর্থ ও বিপুলসংখ্যক মালামাল নিয়ে রাত ২টার দিকে ডাকাত সদস্যরা চলে যায় । ডাকাত দল চলে যাওয়ার পর নৈশ্য প্রহরীদের চিৎকারে স্থানীয় এলাকাবাসীরা পাশের মরিচ ক্ষেত থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তিন নৈশ প্রহরীকে উদ্ধার করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বদলগাছী পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সিনজেনন্টা ও ভেটেনারী দোকান মালিক, সুরুজ হোসেন আকন্দ বলেন, রাত অনুমান সাড়ে ৩টার দিকে বাজার থেকে একজন ফোন করলে আমি জানতে পারি আমার দোকানে ডাকাতি হয়েছে। দোকানে এসে দেখতে পাই আমার ২ দোকানের তালাচাবি ভেঙ্গে নগদ টাকাসহ প্রায় ২/৩ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করা হয়েছে।
মুদি দোকানী পরিতোশ কুমার, সনজয় কুমার টিটু বলেন এলাকার কেউ কেউ এই ডাকাতদলের সদস্যদের সাথে জড়িত আছে বলেও তারা মনে করেন এবং সঠিক ভাবে তদন্ত করে এই ডাকাতদলের সদস্যদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবী করেন তারা।
নৈশ্য প্রহরী শ্রী প্রদিব কুমার, আব্দুল গফুর, ছাইদুল ইসলাম বলেন, গভীর রাতে দেশীয় অস্ত্রের মুখে আমাদের হাত-পা বেঁধে মাঠের মধ্যে ফেলে রাখে ডাকাত দল। হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আমাদের কিছুই করার ছিল না।
স্থানীয়রা বলেন, দোকানের মালামাল ডাকাতি হওয়ায় পিছনে বাজারের পাশে মাদকের ব্যবসা দায়ী। মাদকের জন্য বাজারে দুর দুরান্ত থেকে লোকজনের আনাগোনা হয় বাজারে। কেউ কেউ পুলিশের ভুমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন।
আধাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান, কেএম রেজাউল করিম পল্টন এই ডাকাতির ঘটনা সঠিক ভাবে তদন্ত করে, অভিযুক্ত ডাকাতদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে শাস্তির দাবি জানান।
এ বিষয়ে বদলগাছি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তদন্ত (ওসি) রায়হান হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি ঘটনাস্থলে যাই এবং আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। ঘটনাটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা হচ্ছে। দ্রুতই এই ডাকাতির সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।