রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৬ অপরাহ্ন

বঙ্গমাতার ৯৩তম জন্মবার্ষিকীতে রাষ্ট্রদূত ইমরান

ফজিলাতুন নেছা মুজিব নারীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন

হাকিকুল ইসলাম খোকন,যুক্তরাষ্ট্র
  • খবর আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৩
  • ১১২ এই পর্যন্ত দেখেছেন

স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রাম এবং দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গমাতার অসামান্য অবদানের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে দূতাবাস বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে পরিবার, সমাজ ও জাতির প্রতি বঙ্গমাতার মহান আত্মত্যাগকে স্মরণ করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান কর্তৃক বিকেলে জাতির পিতা এবং বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। এসময় মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান ডিফেন্স অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ শাহেদুল ইসলাম এবং ফার্স্ট সেক্রেটারী (পাসপোর্ট ও ভিসা) মুহাম্মদ আবদুল হাই মিল্টন।পরে বঙ্গমাতার জীবন ও কর্মের উপর দুটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত এবং এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বঙ্গমাতা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গমাতার অনন্য অবদানের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।

রাষ্ট্রদূত জাতির পিতার বিশ্বস্ত জীবনসঙ্গী হিসেবে ফজিলাতুন নেছা মুজিবের অসামান্য ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে তার জীবনে লালন ও ধারণ করেছেন এবং তার সন্তানদেরও একই আদর্শে গড়ে তুলেছেন। রাষ্ট্রদূত ইমরান বলেন বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একই শিক্ষা, আদর্শ ও চেতনা অনুসরণ করে একটি সুখী-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব যে আদর্শ ও দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তা বাঙালি নারীদের জন্য চিরকাল অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। তিনি একই সঙ্গে বঙ্গমাতার জীবন চর্চার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম আলোকিত ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।মিনিস্টার (প্রেস) এজেডএম সাজ্জাদ হোসেন আলোচনায় অংশ নেন এবং বঙ্গমাতার বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিকের ওপর আলোকপাত করেন। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধু এবং তার দলের নেতা-কর্মীদেরকে প্রেরণা, শক্তি ও সাহস যুগিয়ে স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামকে সঠিক লক্ষ্যে নিয়ে যেতে বঙ্গমাতা সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে শহিদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব ও তাদের পরিবারের সদস্যদের এবং অন্যান্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ফার্স্ট সেক্রেটারী আতাউর রহমান।

দয়া করে খবরটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এই ক্যাটাগরিতে আরো যেসব খবর রয়েছে
All rights reserved © UKBDTV.COM
       
themesba-lates1749691102