সাড়াদেশের মতো বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস, পুলিশের উপর হামলা, নৈরাজ্য সৃষ্টি ও সহিংস ঘটনার প্রতিবাদে ঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী ছাতক উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগ এবং সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৩০ জুলাই) বিকেলে ছাতক উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগের উদ্যোগে এবং ছাতক-দোয়ারাবাজার আসনের আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শামীম আহমদ চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এ মিছিল শেষে তাহির প্লাজা চত্বরে উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আজমল হোসেন সজলের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ছাতক-দোয়ারার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য, শামীম আহমদ চৌধুরী।
শামীম আহমদ চৌধুরী।তার বক্তব্যে বলেন, নামাজ পড়ে রোজা রেখে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সারা বাংলাদেশে যে উন্নয়ন করেছেন, তার জন্য দোয়া করা উচিত। শেখ হাসিনার সরকার দক্ষিণাঞ্চলে যে উন্নয়ন করেছে তা আর কেউ করে নাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করার ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার উপর আস্থা রেখে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আবারও আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় আনার জন্য উপস্থিত সকলের কাছে তিনি অনুরোধ জানান।
তিনি আরও বলেন আগামী সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে আবারো আওয়ামীলীগ কে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করতে হবে। বিএনপির চরিত্র যে এতদিনেও পরিবর্তন হয়নি তা ২৯ জুলাই শনিবার ঢাকায় কর্মসূচির মাধ্যমে প্রমানিত হয়েছে। বিএনপির নৈরাজ্য ও আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সময় হয়েছে। নির্বাচনের জন্য আমাদের এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন সম্পর্কে জনসাধারণকে অবগত করে আগামী সংসদ নির্বাচনে আবারও নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে সবাইকে এক হয়ে কাজ করার আহ্ববান জানান তিনি।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগ নেতা কবির আহমদ, কাউন্সিলর ইরাজ মিয়া, হাজী নাজিমুল হক, শফিকুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান দেওয়ান পীর আব্দুল খালিক রাজা, সাইফুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা হাজী জয়নাল আবেদীন, ডাঃ রেদোওয়ানুল হক আরজু, প্রণয় কুমার আচার্য মুন্না, বাবুল পাল, আনোয়ার হোসেন, রাসেল হাসান, কামাল উদ্দিন, এবাদুল হক এমাদ, মনোহর আলী, আরশ আলী ভাসানী, লায়লু মিয়া, দিলোয়ার হোসেন, এখলাছুর রহমান, মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী শিখা দে, ইউপি সদস্য আজাদ আলী, আব্দুল জলিল শামীম, সিলেট মহানগর শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সজীব মালাকার, শ্রমিক নেতা স্বপন তরফদার, যুবলীগ নেতা নজরুল চৌধুরী, নুরুজ্জামান চৌধুরী সম্রাট, মোফাজ্জল হোসেন, মিসবাহ আহমদ মিসহাক, আব্দুল কাদির তালুকদার, রিয়াদ আহমদ চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগ নেতা সোহাগ মিয়া প্রমুখ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ ফজলে রাব্বি জনি, সোহাগ আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান আব্দুল মালিক রানা, জুবায়ের আহমদ, মাছুম আহমদ, জাহাঙ্গীর আলম, ফরহাদ মিয়া, নিজাম মিয়া, জুবায়ের মিয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মামুন মিয়া, লিটন মিয়া তালুকদার, কামরুজ্জামান কাজল, জামায়েল আহমদ ফরহাদ, বিলাল আহমদ, সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আতাউল সানী, মোস্তফা কামাল চৌধুরী মাহির, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক গণযোগাযোগ সম্পাদক, মু্ক্তিযোদ্ধা সন্তান হুমায়ুন কবির রুবেল, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ তালুকদার, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা শাহ আলম বাসিত, হাফিজুর রহমান, রফিকুল ইসলাম রুহেল, জাকির হোসেন, শিমুল তালুকদার, জিবরান রহমান, সাজ্জাদ হোসেন, আসাদুল্লাহ রায়হান, সোহেল আহমদ, উজ্জ্বল তালুকদার, শাহরাজ আহমদ, জিসান আহমদ, আমজাদসহ প্রমুখ অসংখ্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবাদ সভায় বিভিন্ন বক্তারা বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার দুর্নীতি করে দেশটাকে ধ্বংস করেছিল। তারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তাই বিএনপি-জামায়াতকে জনগণ আর ভোট দেবে না। তাই তারা আবারো নাশকতা-আগুন সন্ত্রাস শুরু করেছে। তারা নাশকতা-আগুন সন্ত্রাসের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।