মিরপুুরে সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ ও ভারত নারী দলের সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচে ভারতীয় অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরকে অসৌজন্যমূলক আচরণ করার দায়ে মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা ও ম্যাচ ফির ৭৫ শতাংশ জরিমানা করেছে আইসিসি।
আম্পায়ারের সিদ্বান্তের অখেলোয়ারসূলভ প্রতিবাদ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিরুপ মন্তব্য করায় ৪টি ডিমেরিটস পয়েন্টও যোগ হয়েছে ভারতীয় এই ব্যাটারের নামে।
আইসিসি ওয়ানডে চ্যাম্পিয়নশীপের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে খেলতে আসে ভারতের নারীরা। সিরিজ নির্ধারনী শেষ ম্যাচটি টাই হওয়ায় ৩ ম্যাচের সিরিজটি ১-১ সমতায় ভাগাভাগি করে দু’দল। এদিন ম্যাচ চলাকালেই আম্পায়ারিং নিয়ে বেজায় ক্ষিপ্ত ছিলেন-ভারতীয় অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও বাংলাদেশের খেলোয়াড় ও আম্পায়ারদের উদ্দেশে আপত্তিকর মন্তব্য করেন-ভারতীয় অধিনায়ক। আগেই অনুমান করা হচ্ছিল, আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে নিষেধাজ্ঞার মত বড় শাস্তিই পেতে যাচ্ছেন হারমানপ্রীত কৌর।
ম্যাচ রেফারি আখতার আহমেদ জানান, স্ট্যাম্পে আঘাত করার জন্য হারমানপ্রীতকে ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাজে মন্তব্যের জন্য আরও ২৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়াও মাঠের ঘটনার জন্য ৩টি ডিমেরিট এবং প্রেজেন্টেশন পার্টির জন্য আরও ১ ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হবে হারমানপ্রীতের নামের পাশে। তাই সবমিলিয়ে হারমানপ্রীতের নামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ৪টি ডিমেরিট পয়েন্ট।
আইসিসির নীতিমালা অনুযায়ী, ২৪ মাস সময়ের মধ্যে কোনো ক্রিকেটারের নামের পাশে ৪টি ডিমেরিট পয়েন্ট থাকলে ২টি সাসপেন্ড পয়েন্ট হয়। ভারতীয় অধিনায়কের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। ফলে ১টি টেস্ট কিংবা ২টি ওয়ানডে অথবা ২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি। তার দল যে ধরনের ম্যাচ আগে খেলবে তার জন্য সেই ফরম্যাটের ম্যাচেই শাস্তি কার্যকর হবে।
এর আগে তৃতীয় তথা শেষ ওয়ানডেতে ভারতের ইনিংসের ৩৪তম ওভারে নাহিদা আক্তারের বলে কৌরের বিপক্ষে ক্যাচ আউটের জোরালো আবেদন করেন বাংলাদেশ। তাতে সাড়া দিয়ে আউট দেন আম্পায়ার তানভীর আহমেদ। কিন্তু এমন সিদ্ধান্ত কিছুতেই যেন মানতে পারছিলেন না ভারত অধিনায়ক। মাঠে কয়েক সেকেন্ড দাঁড়িয়ে থেকে হাতে থাকা ব্যাট দিয়ে স্টাম্পে আঘাত করে বসেন হারমানপ্রীত।
এরপর আম্পায়ারের সাথে বাকবিদন্ডতিায় জড়িয়ে ক্ষোভ নিয়ে মাঠ ত্যাগ করেন তিনি। শুধু তাই নয়, এরপর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও আম্পায়ারিং নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই ব্যাটার।
হারমানপ্রীত বলেন, ‘সিরিজটা আমাদের জন্য বড় শিক্ষণীয়। মাঠে যে ধরনের আম্পায়ারিং হয়েছে তা আমাকে খুবই বিস্মিত করেছে। পরবর্র্তীতে আমরা যখন বাংলাদেশে আসবো, এই ধরনের বিষয় মোকাবিলা করতে সেই অনুযায়ী প্রস্তুতিও নেব।’
এছাড়াও দুই দলের ফটো সেশনের সময়ও বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ করেছেন বলে জানান-টাইগার অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। এমন আচরণের ফলে বাংলাদেশ দল ফটো সেশন সংক্ষিপ্ত করে চলে যায় ড্রেসিংরুমে।
নিউজ /এমএসএম