আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত মেনে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের প্রকৃত তথ্য প্রকাশ শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে বৃহস্পতিবার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৮৫০ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ৯৮৫ কোটি ডলার। আর আইএমএফের হিসাবে অর্থাৎ প্রকৃত রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৪৫০ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ৩৪৫ কোটি মার্কিন ডলারে।
রোববার সকালে সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে গত ১৩ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে রিজার্ভ ছিল ২৯ দশমিক ৯৭৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর নিট রিজার্ভ ছিল ২৩ দশমিক ৫৬৯ বিলিয়ন ডলার। এক সপ্তাহে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমলো প্রায় ১২ কোটি মার্কিন ডলার।
আমদানি ব্যয়সহ বিভিন্ন ব্যয় মেটাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। আবার একই সঙ্গে বিভিন্ন সোর্স থেকে রিজার্ভ হিসাবে বৈদেশিক মুদ্রা বাংলাদেশ ব্যাংকে আসে। এর মধ্যে রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয়ের একটি অংশ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা হয়, যদি তা সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক ব্যাংক তাদের অতিরিক্ত ডলার বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বিক্রি করে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক যদি তা কেনে।
এ ছাড়া বৈদেশিক ঋণের অর্থ সরাসরি রিজার্ভে যুক্ত হয়। গত সপ্তাহে বৈদেশিক মুদ্রা আসা ও যাওয়ার পর ১২ কোটি মার্কিন কমেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।
আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী, রিজার্ভ থেকে গঠন করা রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল বা ইডিএফ বাদ দিতে হবে। এ ছাড়া প্রকৃত রিজার্ভের হিসাব করতে রিজার্ভের অর্থে গঠন করা লং টার্ম ফান্ড (এলটিএফ) ও গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড (জিটিএফ), বাংলাদেশ বিমানকে উড়োজাহাজ কিনতে সোনালী ব্যাংককে রিজার্ভ থেকে দেয়া অর্থ এবং পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের খনন কর্মসূচিতে রিজার্ভ থেকে দেয়া অর্থ বাদ দিতে হবে। প্রকৃত রিজার্ভ হিসাব করতে বাংলাদেশ ব্যাংক এসব খাতের মোট ৬৪০ কোটি ডলার বাদ দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, নতুন পদ্ধতিতে হিসাব করা রিজার্ভ দিয়ে সাড়ে ৪ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। কোনো দেশের ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর রিজার্ভ থাকাকে যথেষ্ট মনে করে আইএমএফ।
নিউজ /এমএসএম