সকাল থেকে ছিল সূর্যের তাপ। দাবদাহে প্রকোপ ছিল বিকাল পর্যন্ত। সন্ধ্যায় তাপ প্রবাহ কমে ঠাণ্ডা বাতাস বইতে শুরু করে। রাত সাড়ে সাতটার ঝরতে শুরু করে মুষলধারে বৃষ্টি।
শনিবার (১৭ জুন) রাজধানীতে আবহাওয়ার এমন চিত্র দেখা যায়। আগামীকালও আবহাওয়া এমন থাকতে পারে, এমন পূর্বাভাসের কথা জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে সিলেটে, ১২৯ মিলিমিটার। এছাড়া চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ১২৬, সিলেটের শ্রীমঙ্গলে ৯৪, কুতুবদিয়ায় ৬৯, রাঙ্গামাটিতে ৫৪, বান্দরবানে ৪৭, নিকলিতে ৪৪, ময়মনসিংহে ৩৯, ঢাকায় ৩৬, কক্সবাজার ২৯, কুমিল্লায় ২৮, ফেনী ২৭, খেপুপাড়ায় ২০, তাড়াশ ও বগুড়ায় ১৯, নেত্রকোনায় ১৮, টাঙ্গাইলে ১৭, মাইজদীকোর্টে ১৫, চট্টগ্রামে ১৪, সন্দ্বীপ ও বদলগাছিতে ১১, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৫, চুয়াডাঙ্গা, টেকনাফ ও ঈশ্বরদীতে ৩, চাঁদপুর ও রাজশাহীতে ২, রংপুরে ১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া গোপালগঞ্জ, পটুয়াখালী ও মোংলায় সামান্য বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় ও উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। তাপপ্রবাহের বিষয়ে বলা হয়, রাজশাহী বিভাগসহ টাঙ্গাইল, যশোর, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা জেলাগুলোর ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গা হতে কমতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; রাজশাহী, রংপুর ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
নিউজ/এম.এস.এম